হজ্জ এবং উমরাহ লাইসেন্স কিভাবে করবেন? হজ্জ এজেন্সি খোলার নিয়ম

হজ্জ, সামর্থ্যবান মুসলিমদের জন্য বাধ্যতামূলক এবং পবিত্রতম এক যাত্রা। সৌদি আরবের মক্কায়, পবিত্র কাবাঘরে প্রতিবছর গড়ে ২,২৬৯,১৪৫ জনের মত হজ্জযাত্রী ভ্রমণ করেন। এবং উমরাহ এর জন্য প্রায় ৬,৪৮৫,৮১০ জন। আর এই বিপুল পরিমাণ হজ্জযাত্রীদের অধিকাংশই কোনো না কোনো হজ্জ এজেন্সি এর মাধ্যমে এখানে আসেন। 

যদি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আসি, বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর এক লক্ষ সাতাশ হাজার হজ্জযাত্রী এবং তিন লক্ষ উমরাহ যাত্রী সৌদি আরবের উদ্দেশ্য রওনা করেন। সরকারি বা বেসরকারি দুইভাবেই হজ্জের জন্য আবেদন করা সম্ভব। তবে, ৯৬% হজ্জ যাত্রী ও ১০০ ভাগ উমরাহ যাত্রী ই কিন্তু বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে সৌদি আরব যান। তাই, হজ্জ ও উমরাহ এজেন্সি, তাদের লাইসেন্স করার উপায় ও যাবতীয় বিষয়গুলো নিয়েই আজকের আলোচনা। 

হজ্জ ও উমরাহ এজেন্সি খোলার নিয়ম 

বাংলাদেশ থেকে সুষ্ঠু ভাবে হজ্জ ও উমরাহ পালন নিশ্চিত করতে এজেন্সি গুলোর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা আছে। শুধুমাত্র ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য ছাড়াও হজ্জযাত্রীদের সেবায় নিয়োজিত থাকেন এই সংস্থা গুলো। ধর্মমন্ত্রনালয় থেকে এখন পর্যন্ত ৯৬৪ টি বেসরকারি এজেন্সি কে লাইসেন্স দেয়া হয়েছে  

তবে, এত গুলো প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজমেন্টের জন্য ২০২১, সালে নতুন করে হজ্জ ও উমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন প্রনয়ণ করা হয়ছে। সেই নতুন ও সংশোধিত আইনের আলোকেই সব নিয়মকানুন গুলো তুলে ধরবো।  

হজ্জ ও উমরাহ লাইসেন্স আবেদনের যোগ্যতা  

আপনি যদি নতুন করে একটি হজ্জ ও উমরাহ এজেন্সি খুলতে চান এবং লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করতে চান, তাহলে আপনার নূন্যতম কিছু যোগ্যতা থাকতে হবে। ২০২১ সালে প্রণিত নতুন আইন অনুসারে সেই রিকোয়্যারমেন্ট গুলো হচ্ছে –

  • হজ্জ ও উমরাহ এজেন্সি লাইসেন্স আবেদন করতে হলে আগে থেকেই ট্রাভেল এজেন্সি চালানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। নতুবা আপনি নিবন্ধন করতে পারবেন না।
  • হজ্জ এজেন্সি খুলতে ও লাইসেন্স পেতে হলে, পূর্বশর্ত হিসেবে আপনার কমপক্ষে ৪ বছরের ট্রাভেল এজেন্সি এর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। 
  • যদি আপনি শুধু ওমরাহ্ নিয়ে কাজ করতে চান, তাহলেও এজেন্সির লাইসেন্স আবেদন করতে আপনাকে মিনিমাম ৩ বছরের ট্রাভেল এজেন্সি চালানোর অভিজ্ঞতা নিয়ে আসতে হবে ।
  • আপনি যদি আবেদন করেন তাহলে, আপনাকেই ওই ট্রাভেল এজেন্সির স্বত্বাধিকারী হতে হবে। এছাড়াও, পরিচালক কিংবা পার্টনার হতে হবে।
  • ট্রাভেল এজেন্সিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা বা কর্মচারী রা ওই যোগ্যতায় হজ্জ এজেন্সি লাইসেন্স আবেদন করতে পারবে না।
  • বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে, আবেদনকারীকে অবশ্যই বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে।
  • আবেদনকারী কে অবশ্যই মুসলিম ধর্মাবলম্বী হতে হবে। অন্য কোনো ধর্মের ব্যক্তিরা হজ্জ সংক্রান্ত কোনো প্রাইভেট এজেন্সি চালু করতে পারবে না। 
  • মোস্ট ইম্পর্ট্যান্টলি, তাকে অবশ্যই প্রাপ্তবয়স্ক অর্থাৎ ১৮ বছরের উর্ধ্বে হতে হবে এবং সুস্থ মস্তিষ্কের হতে হবে।
  • বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় আইন অনুসারে, দেউলিয়া ঘোষণা করা হয়েছে, এমন কোনো ব্যাক্তিই হজ্জ ও উমরাহ এজেন্সি লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করতে পারবেন না। 
  • রাষ্টদ্রোহীতা, দেশদ্রোহিতার মামলায় কোনো সময়ে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি এজেন্সির জন্য আবেদন করার যোগ্যতা রাখবে না। 
  • দেশ ও রাষ্ট্রের নৈতিক অবক্ষয়ের অংশ নেয়া এমন কেউ ও নিবন্ধন করতে পারবে না। 
  • একজন ব্যক্তি একবারে শুধু একটি হজ্জ ও উমরাহ এজেন্সি এর লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করতে পারবে। 
  • আবেদনকারী ব্যক্তিকে এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, সে সরকারের প্রদত্ত নিয়ম মেনেই এজেন্সি ম্যানেজ করবে।

উপরের এই সাধারণ নিয়ম গুলো যদি মেনে চলতে পারেন, তাহলেই আপনি হজ্জ ও উমরাহ এজেন্সি লাইসেন্স এর এপ্লিকেশন জমা দেয়ার সুযোগ পাবেন। নতুবা আপনার আবেদন গ্রহনযোগ্য হবে না। 

হজ্জ ও উমরাহ এজেন্সি লাইসেন্স আবেদনর নিয়ম 

হজ ও উমরাহ এজেন্সির লাইসেন্স পেতে হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অর্থাৎ বর্তমানে বাংলাদেশের ধর্মমন্ত্রনালয় এর কাছে নির্ধারণ ফর্মে, আবেদন করতে হবে। আবেদন করার নিয়ম-

  • লাইসেন্স এর জন্য প্রথমে আপনার প্রতিষ্ঠানের নাম সিলেক্ট করতে হবে। এবং ফর্মে বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় এটি লিখতে হবে। 
  • প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে। অর্থাৎ,  লাইসেন্স দেয়ার আগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ লোকেশন ভিজিট করতে গেলে, যেখানে আপনার এজেন্সির সন্ধান পাওয়া যাবে। 
  • এরপর স্বত্বাধিকারী বা মালিকের জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, ও ফর্মে উল্লেখ করা যাবতীয় তথ্য, পরিচয়পত্র এর মত হুবহু দিতে হবে। 
  • অনেক সময়ে দেখা যায়, একটি ট্রাভেল এজেন্সির একাধিক মালিক থাকে, সেক্ষেত্রে প্রত্যেকের জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি অ্যাটাচ করতে হবে। এবং একাধিক মালিকের বিষয়টি ফর্মে উল্লেখ করে দিতে হবে।
  • আপনারর আগের কোনো হজ্জ ও উমরাহ এজেন্সি আছে কিনা সেটা নাম, লাইসেন্স, ঠিকানা, আয়তন কত বর্গফুট এসব সহ উল্লেখ করতে হবে।
  • তবে বর্তমান আইন অনুসারে একাধিক হজ্জ এজেন্সি খোলার উপরে কিছু নিয়ম রয়েছে। 
  • এক্ষেত্রে আপনার এজেন্সির কাগজপত্র গুলো জমা দিতে হবে 
  • আলদা একটি বক্সে এজেন্সির সনদ নম্বর, ট্রেড লাইসেন্স নম্বর, আয়কর সনদ, সিভিলি অ্যাসোসিয়েশন সনদ, বাড়িভাড়া চুক্তিপত্র এসব যোগ করতে হবে। 
  • এরপর আপনার এজেন্সি তে কর্মরত সকল কর্মচারী, কর্মকর্তা দের নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর উল্লেখ করতে হবে। আপনার যেহেতু আগে থেকেই একটি ট্রাভেল এজেন্সি চালানোর অভিজ্ঞতা থাকবে, এসব নথি সংগ্রহ করা কঠিন কিছু হবে না।
  • এপ্লিকেশনের সাথে আপনার ৪ কপি বর্তমান ছবি এটাচ করে দিতে হবে ।
  • এছাড়াও ফর্মে আপনার অফিসের আসবাবপত্রের একটি তালিকা থাকতে হবে।
  • আবেদনপত্রে আপনার নিজস্ব ফোন নম্বর এবং আপনার এজেন্সির অফিশিয়াল ফোন  নম্বর এড করতে হবে।
  • এজেন্সির যদি কোনো পেইজ, ওয়েবসাইট, ই মেইল অ্যাড্রেস থাকে সেগুলোও অবশ্যই উল্লেখ করে দিতে হবে। 
  • এছাড়াও কোনো জামানতের ডকুমেন্টস, ফি, বিল পরিশোধের রশিদ, সাপোর্টিং ডকুমেন্টস ইত্যাদি সব জমা করতে হবে।
  • তবে শুধু উমরাহ এজেন্সি লাইসেন্স পেতে চাইলে, অতিরিক্ত কিছু তথ্য দরকার হবে, যেমন – আই এ টি এ (ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন) এর মেম্বারশিপ সার্টিফিকেট থাকতে হবে। 

আপনি যদি ওপরের নিয়মকানুন গুলো অনুসরণ করে আবেদন করেন, এবং আপনার সকল তথ্য ভ্যালিড হয়, তাহলে খুব দ্রুত ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে আপনাকে জামানতের টাকা পাঠাতে বলা হবে এবং লাইসেন্স এর অনুমতি চলে আসবে। 

জামানতের টাকার পরিমান টি আপনার অফিসের ধরন, অভিজ্ঞতা, সার্ভিসের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন এমাউন্টের হতে পারে। মনে রাখবেন, হজ্জ ও উমরাহ এজেন্সি লাইসেন্স এর জন্য যেকোনো সময়ে আবেদন করলেই হবে না, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নোটিশ না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। 

হজ্জ ও উমরাহ লাইসেন্স আবেদনের ঠিকানা 

হজ্জ কিংবা উমরাহ এজেন্সির লাইসেন্স পেতে ও আবেদন করতে হলে, আপনাকে সরাসরি গিয়ে তাদের অফিসে আবেদন জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে অনলাইনে লাইসেন্স আবেদন করার কোনো রকম সুযোগ নেই। তবে, যেকোনো বিষয়ে জানতে তাদের হেল্প ডেস্ক এর ফোন নাম্বার ও ই মেইল অ্যাড্রেস এ যোগাযোগ করা যাবে। 

অফিসে ঠিকানা:

বাংলাদেশ হজ্জ ব্যবস্থাপনা (Bangladesh Hajj Management 

ধর্ম মন্ত্রণালয় (Ministry of Religious Affairs)

হজ্জ ক্যাম্প, এয়ারপোর্ট – দক্ষিনখান রোড, ঢাকা ১২৩০, বাংলাদেশ।

হেল্প ডেস্ক মোবাইল নম্বর: +8809602666707
ইমেইল: [email protected]

হজ্জ ও উমরাহ লাইসেন্স প্রাপ্তির সময়

সাধারণত ধর্ম মন্ত্রণালয় এর কাছ থেকে রেসপন্স  পেতে আপনাকে ৩০ দিন অপেক্ষা করতে হবে। আপনার সকল তথ্য ও এটাচ করা কাগজপত্র যদি আসল এবং ভ্যালিড হয়, তাহলে ৩০ দিনের মধ্যে আপনাকে জামানতের টাকা সম্পর্কিত নোটিশ পাঠানো হবে। আপনি যে মোবাইল ফোন নাম্বার ফর্মে দিয়েছেন, সেখানে SMS এর মাধ্যমে এবং ই মেইল অ্যাড্রেস দিয়ে থাকলে সেখানে মেইল করে সব জানিয়ে দেয়া হবে। 

এরপর আপনি জামানতের টাকা পুরণ করার পরপরই আপনার লাইসেন্স সফল হবে। 

হজ্জ ও উমরাহ এজেন্সি সংক্রান্ত আইন 

বর্তমানে বিশ্বব্যপী উমরাহ যাত্রীদের সংখ্যা, ২২৮.৫ % বেড়েছে। বাংলাদেশ থেকেও হজ ও উমরাহ যাত্রীদের সংখ্যা অনেক বেশি। যার ফলে, এই পবিত্রতম যাত্রা নিয়েও বিভিন্ন প্রতারণা ও জালিয়াতির ঘটনা ঘটছে। এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে ও হজ্জ যাত্রীদের সব ধরনের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে, হজ্জ ও উমরাহ এজেন্সি গুলোর ওপর কিছু আইন প্রনয়ণ করা হয়েছে। 

আপনি যদি নতুন করে হজ্জ এজেন্সি খোলার প্লানিং করে থাকেন, বা পুরনো এজেন্সি ই চালান না কেন, নতুন ও সংশোধিত আইন গুলো অবশ্যই জানা উচিত। দেখে নিন, কি ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করলে ধারা ১৩ অনুযায়ী,  এজেন্সির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে- 

  • মিথ্যা বা প্রতারণামূলক তথ্যের মাধ্যমে নিবন্ধন নেয়া
  • নিবন্ধন সার্টিফিকেট এর কোনো ধরনের শর্ত অমান্য করা
  • নিবন্ধন সার্টিফিকেট পেয়ে যাওয়ার পর কোনো রকম ফৌজদারি অপরাধের মামলায় অভিযুক্ত হওয়া কিংবা সাজাপ্রাপ্ত হওয়া
  • রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে এমন কোনো তথ্য ছড়ানো কিংবা প্রচারণা চালানো
  • যথাযথ কারণ ছাড়া, পর পর তিন বছর হজ্জ কিংবা উমরাহ কার্যক্রম পালনে ব্যর্থ হওয়া
  • লাইসেন্স এর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ও রিনিউ না করা এবং পুরনো সনদে কাজ চালানোও আইনত অপরাধ 
  • সরকারে প্রণীত নিয়মকানুন লঙ্ঘন করা
  • কোনো হজ্জ যাত্রী বা উমরাহ যাত্রীর শারীরিক ক্ষতি করা
  • বেসরকারি ভাবে হলেও, যাত্রী দের যেসব সেবা দেয়ার কথা ছিল সেগুলো যথাযথ ভাবে না দিলেও আইনের আওতায় আসতে হবে। 
  • কোনো হজ্জ বা উমরাহ যাত্রী কে লাঞ্ছিত করা বা হয়রানি করা 
  • এক ব্যক্তির নামে একসাথে একাধিক হজ্জ এজেন্সি চালানো। 

আপনি বা আপনার এজেন্সি যদি উপরের কোনো আইন অমান্য করেন তাহলে কিন্তু শাস্তির মুখোমুখি ও হতে হবে। 

শাস্তিমূলক বিধান

  • হজ্জ ও উমরাহ এজেন্সি সংক্রান্ত বিধান গুলো অমান্য করলে ২০ লক্ষ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে
  • কোনো এজেন্সি জরিমানার অর্থ দিতে ব্যর্থ হলে, জামানতের টাকা থেকে সেই টাকা কেটে রাখা হবে
  • বিশেষ ক্ষেত্রে লাইসেন্স বাতিল ও করার ও সম্ভাবনা থাকে
  • লাইসেন্স বাতিল হয়ে গেলে, নিবন্ধন করা হজ্জ ও উমরাহ যাত্রীদের অন্য এজেন্সি তে ট্রান্সফার করতে হবে
  • তবে, ছোট ছোট নিয়ম গুলোর ক্ষেত্রে সতর্ক করা বা নোটিশ পাঠানোর মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা  হবে। 

তবে, আপনি যদি এমন কোনো পরিস্থিতির সম্মুখীন হন, এবং আপনার যদি আইনের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনো সংকোচ থাকে, তাহলে আপনি সরকারের কাছে আপিল করতে পারবেন। আপনার বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে ই আপিল করতে হবে, পরবর্তী তে এটি আর গ্রহনযোগ্য হবে না। 

শেষ কথা:

আপনার কাছে লিগ্যাল ডকুমেন্টস, ভ্যালিড তথ্য এবং পজিটিভ ইন্টেনশন থাকলে আপনি অবশ্যই হজ্জ ও উমরাহ এজেন্সি লাইসেন্স পেয়ে যাবেন। উপরের নিয়ম অনুসরণ করে আবেদন করলে এবং সঠিক তথ্য জমা দিলে, আশা করছি লাইসেন্স নিয়ে কোনো প্রকার সমস্যা হবে না। 

তবে উপরের আলোচনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে যদি লাইসেন্স আবেদনের কথা ভেবে থাকেন, তাহলে আপনাকে বেশ কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে। 

কারণ, ২০১৭ সালে শেষ বারের মত হজ্জ এজেন্সি লাইসেন্স আবেদন করার নোটিশ দেয়া হয়েছিল। আর তখন পর্যন্ত ৯৬৮ টি এজেন্সি কে লাইসেন্স দেয়া হয়েছিল। 

তবে যেহেতু, ২০২১ সালে হজ্জ এজেন্সি সংক্রান্ত নতুন আইন প্রনয়ণ হয়েছে, আসা করছি খুব শীগ্রই, হজ্জ ও উমরাহ এজেন্সি লাইসেন্স আবেদন করার নোটিশ ও চলে আসবে।

Scroll to Top