বঙ্গোপসাগরের সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড ভ্রমন গাইড এবং ইতিহাস ও তথ্য

অথৈ পানির উৎস হিসেবে সমুদ্র সকলের কাছেই সুপরিচিত। আর সমুদ্রের মোহনীয় সৌন্দর্য যে কাউকে খুব সহজেই আকৃষ্ট করে। সমুদ্রের উপরিভাগ যতোটা সুন্দর এর তলদেশ ঠিক ততোটাই রহস্যময়। আছে জানা অজানা বিভিন্ন প্রকৃতিক বৈচিত্র্য ও জলজ প্রানীর সমারোহ।

তেমনই এক রহস্যময় সামুদ্রিক পরিবেশের অবস্থান রয়েছে বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগরের মধ্যে যাকে সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড বলে অভিহিত করা হয়। ব্যতিক্রমধর্মী ভৌগোলিক গঠন ও সামুদ্রিক জীব বৈচিত্র্যের প্রাচুর্যের কারণে বঙ্গোপসাগরে এই খাদটি বিশেষ ভাবে গুরুত্ব পায়।

আপনি চাইলে খুব সহজেই ঘুরে আসতে পারবেন সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডে। কীভাবে সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডে যাবেন, সেখানে কী কী উপভোগ করবেন এই সকল বিষয় নিয়ে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করবো। তাছাড়া সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডের অবাক করা বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড কী?

সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড হলো মূলত বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত একটি গভীরতম সমুদ্রখাদ। একে গঙ্গা খাদ বলেও অভিহিত করা হয়। বঙ্গোপসাগরের সাধারণ গভীরতা এই খাদের কাছে এসে হঠাৎ করেই অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পায়। প্রাথমিক পর্যায়ে মনে করা হতো এই সমুদ্র খাদের গভীরতার কোনো শেষ নেই। অর্থাৎ এর কোনো তল নেই। এজন্য সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডের আশেপাশে মাছ ধরতে আসা স্থানীয় জেলেরা একে নাই বাম বলে ডাকে। কেননা জেলেরা পনির গভীরতা হিসেব করে ‘বাম’ এর পরিমাপে।



আমরা যেমন বলি এক মিটার কিংবা দুই মিটার তেমন তারা হিসেব করে এক বাম কিংবা দুই বাম এভাবে। আর স্থানীয় জেলেদের ধারনা সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড এর কোনো তল বা শেষ প্রান্ত নেই। তাই তারা একে নাই বাম বলে অভিহিত করে থাকে। কিন্তু পরবর্তীতে এর তলদেশের আনুমানিক গভীরতা নির্ণয় করা সম্ভব হয়।

সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড বাংলাদেশ মেরিন বিভাগ কর্তৃক সংরক্ষিত একটি সামুদ্রিক এলাকা। সংরক্ষিত এলাকা বলে এটি সামুদ্রিক প্রাণী ও মৎস্যজগতের এক বিশাল অভয়ারণ্যে পরিনত হয়েছে। দুষ্প্রাপ্য সামুদ্রিক প্রাণীর অবাধ বিচরণ ঘটে এই গিরিখাতে। তাইতো প্রাণীকুলের এই অবাধ বিচরণ সচক্ষে প্রদর্শন করার জন্য পর্যটকরা ভীড় জমায় সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডে।

সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড এর অবস্থান ও আয়তন

বঙ্গোপসাগরের বুকে ১৪ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড অবস্থিত। সমুদ্রের তলদেশে অবস্থিত গিরিখাত গুলোর মধ্যে সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড গভীরতার দিক থেকে পৃথিবীর মধ্যে ১১ তম অবস্থানে রয়েছে। সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড এর আয়তন ১৭৩৮০০ হেক্টর এবং এর গড় গভীরতা গড় গভীরতা ১২০০ মিটারের কাছাকাছি। সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডের গভীরতা এতোটাই বেশি যে এর তলদেশ পর্যন্ত সূর্যের আলো প্রবেশ করার ক্ষমতা রাখে না।

ফলে সমুদ্রের এই অঞ্চলের পানি সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকেই কিছুটা ব্যতিক্রমধর্মী গাঢ় বর্ণের মনে হয়। সুগভীর এই সমুদ্র খাদে বাংলাদেশের সবথককে উঁচু পর্বতশৃঙ্গ ‘তাজিংডং’কে পুরোপুরি ডুবিয়ে ফেলা সম্ভব।
সুন্দরবন থেকে সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড এর দূরত্ব খুব বেশি নয়। সুন্দরবনের দুবলার চর এবং সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড এর মধ্যবর্তী দূরত্ব মাত্র ৩০ কিলোমিটার। আর কুয়াকাটা থেকে সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড এর দূরত্ব ৯০ কিলোমিটার।

‘সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড’ নামকরণের ইতিহাস

জায়গাটিকে ‘সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড’ নামে অবিহিত করেন ইংল্যান্ডের একটি জরিপকারী দল। গডফ্লাই নামে একটি যুদ্ধ জাহাজ ১৮৬৩ সালের দিকে ভারত থেকে ইংল্যান্ডের উদ্যেশ্যে যাত্রা শুরু করে। জাহাজটি ছিল বিপুল পরিমাণে মূল্যবান ধন সম্পদে ভরা এবং মালামাল সহ পুরো জাহাজটির ওজন ছিল ২১২ টন। কিন্তু ঝড়ের কবলে পড়ে দুর্ভাগ্যবশত জাহাজটি সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডের এরিয়ায় এসে ডুবে যায়।

পরবর্তীতে জাহাজটি উদ্ধার করার জন্য ইংল্যান্ড থেকে আরও কয়েজটি জাহাজ পাঠানো হয়। জাহাজগুলোর সাথে ছিল একটি ব্রিটিশ জরিপকারী দল। ব্যপক অনুসন্ধান চালানোর পরেও জাহাজটির কোনো খোঁজ মেলাতে পারেনি দলটি। পরে তারা ধরে নেয় বঙ্গোপসাগরের এই অঞ্চলটির কোনো তল বা সীমানা নেই। সেই ধারণা থেকেই জরিপকারী দলটি এই অঞ্চলটির নামকরণ করেন ‘সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড’।

তবে সম্ভাবনাময় এই অঞ্চলটি বহুকাল ধরে কারো দৃষ্টিগোচর হয়নি। ২০১৪ সালে সামুদ্রিক সম্পদের ভান্ডার ‘সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড’ এর সন্ধান পাওয়া যায়। তারপর থেকেই এই অঞ্চলটিকে মেরিন সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড এর জীববৈচিত্র্য

মূলত সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের এক অনন্য ভান্ডার এই সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড। বিজ্ঞানীরা একে সামুদ্রিক প্রানীর অভয়ারণ্য হিসেবে অভিহিত করেছেন। এখানে বিরল প্রজাতির তিমি সহ বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ ও কয়েক প্রজাতির ডলফিনের অবাধ বিচরণ রয়েছে। সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডে বিচরণকারী ডলফিনের প্রজাতির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো পপাস ডলফিন, পৃথিবীর সবথেকে বড় প্রজাতির ইরাবতী ডলফিন, গোলাপি পিঠে কুঁজো ইন্দো প্যাসিফিক ডলফিন, পাখনা বিহীন মসৃণ ত্বকের অধিকারী ইমপ্লাইস ডলফিন।

ডলফিন, পরপাস ও তিমি এই তিন প্রজাতির সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণী একসাথে দেখতে পাওয়া যায় একমাত্র সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডে। পৃথিবীর আর কোথাও এই তিন প্রজাতির প্রাণীর একত্রে বসবাসের নিদর্শন এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। সামুদ্রিক এই খাদের গভীরতা খুব বেশি হওয়ায় এবং এটি মেরিন সংরক্ষিত এলাকা বলে এখানে অনায়াসে তিমি ও ডলফিনের প্রজনন ঘটে।

 সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড তিমি



এছাড়াও আছে জানা অজানা বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ। তাই এই অঞ্চলকে বঙ্গোপসাগরের অন্যতম মৎস্য ভান্ডার হিসেবে গুরুত্ব দেয়া হয়। সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডের পুরো অঞ্চলের উপরিভাগে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির ঝাঁক উড়ে বেড়াতে দেখা যায়। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত দশ প্রজাতির পাখি, ত্রিশ প্রজাতির মাছ সহ নানা জাতের তিমি, ডলফিন ও সামুদ্রিক প্রাণীর সন্ধান পাওয়া গেছে। এটা গর্বের বিষয় যে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের এই বিশাল ভান্ডার বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার মধ্যেই অবস্থিত।

সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড কেন যাবেন?

সমুদ্রের দীর্ঘ জলরাশির বুকে জলজ প্রানীর অবাধ বিচরণ ও দিগন্তে উরে বেড়ানো পাখিদের কোলাহল স্বচক্ষে দেখতে চাইলে জীবনে একবার হলেও ঘুরে আসতে হবে সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড। বঙ্গোপসাগরের বুকে জেলে নৌকায় ভেসে ভেসে মাছ ধরার দৃশ্য আপনাকে মুগ্ধ না করে পারবে না।

রাতের সোয়াচ দেখতে দেখতে হঠাৎ ডলফিন বা তিমির হুটোপুটি বাংলাদেশে বসেই উপভোগ করা সম্ভব। প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্যের সৌন্দর্য যে কতোটা মনোমুগ্ধকর হতে পারে তা সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডে গেলে অনুভব করা সম্ভব। আপনি যদি খুব বেশি এডভেঞ্চার প্রেমী হয়ে থাকেন তাহলে এই সামুদ্রিক খাদের পাশ থেকে ঘুরে আসা মিস করবেন না। নৌকার দুলুনি, রাতের সমুদ্র, সামুদ্রিক প্রাণী ও পাখির বিচরণ এই সবকিছুই উপভোগ করতে পারবেন সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড ভ্রমনের মাধ্যমে।

সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড যাওয়ার উপায়:

সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড দুইভাবে যাওয়া যায়। সবথেকে সহজ মাধ্যম হলো মংলা থেকে সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড যাওয়া। আর দ্বিতীয় মাধ্যম হলো কুয়াকাটা হয়ে সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড যাওয়া। তবে কুয়াকাটা থেকে সব সময় সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড যাওয়ার ট্রলার পাওয়া যায় না। দেখে নিন ভিন্ন ভিন্ন দুইটি পদ্ধতিতে সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড যাওয়ার উপায়-

মংলা হয়ে সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড-

মংলা হয়ে সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড যাওয়ার জন্য প্রথমে ঢাকা থেকে সরাসরি মংলা যাওয়ার বাস ধরতে হবে। ঢাকার সায়দাবাদ থেকে সরাসরি মংলা যাওয়ার বাস পাওয়া যায়। সায়দাবাদ থেকে হানিফ এন্টারপ্রাইজ কিংবা দিগন্ত পরিবহনের বাসে চেপে সরাসরি মংলা পৌঁছাতে পারবেন।

ইকোনোমি ক্লাসে জনপ্রতি ভাড়া পড়বে ৭০০ টাকা। মংলা থেকে সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডের দূরত্ব প্রায় ৩০ কিলোমিটার, তাই যাতায়াতে খুব বেশি সময় লাগে না। মংলা থেকে প্রতিদিনই সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডের উদ্যেশ্যে মাছ ধরার জাহাজ ছেড়ে যায়। একটু খোঁজ খবর নিয়ে দেখতে পারেন কোনো জাহাজ সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডের দিকে যাবে কিনা।

ভাগ্য ভালো হলে জাহাজে চেপে সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড দেখার সৌভাগ্য হতেও পারে। তবে জেলে নৌকায় ভ্রমনের আগে সামুদ্রিক আবহাওয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া জরুরি। সার্বিক আবহাওয়া অনুকূল হলে তবেই যাত্রা শুরু করা উচিত।

রাতে থাকা ও খাওয়া সব মিলিয়ে খরচের বিষয়টি যাত্রার আগেই নৌকার মালিকের সাথে চুক্তি করে নেয়া ভালো। জেলে নৌকাগুলো সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডের কাছাকাছি একটি নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থান করে মাছ ধরে। সেখান থেকেই সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডের ভিউ উপভোগ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে একই খরচে সুন্দরবন থেকেও ঘুরে আসতে পারেন।

কুয়াকাটা হয়ে সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড

কুয়াকাটা থেকে অগ্রিম খোঁজ খবর রাখার ব্যবস্থা থাকলে তবেই কুয়াকাটা থেকে সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড যাওয়ার পরিকল্পনা করতে পারেন। কেননা কুয়াকাটা থেকে সব সময় সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড যাওয়ার জন্য ট্রলার পাওয়া যায় না। পরিচিত কেউ থাকলে বা তথ্য সংগ্রহের কোনো লিংক থাকলে আগে থেকে জেনে নিন কুয়াকাটা থেকে ট্রলার কোন কোন সময়ে পাওয়া যাবে।

পদ্মা সেতু চালু হওয়ার সুবাদে ঢাকা থেকে সরাসরি বাসে চেপে কুয়াকাটা যাওয়া যায়। ঢাকার সায়দাবাদ থেকে হানিফ, সাকুরা পরিবহন, সেভেন স্টার সহ আরও বেশ কয়েকটি বাস সরাসরি কুয়াকাটার উদ্যেশ্যে ছেড়ে যায়। জনপ্রতি ভাড়া পড়বে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা।

কুয়াকাটা থেকে সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড যাওয়ার জন্য ট্রলারে প্রায় ৯০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে। সবকিছু আগে থেকে চুক্তি করে ট্রলারে চেপে কুয়াকাটা থেকে ঘুরে আসতে পারেন সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড এর অসাধারণ রোমাঞ্চকর সৌন্দর্য। এক্ষেত্রে একই সাথে কুয়াকাটা ভ্রমণের অভিজ্ঞতাও অর্জন করা হবে।

থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা

জেলে নৌকায় ভ্রমনে করলে রাতে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা নৌকায়ই থাকবে। যেহেতু ভ্রমনের আগেই নৌকার মালিকের সাথে চুক্তি করে নেয়া হবে। তাছাড়া কুয়াকাটা ও মংলা শহরে থাকার জন্য বেশ ভালো মানের আবাসিক হোটেল থেকে শুরু করে সাধারণ মানের অনেক হোটেল পাবেন।

এসকল হোটেলে ৭০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০০ টাকা বা তার বেশি দামে থাকার জন্য রুম পেয়ে যাবেন। তাছাড়া খাওয়ার জন্য মংলা শহরে সাধারণ মানের বেশ কিছু হোটেল পাবেন। কুয়াকাটায় খাওয়ার জন্য বৈচিত্র্য সব মাছ ও ভর্তার আইটেম সমৃদ্ধ খাবার হোটেল পাবেন। তবে নৌকায় যাত্রা শুরু করার আগে সাথে কিছু শুকনো খাবার নিয়ে নেয়া উচিত।

এই ছিলো সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড ভ্রমণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। আশাকরি একটি ব্যতিক্রমধর্মী ট্যুর প্লান করার জন্য আজকের আর্টিকেলটি একটু হলেও আপনাকে সহায়তা করবে। একটি ট্যুর প্লান করার আগে যাতায়াতের যাবতীয় তথ্য ও আবহাওয়ার সার্বিক দিক বিবেচনা করে তবেই সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। একটি সুন্দর ও সুপরিকল্পিত ভ্রমনের শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য। ধন্যবাদ।

Scroll to Top