বর্তমান ফ্যাশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ ঘড়ি। তবে সেকেলে ডায়ালেক্ট এর ঘড়ির বদলে জায়গা দখল করে নিয়েছে স্মার্ট ওয়াচ। ছেলে কিংবা মেয়ে সকলের পছন্দের শীর্ষে এখন স্মার্ট ওয়াচ। দেখতে যেমন আকর্ষণীয় তেমনই এর ফিচারসমূহ। সময় নির্নয়ের পাশাপাশি থাকে বিভন্ন আধুনিক সুযোগ সুবিধা।
টাচ স্ক্রিনের মাধ্যমে কনট্রোল করা যায় ঘরির যাবতীয় কার্যাবলী। বেশিরভাগ স্মার্ট ওয়াচে থাকে নেটওয়ার্ক সিস্টেম সেই সাথে ক্যামেরা, ব্লুটুথ, টাইমার সহ আরও বিভিন্ন ফিচার। চলুন জেনে নেয়া যাক বাজেট ফ্রেন্ডলি সেরা ২০ টি স্মার্ট ওয়াচ সম্পর্কে বিস্তারিত। আশাকরি আপনার পছন্দের স্মার্ট ওয়াচটি বাছাই করতে আজকের লেখাটি সহায়ক হবে।
১. Dizo Watch D Plus

Dizo Watch D Plus একটি চারকোনা আকৃতির স্টাইলিশ স্মার্ট ওয়াচ৷ রাবার, সিলিকন এবং মেটালের কম্বিনেশনে ডিজাইন করা ঘরিটির বেশ কিছু এক্সট্রা ফিচার রয়েছে। যেমন: ব্লুটুথ, এলার্ম, স্টপ ওয়াচ, টাইমার, মান্থলি রিমাইন্ডার, টাচ স্ক্রিন ইত্যাদি। চাইলে হাতের ঘড়িটির মাধ্যমে গানও শুনতে পারবেন।
Dizo Watch D Plus স্মার্ট ওয়াচটি চায়নাতে প্রস্তুত করা হয় এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এটির বেশ পজিটিভ কাস্টমার রিভিউ রয়েছে। ঘড়িটি সম্পুর্ন ডাস্টপ্রুভ। এবং সেই সাথে পাবেন ১ বছরের ব্রান্ড ওয়ারেন্টি। চমৎকার ডিজাইনের পাশাপাশি পাচ্ছেন বেশ কয়েকটি স্মার্ট কালার ভেরিয়েশন।
সংগ্রহের স্থান ও আমদানিকারক ভেদে Dizo Watch D Plus ঘড়িটির বাংলাদেশী মার্কেট প্রাইজ ৩০০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
২. Xiaomi Redmi Watch 2 Lite

শাওমি ব্রান্ডের দুর্দান্ত ফিচার নিয়ে মার্কেটে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছে Xiaomi Redmi Watch 2 Lite স্মার্ট ওয়াচটি। ১২ দিনের ব্যাটারি ব্যাকআপ সুবিধা সহ ঘড়িটির ২৬২ mah এর একটি ব্যাটারি রয়েছে। আছে মিউজিক ও জিপিএস সুবিধা। জিপিএস সুবিধা থাকায় ভ্রমনের ক্ষেত্রে এটি খুব সহায়ক। এক্সট্রা ফিচার হিসেবে পাচ্ছেন এলার্ম, স্টপ ওয়াচ, রিমাইন্ডার, ব্লুটুথ সহ বিভিন্ন সুবিধা।
চতুর্ভুজ আকৃতির ঘড়িটির ওজন মাত্র ৩৫ গ্রাম হওয়ায় এটি ক্যারি করাও বেশ আরামদায়ক। কালো ডায়ালেক্ট এর সাথে বেল্টের কালার ভেরিয়েশন পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশের মার্কেটে ঘড়িটির প্রাইজ রেঞ্জ ৪০০০ থেকে ৫০০০ বা এর থেকে কিছুটা বেশি হতে পারে।
৩. Fastrack Reflex Play Smartwatch

ছেলে মেয়ে উভয়ের জন্যই উপযুক্ত একটি স্টাইলিশ স্মার্টওয়াচ হলো Fastrack Reflex Play Smartwatch। রাউন্ড ডায়ালেক্ট এর ঘড়িটির ডিসপ্লে সাইজ ১.৩ ইঞ্চি। এটি একটি Fastrack ব্রান্ডের স্মার্টওয়াচ। কালো ডায়ালেক্ট বিশিষ্ট ঘড়িটির বেল্টে থাকছে কালার ভেরিয়েশন।
ঘড়িটি সম্পূর্ণ ওয়াটারপ্রুভ এবং ডাস্টপ্রুভ। তাই ইচ্ছেমতো স্মুথলি এটি ব্যবহার করা যাবে। তাই এডভেঞ্চার মূলক ভ্রমনে এই স্মার্টওয়াচটি আপনাকে সহযেই কানেক্টেড থাকতে সহায়তা করবে। এক্সট্রা ফিচার হিসেবে থাকছে এলার্ম, টাইমার, রিমাইন্ডার, ব্লুটুথ ইত্যাদি। এর ফার্স্ট চার্জিং টেকনলোজির সাহায্যে মাত্র ৩০ মিনিটে ৫০% চার্জ হয়।
বাংলাদেশের মার্কেটে ঘড়িটির বর্তমান মূল্য ৪৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০০ বা তার একটু বেশি হতে পারে।
৪. Fire Boltt Phoenix Smartwatch

Fire boltt ব্রান্ডের পপুলার একটি স্মার্ট ওয়াচ Fire Boltt Phoenix। টাচস্ক্রীন সেন্সর সহ ঘড়িটিতে আছে এক্সট্রা সুবিধা। যেমন: এলার্ম, টাইমার, মিউজিক, ব্লুটুথ, রিমাইন্ডার ইত্যাদি। স্মার্ট ওয়াচটির ডায়ালেক্টটি গোলাকৃতির শেইপে ডিজাইন করা হয়েছে। পাবেন বেশ কয়েকটি কালার ভেরিয়েশন।
সবমিলিয়ে ঘড়িটির ওয়েট ৩৬.৮ গ্রাম এবং সাইজ ১.৩ ইঞ্চি। রিচার্জেবল এই ঘড়িটিতে থাকছে সাত দিনের ব্যাটারি ব্যাকআপ। তাই ট্রাভেলিং এর ক্ষেত্রে এটি হতে পারে একটি চমৎকার গেজেট। সেই সাথে এক বছরের ওয়ারেন্টি তো থাকছেই। ঘড়ির ফুল প্যাকেজটিতে থাকবে Fire Boltt Phoenix Smartwatch, ওয়ারেন্টি কার্ড, চার্জিং ক্যাবল ও একটি দিকনির্দেশক। ঘড়িটির বর্তমান মার্কেট প্রাইজ ১৮০০ থেকে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
৫. Noise ColorFit Pro 4 Smartwatch

Noise ব্রান্ডের স্টাইলিশ ও আধুনিক ফিচার নিয়ে মার্কেটে জনপ্রিয়তা পেয়েছে Noise ColorFit Pro 4 স্মার্টওয়াচটি। ইমেইল, ব্লুটুথ সহ এক্সট্রা ফিচার হিসেবে পাবেন টাইমার, রিমাইন্ডার, এলার্ম, মিউজিক সেন্সর ইত্যাদি। রিচার্জেবল ব্যাটারীতে থাকছে ৫ দিনের ব্যাকআপ সুবিধা। ঘড়িটির ডিজাইন করা হয়েছে চতুর্ভুজ আকৃতির।
ডিসপ্লে সাইজ ১.৭ ইঞ্চি এবং ওয়েট ৪৫ গ্রাম। সবথেকে ভালো দিক হলো ঘড়িটি সম্পুর্ন ওয়াটারপ্রুফ তাই খুব স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করা যাবে। সেই সাথে এক বছরের ওয়ারেন্টি ও থাকছেই।
বাংলাদেশের মার্কেটে Noise ColorFit Pro 4 স্মাটওয়াচটির মূল্য ৩৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে।
৬. Fire Boltt Talk 2 Smartwatch

যে কোনো পরিস্থিতে সব সময় নেটওয়ার্ক কানেক্টেড থাকতে চাইলে ব্যবহার করতে পারেন Fire Boltt Talk 2 স্মার্টওয়াচ। এই ঘড়িটির টাইমার, এলার্ম, ক্যালেন্ডার সুবিধা ছাড়াও কলিং, মেসেজিং সহ অনলাইন কানেকটিভিটি সুবিধা আছে। ঘড়িটির ডিজাইন করা হয়েছে রাবার বেল্ট এর সাথে গোলাকৃতির ডায়ালেক্ট এর সমন্বয়ে। পাবেন বেশ কয়েকটি কলার ভেরিয়েশন। এডভেঞ্চার প্রেমীদের জন্য এটি দারুন উপযোগী।
যেসকল স্থানে মোবাইল নেয়া পসিবল না, সেসব জায়গায় নিজেকে কানেক্টেড রাখতে ক্যারি করতে পারবেন Fire Boltt Talk 2 স্মার্ট ওয়াচটি। কেননা এটা পুরোপুরি ওয়াটারপ্রুফ। ঘড়িটির ওভারঅল ওয়েট ৫৩ গ্রাম এবং সিডপ্লে সাইজ ১.২৮ ইঞ্চি।
বাংলাদেশে ঘড়িটির বাজার মূল্য ৩০০০ থেকে ৪০০০ টাকার মধ্যে।
৭. Realme Watch 2

Realme ব্রান্ডের স্মার্ট লুকিং ও আধুনিক ফিচার সমৃদ্ধ একটি স্মার্ট ওয়াচ Realme Watch 2। ঘড়িটির ৩১৫ mAh ব্যাটারি ক্যাপাসিটি রয়েছে যা ১৫ দিন পর্যন্ত ব্যাকআপ ক্ষমতা রাখে। ঘড়িটি পলিকার্বোনেট ম্যাটেরিয়ালে চতুর্ভুজ আকৃতির ডিজাইন করা হয়েছে। তবে কালার ভেরিয়েশন বলতে শুধু ব্লাক কালারই পাবেন।
সম্পূর্ণ টাচস্ক্রীন সেন্সরের সাথে পাচ্ছেন টাইমার, রিমাইন্ডার, এলার্ম, স্টপওয়াচ ফিচার সহ অন্যান্য সুবিধা। ঘড়িটির ডিসপ্লে সাইজ ১.৪ ইঞ্চি এবং সবমিলিয়ে ওয়েট ৩৮ গ্রাম। পুরোপুরি ওয়াটারপ্রুফ ও ডাস্টপ্রুভ হওয়ার ব্যবহার করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ হয়। সেই সাথে পাচ্ছেন এক বছরের ব্রান্ড ওয়ারেন্টি। Realme Watch 2 স্মার্ট ওয়াচটির বাংলাদেশে মার্কেট প্রাইজ ৪০০০ থেকে ৪৫০০ টাকার মধ্যে।
৮. Realme TechLife Watch S100

Realme ব্রান্ডের আরও একটি স্মার্ট লুকিং ঘড়ি Realme TechLife Watch S100। ঘড়িটিতে রয়েছে ২৬০ mAh ব্যাটারি ক্যাপাসিটি এবং এটি ১২ দিন পর্যন্ত ব্যাকআপ দিতে সক্ষম। ঘড়ির ডায়ালেক্ট মেটেরিয়াল স্টেইনলেস স্টিল এবং বেল্ট সিলিকন মেটেরিয়াল এর। আছে স্কিন ও বডি টেম্পারেচার ও পালস সেন্সর।
টাচস্ক্রীন সুবিধার পাশাপাশি ব্লুটুথ, এলার্ম, রিমাইন্ডার, স্টপওয়াচ সুবিধা তো আছেই। ঘড়িটির ওভারঅল ওজন মাত্র ৩৪ গ্রাম এবং সম্পূর্ণ ওয়াটারপ্রুফ হওয়ায় ঘড়িটি ক্যারি করা বেশ সহজ। থাকছে এক বছরের মেনুফ্যাকচারিং ওয়ারেন্টি।
বাংলাদেশের মার্কেটে Realme TechLife Watch S100 স্মার্ট ওয়াচটির মূল্য ৩০০০ থেকে ৪০০০ টাকার মধ্যে হবে।
৯. Fire Boltt Ninja Pro Max Smartwatch
Fire Boltt ব্রান্ডের একটু কম বাজেটের স্মার্ট ওয়াচ চাইলে পছন্দ করতে পারেন Fire Boltt Ninja Pro Max স্মার্টওয়াচ। ইউএসবি পোর্ট সহ আছে টাচস্ক্রীন সেন্সর এবং ২০০ টিরও বেশি ওয়াচ ফেস। সেই সাথে থাকছে এলার্ম, মান্থলি রিমাইন্ডার, টাইমার, ওয়াটার ড্রিংকিং রিমাইন্ডার, ব্লুটুথ সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা।
ঘড়িটি চতুর্ভুজ আকৃতিতে ডিজাইন করা হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি কালার ভেরিয়েশন রয়েছে। ঘড়িটির ডিসপ্লে সাইজ ১.৬ ইঞ্চি এবং ওজন ৪৫ গ্রাম। এই স্মার্ট ওয়াচটিও কিন্তু পুরোপুরি ওয়াটারপ্রুফ। ২০০ mAh ব্যাটারি ক্যাপাসিটির সাথে থাকছে ৮ দিনের ব্যাটারি ব্যাকআপ।
বাংলাদেশের মার্কেটে Fire Boltt Ninja Pro Max স্মার্ট ওয়াচটির মূল্য ২০০০ টাকা থেকে ৩০০০ টাকার মধ্যে হবে।
১০. Kieslect K11 AMOLED Black Smart Watch

সুন্দর ডিজাইন, স্মুথ টাচ ও উপযোগী ফিচার নিয়ে জনপ্রিয়তা কুড়িয়েছে Kieslect K11 AMOLED Black স্মার্ট ওয়াচ। এটির আছে ৩৩০ mAh ব্যাটারি যা দুই সপ্তাহ পর্যন্ত ব্যাকআপ দিয়ে থাকে। গোলাকার ডিজাইনের ডিসপ্লেটির সাইজ ১.৩৯ ইঞ্চি। টাচস্ক্রীন সেন্সরের মাধ্যমে এর সমস্ত কার্যাবলি পরিচালনা করা যায়।
এলার্ম, রিমাইন্ডার, ক্যালেন্ডার সহ আছে আরও বিভিন্ন সুবিধা। যেমন: হার্ট রেট পর্যবেক্ষণ, রক্ত সঞ্চালন পরিমাপ, তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ ইত্যাদি। সেই সাথে আরও একটি সুবিধা হলো এটি একটি ওয়াটারপ্রুফ ওয়াচ। ঘড়িটির ওপর কোম্পানি দিচ্ছে ১ বছরের ওয়ারেন্টি।
বাংলাদেশে Kieslect K11 AMOLED স্মার্ট ওয়াচটির মার্কেট প্রাইজ ৪০০০ টাকা তেকে ৪৫০০ টাকার মধ্যে হবে।
১১. COLMi C60
মেটালিক মেটেরিয়াল বিশিষ্ট দারুণ ডিজাইন নিয়ে ২০২২ সালে মার্কেটে এসেছে COLMi C60 স্মার্ট ওয়াচটি। ডায়ালেক্টটি চতুর্ভুজ আকৃতির এবং এর কালো, সিলভার ও গোল্ডেন এই তিনটি কালার রয়েছে। ঘড়িটির ব্যাটারী পাওয়ার ২৯০ mAh। এক্সট্রা ফিচার হিসেবে পাবেন এলার্ম, ব্লুটুথ, রিমাইন্ডার ইত্যাদি।
আছে হার্ট রেট সেন্সর, ব্লাড প্রেশার সেন্সর, স্লিপ মিনিটর ও ব্যারোমিটার সহ বেশ কয়েকটি চমকপ্রদ সুবিধা। সুবিধার তুলনায় দামও খুব বেশি নয় বলে স্মার্ট ওয়াচটি খুব জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
বাংলাদেশের মার্কেটে COLMi C60 স্মার্ট ওয়াচটির মূল্য সীমা ২৮০০ টাকা থেকে ৩৫০০ টাকার মধ্যে হবে।
১২. Mivi Model E Smartwatch
Mivi ব্রান্ডের অসংখ্য ডিজিটাল ফিচারসহ একটি বাজেট ফ্রেন্ডলি স্মার্ট ওয়াচ হলো Mivi Model E Smartwatch। ঘড়িটি তেরি করা হয়েছে সিলিকন এবং স্টেইনলেস স্টিল মেটেরিয়াল ব্যবহার করে। এবং ব্যাটারি মেটেরিয়াল লিথিয়াম পলিমার। ব্যাটারিটি সাত দিন পর্যন্ত ব্যাকআপ দিতে সক্ষম। সুবিধা সমূহের মধ্যে আছে- এলার্ম, স্টপ ওয়াচ, মিউজিক, ইমেইল, স্লিপ মনিটর, স্টেপ কাউন্টার, ক্যালরি কাউন্টার, হার্ট রেট মনিটর ইত্যাদি।
স্মার্ট ওয়াচটি পুরোপুরি ওয়াটারপ্রুফ এবং ডাস্টপ্রুভ তাই লং লাস্টিং পারফরম্যান্স এর নিশ্চয়তা দেয়া যাচ্ছে। তাছাড়া ক্রয়ের তারিখ থেকে এক বছরের ওয়ারেন্টি তো থাকছেই। ফুল প্যাকেজে পাবেন Mivi Model E স্মার্ট ওয়াচ, একটি ক্যাবল চার্জার ও একটি দিকনির্দেশনা।
বাংলাদেশে ঘড়িটির মার্কেট প্রাইজ ১৮০০ থেকে ২৫০০ টাকার মধ্যে।
১৩. Microwear W68

আরেকটি বাজেট ফ্রেন্ডলি আধুনিক ফিচার সমৃদ্ধ স্মার্ট ওয়াচ Microwear W68। ঘড়িটির ব্যাটারি ক্যাপাসিটি ৪২০ mAh এবং ডিসপ্লে ১.৮৬ ইঞ্চি এবং চারকোনা আকৃতির। লাউড স্পিকার ও ব্লুটুথ সুবিধা সহ আরও আছে হার্ট রেট সেন্সর, পালস সেন্সর, এলার্ম, স্টপ ওয়াচ, টাইমার ইত্যাদি সুবিধা।
ফিচার যেমন আকর্ষণীয় তেমনি ঘড়িটি দেখতেও বেশ সুন্দর। কালার ভেরিয়েশন নিয়ে বলতে গেলে এই মডেলটির মোট তিনটি কালার পাবেন।
বিক্রেতা ও শো রুম ভেদে বর্তমানে ঘড়িটির মার্কেট প্রাইজ ২৫০০ টাকা থেকে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
১৪. KIESLECT KR CALLING SMART WATCH
Kieslect ব্রান্ডের একটি স্মার্ট লুকিং ব্লাক ওয়াচ KIESLECT KR CALLING SMART WATCH। ঘড়িটির ডিসপ্লে সাইজ ১.৩২ ইঞ্চি। ব্লুটুথ, মিউজিক, নেটওয়ার্ক সুবিধা সহ আরও অনেক ফিচার রয়েছে। ক্যালরি কাউন্টিং, পালস সেন্সর, ইমোশনাল টেস্ট, এন্ড্রয়েড ফিচার পাবেন একই গেজেটে।
সেই সাথে থাকছে নিশ্চিত ১ বছরের ওয়ারেন্টি। সিলিকন মেটেরিয়ালে ঘড়ির বেল্ট টির ডিজাইন করা হয়েছে বিধায় পড়তেও বেশ আরামদায়ক লাগে। ওভারঅল স্মার্ট ওয়াচটির ডিজাইন এবং ফিচারসমূহ যে কাউকে খুব সহযেই আকৃষ্ট করতে সক্ষম।
বিক্রেতা, স্থান ও সময় ভেদে KIESLECT KR CALLING স্মার্ট ওয়াচটির মার্কেট প্রাইজ ৪০০০ থেকে ৫০০০ টাকা।
১৫. Boult Drift Smartwatch
Boult ব্রান্ডের নান্দনিক ডিজাইনের বাজেট ফ্রেন্ডলি স্মার্ট ওয়াচ Boult Drift Smartwatch। ঘড়িটির ডিসপ্লে সাইজ ১.৬৯ ইঞ্চি এবং ওভারঅল ওজন ৪৫ গ্রাম। ঘড়িটির ব্যাটারি ব্যাকআপ থাকবে ৭ দিন পর্যন্ত। ইমেইল, ব্লুটুথ, হার্ট রেট সেন্সর, ক্যালরি মিটার, মিউজিক সিস্টেম, এলার্ম, স্টপ ওয়াচ সহ আছে অসংখ্য ফিচার। ব্লাড অক্সিজেন মনিটর সহ থাকছে স্লিপ মনিটরও। সিলিকন মেটেরিয়ালে তৈরি স্মার্ট ওয়াচটি চতুর্ভুজ আকৃতিতে ডিজাইন করা হয়েছে। ওয়াটারপ্রুফ হওয়ার এটি স্বাচ্ছন্দে যে কোনো পরিবেশ পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা যায়। সাথে আছে এক বছরের মেনুফ্যাকচারিং গ্যারান্টি।
বাংলাদেশে স্মার্ট ওয়াচটির মার্কেট প্রাইজ ২০০০ টাকা থেকে ৩০০০ টাকার মধ্যে।
১৬. Xiaomi Haylou RS4
Xiaomi ব্রান্ডের চমকপ্রদ ফিচার নিয়ে এসেছে Xiaomi Haylou RS4 স্মার্ট ওয়াচটি। ঘড়িটি সাধারণ মোডে একটানা দশদিন ব্যাটারি ব্যাকআপ দিতে পারে। টাচস্ক্রীন সেন্সরের সাহায্যে সকল ফাংশন খুব সহযেই পরিচালনা করা যায়। বেল্ট সহ পুরে ঘড়িটির ওজন ৪৮.৬ গ্রাম এবং ডিসপ্লে সাইজ ১.৭৮ ইঞ্চি। হার্ট রেট ডিসপ্লের পাশাপাশি থাকছে পালস সেন্সর, মিউজিক সেন্সর, এলার্ম সুবিধা, রিমাইন্ডার, কাউন্টার ইত্যাদি সুবিধা। ঘড়িটি সম্পুর্ন ওয়াটারপ্রুফ তাই সহজেই ক্যারি করা যায়।
Xiaomi Haylou RS4 স্মার্ট ওয়াচটির মার্কেট প্রাইজ ৩৫০০ থেকে ৪৫০০ টাকা।
১৭. Mibro T1

অত্যাধুনিক ফিচার সমৃদ্ধ আরও একটি জনপ্রিয় স্মার্ট ওয়াচ Mibro T1। ঘড়িটি তৈরি করা হয়েছে মেটাল ও প্লাস্টিক মেটেরিয়াল ব্যবহার করে এবং এর বেল্ট তৈরি করা হয়েছে লিকুইড সিলিকা মেটেরিয়ালে। এটির ডিসপ্লে সাইজ ১.৬ ইঞ্চি এবং পুরো ঘড়িটির ওয়েট ৫১ গ্রাম। টাচস্ক্রীন সেন্সরের সাহায্যে খুব সহযেই কল, মেসেজ ও অন্যান্য ফাংশন কনট্রোল করা যায়। মিউজিক, এলার্ম, টাইমার, পালস কাউন্টার ইত্যাদি ঘড়িটির এক্সট্রা ফিচার হিসেবে থাকছে। এবং এটি সম্পূর্ণ ওয়াটারপ্রুফ একটি স্মার্ট ওয়াচ। ঘড়িটির ব্যাটারি ক্যাপাসিটি ৩৫০ mAh।
বর্তমানে বাংলাদেশে Mibro T1 স্মার্ট ওয়াচটির মার্কেট প্রাইজ ৪০০০ থেকে ৫০০০ টাকা।
১৮. Haylou Solar Plus RT3
ব্লাক এবং সিলভার রঙের দারুণ ডিজাইন ও ফিচার নিয়ে মার্কেটে এসেছে Haylou Solar Plus RT3 স্মার্ট ওয়াচটি। ঘড়িটির ১০০ টিরও বেশি ওয়াচ ফেস রয়েছে। সবমিলিয়ে ওয়েট ৪৯.৫ গ্রাম এবং ডিসপ্লে সাইজ ১.৪৩ ইঞ্চি। ঘড়িটির ব্যাটারি ক্যাপাসিটি ৩৪০ mAh।
তাছাড়া ঘড়িটি পুরোপুরি ওয়াটারপ্রুফ তাই লং লাস্টিং পারফরম্যান্স গ্যারান্টি দেয়া যায়। ব্লুটুথ, মিউজিক, টাচস্ক্রীন, এলার্ম, টাইমার, রিমাইন্ডার সহ আছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফিচার।
বিক্রেতা, স্থান ও সময় ভেদে Haylou Solar Plus RT3 স্মার্ট ওয়াচটির মার্কেট প্রাইজ ৪০০০ থেকে ৫০০০ টাকা বা কিছুটা বেশি হতে পারে।
১৯. IMILAB W02
চমৎকার ফিচার ও স্টাইলিশ ডিজাইনের আরেকটি স্মার্ট ওয়াচ হলো IMILAB W02। টাচস্ক্রীন ডিসপ্লে ব্যবহার করে এই ঘড়ির মাধ্যমে কল, মেসেজ ও অন্যান্য এপ্লিকেশন পরিচালনা করা যায়। সেই সাথে থাকছে টাইমার, ক্যালেন্ডার, রিমাইন্ডার, স্টপ ওয়াচ, ব্লুটুথ সহ অন্যান্য কার্যকরী ফিচার। ঘড়িটির ২৮০ mAh এর শক্তিশালী ব্যাটারি সাধারণ ব্যবহারে তিন থেকে পাঁচদিন ব্যাকআপ দিতে সক্ষম। ঘড়িটির ওভারঅল ওজন ৫৫ গ্রাম এবং ডিসপ্লে সাইজ ১.৮৫ ইঞ্চি। ওয়াটারপ্রুফ হওয়ায় ট্রাভেলিং এর ক্ষেত্রে এটি বেশ উপযোগী।
বাংলাদেশের মার্কেটে ঘড়িটির বর্তমান মূল্য ৪০০০ থেকে ৫০০০ টাকার মধ্যে হবে।
২০. IMILAB IMIKI ST1
১০০ টিরও বেশি ওয়াচ ফেস সম্বলিত চমৎকার ডিজাইনের একটি স্মার্ট ওয়াচ IMILAB IMIKI ST1। চাইলে নিজের অথবা যে কোনো কাস্টমাইজড ছবি ব্যবহার করেও ওয়াচ ফেস সেটআপ করা যাবে। টাচস্ক্রীন সেন্সরের সাহায্যে খুব সহযেই কল, মেসেজ, ক্লক, ক্যালেন্ডার, টাইমার, ব্লুটুথ সহ প্রয়োজনীয় সব এপ্লিকেশন পরিচালনা করা যায়।
ঘড়িটির ডিসপ্লে সাইজ ১.৭৮ ইঞ্চি। ২৬০ mAh এর পাওয়ারফুল ব্যাটারির ৭ দিন পর্যন্ত ব্যাকআপ ক্ষমতা রয়েছে। ঘড়িটি পুরোপুরি ওয়াটারপ্রুফ তাই যে কোনো পরিবেশে ক্যারি করা সম্ভব।
ঘড়িটির বর্তমান মার্কেট প্রাইজ সংগ্রহের স্থানভেদে ৩৮০০ টাকা থেকে ৪৫০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
আশা করি আপনার পছন্দের স্মার্ট ওয়াচটি বাছাই করতে আজকের লেখাটি সহায়ক হবে। নিজের স্টাইলের সাথে মানানসই ঘড়ি বাছাইয়ের পাশাপাশি এর বৈশিষ্ট্যগুলোর দিকেও সমান গুরুত্ব দেয়া উচিত। তাছাড়া যে কোনো পরিবেশে নিজেকে কানেক্টেড রাখতে ওয়াটারপ্রুভ এবং ডাস্টপ্রুভ ঘড়ি বাছাই করাই ভালো। সেইসাথে ব্যাটারি ব্যাকআপের দিকেও সমান গুরুত্ব দেয়া উচিত। নিজের বাজেটের মধ্যে সঠিক ঘড়িটি বাছাই করতে তুলনামূলক যাচাই বাছাই করতে ভুলবেন না।