সৌন্দর্যের প্রতীক গোলাপ। রাস্তাঘাটে চলার পথে কিংবা কোথাও বেড়াতে গেলে গোলাপের পসরা নিয়ে ঘুরতে দেখা যায় ফুল বিক্রেতাদের। হাতেগোনা কয়েকশো ফুল দেখেই আমাদের মুগ্ধতার সীমা থাকে না। মনে হয় এক পলকে তাকিয়ে থাকি ফুলগুলোর দিকে। আর এমন যদি হয় মাঠের পর মাঠ শুধু গোলাপের বাগান দেখা যাবে! ভাবতেই কেমন রোমাঞ্চকর লাগে তাই না? হ্যাঁ আপনি সত্যিই ভাবছেন৷ এমনটাও বাস্তবে হয়।
এমন সুন্দর মনোমুগ্ধকর গোলাপ বাগান দেখার জন্য আপনাকে খুব বেশি দূরে যেতে হবে তা ও কিন্তু না। ঢাকার খুব নিকটেই সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নে কয়েকটি গ্রাম নিয়ে এই গোলাপ বাগানের অবস্থান। শহরের যান্ত্রিক পরিবেশ থেকে নিজেকে ছুটি দিতে চাইলে চলে যেতে পারেন সৌন্দর্যে ঘেরা গোলাপ গ্রামে।
দিনে দিনেই যেহেতু ঘুরে আসতে পারবেন তাই যে কোনো একটি ছুটির দিন বাছাই করে ট্যুর প্লান করলে দারুন হবে। বিশেষ করে একটি ছোটখাটো পারিবারিক বনভোজনের জন্য একদমই উপযুক্ত একটি পরিবেশ। তাছাড়া বন্ধু বান্ধব একত্রে আড্ডা দিতে দিতে একটা দিন কাটিয়ে আসতে পারেন এখান থেকে।
গ্রামীণ পরিবেশ, গোলাপের নজরকাড়া সৌন্দর্য আর মন মাতানো সৌরভে পুরো দিনটি কাটবে চমৎকার। তবে গোলাপ বাগান ভ্রমণের আগে সেখানে যাওয়ার উপায় সম্ভাব্য খরচ ও খাওয়ার ব্যবস্থা সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেয়া উচিত। তাই গোলাপ বাগান ভ্রমনের বিস্তারিত তথ্য নিয়ে আজকের আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে।

গোলাপ বাগান কোথায় অবস্থিত?
তুরাগ নদীর তীরে অবস্থিত সাভার থানার একটি ইউনিয়ন বিরুলিয়া। ঢাকা থেকে যার দূরত্ব মাত্র ২৫ কিলোমিটার। এই বিরুলিয়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম জুড়ে বিস্তৃত গোলাপ বাগান। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য গ্রামগুলো হলো: সাদুল্লাহপুর, শ্যামপুর ও মোস্তাপাড়া গ্রাম। এ সকল গ্রামের শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ গোলাপ চাষের মাধ্যমে নিজেদের জীবীকা নির্বাহ করে।
আসলে গোলাপ বাগান কোনো পরিকল্পিত পর্যটন কেন্দ্র নয়। মূলত একত্রিতভাবে কয়েকটি গ্রাম মিলে একচেটিয়া ভাবে গোলাপ চাষ করে বিধায় এই এলাকাটি সৌন্দর্য পীপাসুদের নজর কেড়েছে। ফলে এখানে ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনেকেই ভ্রমণে আসে।
ফুল চাষিরা এই অঞ্চলে বানিজ্যিক ভাবে গোলাপের চাষ করেন ও তা বাজারজাত করেন।
শ্যামপুর গ্রামে গোলাপ বাগানের পাশাপাশি রয়েছে গোলাপের হাট। এই হাটে চলে গোলাপ বিক্রির কারবার। শ্যামপুর গ্রামের আবুল হাসেম মার্কেটের সামনে এই গোলাপ হাট বসে।
গোলাপ বাগান ভ্রমণের উপযুক্ত সময়
আসলে এখানে বানিজ্যিক ভাবে গোলাপ চাষ করা হয় বলে সারাবছরই গ্রামের মাঠ গুলো গোলাপে ছেয়ে থাকে। আপনি চাইলে বছরের যে কোনো সময়ে গোলাপ বাগান থেকে ঘুরে আসতে পারবেন। তবে স্বভাবতই শীতের সময় গোলাপ সহ যে কোনো ফুল খুব সুন্দর ও সতেজ ভাবে ফোটে। তাই গোলাপ বাগানের ভরা যৌবনা রূপ দেখতে চাইলে শীত ঋতুকে বেছে নিতে পারেন৷ আর শীতের সময় ভ্রমণে এক আলাদা প্রশান্তি পাওয়া যায়।
গোলাপ বাগান কেন যাবেন?

ঢাকার যান্ত্রিক পরিবেশে বসবাস করতে করতে একটা সময় পর সবাই হাপিয়ে ওঠে। মন চায় ছুটে চলে যাই আপন ঠিকানায়, অর্থাৎ নিজ গ্রামে। কিন্তু চাইলেই কি যাওয়া যায় গ্রামের বাড়িতে? হয়তো বছরে একবার কি দুবার। চাকরিজীবীদের এর বেশি গ্রামে যাওয়া হয় না বললেই চলে।
হয় ছুটি থাকে না, নয়তো টাকার সমস্যা। কোনো না কোনো দিক থেকে সমস্যা থাকেই। তাই ঢাকার খুব নিকটে গিয়ে যদি একটু গ্রামীণ পরিবেশ থেকে ঘুরে আসা যায় তাহলে কিন্তু মন্দ হয় না। সেই সাথে গ্রামগুলো যদি হয় শিল্পীর রং তুলিতে আঁকা স্বপ্নের গ্রামের মতো সুন্দর তাহলে তো আর কোনো কথাই নেই।
হ্যাঁ একদম কম খরচে এবং কম সময়ে ঢাকা এবং ঢাকার আসেপাশে বসবাসরত বাসিন্দাদের জন্য গোলাপ বাগান খুব উপযুক্ত একটি পর্যটন কেন্দ্র। একটা দিন গোলাপের সুগন্ধ মাখা এই পরিবেশে ঘুরে আসলে শরীর ও মন দুটোই আবার চাঙ্গা হয়ে যাবে। পুনরায় কাজের এনার্জি খুঁজে পাবেন। তাই একটা দিন নিজেকে সময় দিতে চাইলে চলে যেতে পারেন সাভারের গোলাপ বাগানে। তবে শুধু যে ঢাকার বাসিন্দারাই এখানে ঘুরতে আসে তা কিন্তু না।
গোলাপ বাগানের সৌন্দর্য এতটাই আকর্ষণীয় যে দেশের দূর দূরান্ত থেকেও লোকজন এখানে ঘুরতে আসে।
শীতের মৌসুমে গেলে গোলাপ ছাড়াও আরও দেখতে পারবেন গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা, জারভারা সহ অন্যান্য ফুলের মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য। গোলাপ বাগান বলে উল্লেখ করা হলেও শীতের সময় এখানকার কৃষকেরা বিভিন্ন ধরনের ফুলের ক্ষেত করে।
চারদিকে গোলাপের ক্ষেত আর মাঝখানে বয়ে চলা সরু রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে কখন যে দিন ফুরিয়ে যাবে আপনি বুঝতেই পারবেন না। বিকেলের সোনা রোদে গোলাপের সুগন্ধ মাখা বাতাসে সৌন্দর্য বিলাস করার প্রত্যাশা সবার জীবনেই থাকে।
শুধু কি গোলাপ গ্রামই দেখবেন? গোলাপ গ্রামের আরও একটি আকর্ষন হলো শ্যামপুর গ্রামের গোলাপ হাট। হাটে ফুলের পসরা সাজিয়ে চাষীরা বসে থাকেন পাইকারের আশায়। এ যেন ফুলের কেনা বেচার এক রমরমা পরিবেশ। গাদা গাদা ফুলের ঝুড়ি বোঝাই করা সৌন্দর্যের প্রতীক গোলাপ।
এক নিমিষেই আপনার মন ভরে যাবে চমৎকার এই দৃশ্য দেখে। চাইলে আপনিও কিনে নিতে পারেন একটি ফুলের গোছা। তবে এখানে কেউই খুচরায় ফুল বিক্রি করবে না আপনার কাছে। কমপক্ষে ১০০ পিস ফুল কিনে নিতে পারেন পরিবার ও প্রিয়জনদের জন্য।
বিরুলিয়া ব্রীজের কাছে আছে প্রাচীন এক বটগাছ। সেই গাছের নিচে বসে চা খেতে খেতে দারুণ এক পারিবারিক আড্ডা জমিয়ে ফেলতে পারবেন। আবার তুরাগ নদীর মনোরম পরিবেশ তো রয়েছেই। সব মিলিয়ে অসাধারণ একটা ভ্রমণ অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চাইলে ছুটির দিনে চলে যেতে পারেন সাভারের বিরুলিয়াতে।
যারা নৌকা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চান তারা চাইলে দিয়াবাড়ি ঘাট থেকে নৌকা নিয়ে চলে যেতে পারেন গোলাপ বাগান। যাওয়ার পথে চোখে পড়বে তীরের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। সাদামাটা গ্রামীন পরিবেশ আর কৃষকের দৈনন্দিন কর্মকান্ড। তাহলে বলুন তো, কেন যাবেন না গোলাপ গ্রাম ঘুরতে?

গোলাপ বাগান যাওয়ার উপায়
ঢাকা ও ঢাকার আশেপাশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আলাদা আলাদা রুটে গোলাপ বাগান যেতে পারবেন৷ এখানে ধারাবাহিক ভাবে বেশ কয়েকটি রুট প্লান তুলে ধরা হলো।
রুট-১: এই রুটে যেতে চাইলে আপনাকে প্রথমে ঢাকার যে কোনো জায়গা থেকে মিরপুর ১-এ পৌঁছাতে হবে। সেখান থেকে মাজার রোডের দিকে পাঁচ মিনিট হাটলেই লেগুনা পাবেন। এই লেগুনা গুলো মিরপুর থেকে চারাবাগ পর্যন্ত চলাচল করে।
চারাবাগ গামী এই লেগুনায় উঠে আকরান বাজারে নেমে পড়তে হবে। জনপ্রতি ভাড়া পড়বে ২০ টাকা। সেখান থেকে রিকশায় কিংবা অটোতে করে সরাসরি গোলাপ বাগান যেতে পারবেন৷ রিকশা ভাড়া পড়বে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। আর অটোতে গেলে জনপ্রতি ভাড়া লাগবে ২০ টাকা।
রুট-২: এই রুটে যেতে চাইলে আপনাকে প্রথমে গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে যেতে হবে। গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে সাভারের বেশ কয়েকটি বাস কিছুক্ষণ পর পরই ছেড়ে যায়। সাভার বাসস্ট্যান্ড নেমে সেখান থেকে ওভার ব্রীজ পেরিয়ে রাস্তার অপজিটে চলে যেতে হবে।
সেখান থেকে বিরুলিয়ার রাস্তার দিকে এগিয়ে যাবেন। প্রধান সড়কের পূর্ব পাশ দিয়ে বিরুলিয়া ইউনিয়নের রাস্তা চলে গেছে। সেখান থেকে গোলাপ গ্রামে যাওয়ার জন্য হ্যালোবাইক পাবেন। হ্যালো বাইকে জনপ্রতি ভাড়া লাগবে ২০ টাকা।
রুট-৩: সাভারের বাসিন্দা হয়েও যারা গোলাপ গ্রাম ঘুরতে যাননি তাদের জন্য এই রুট প্লানটি। সাভারের চৌরংগী মার্কেটের আশপাশ থেকে আসলে সরাসরি চলে যাবেন চৌরংগী মার্কেটের সামনে।
সেখান থেকে আকরান বাজারের উদ্যেশ্যে একটু পরপরই লেগুনা এবং মিনিবাস ছেড়ে যায়। যে কোনো একটি বাহনে উঠে চলে যবেন আকরান বাজার। সেখান থেকে রিকশা কিংবা অটো ভাড়া করে সরাসরি সাদুল্যাপুর গ্রামে চলে যেতে পারবেন।
রুট-৪: সাভার বাসস্ট্যান্ড থেকে আরেকটি উপায়ে গোলাপ গ্রাম যেতে পারবেন৷ বাসস্ট্যান্ড থেকে রিকশায় করে চলে যাবেন পেলো মার্কেট। রিকশা ভাড়া নেবে ৩০ টাকা বা তার থেকে একটু কমবেশি। সেখান থেকে আরেকটি রিকশায় করে সরাসরি চলে যেতে পারবেন গোলাপ গ্রাম।
রুট-৫: এতোক্ষণ তো সড়কপথে গোলাপ গ্রাম যাওয়ার উপায় জানলেন। চলুন এবার নৌকা দিয়ে গোলাপ গ্রাম থেকে ঘুরে আসা যাক। নৌকায় করে গোলাপ গ্রাম যাওয়ার জন্য যে কোনো জায়গা থেকে দিয়াবাড়ি ঘাটে পৌঁছাতে হবে। ঢাকার বিভিন্ন স্থান যেমন যাত্রাবাড়ী, ফার্মগেট, গুলিস্তান থেকে মিরপুর যাওয়ার বিভিন্ন বাস পাবেন।
যে কোনো একটি বাসে চেপে মিরপুর বেরিবাঁধ পর্যন্ত যেতে হবে। সেখান থেকে রিকশা অথবা সিএনজিতে করে চলে যেতে পারবেন দিয়াবাড়ি ঘাটে। এটি দিয়াবাড়ি বটতলা ঘাট নামে পরিচিত। আবার এটাকে উত্তরার দিয়াবাড়ি বলে ভুল করবেন না যেন।
দিয়াবাড়ি ঘাট থেকে কিছুক্ষণ পরপর সাদুল্লাহপুর এর উদ্যেশ্যে লোকাল নৌকা ছেড়ে যায়। এসকল নৌকায় জনপ্রতি ভাড়া লাগবে মাত্র ২৫ টাকা। নৌপথে দিয়াবাড়ি ঘাট থেকে সাদুল্লাহপুর পৌঁছাতে সময় লাগবে ৩০ থেকে চল্লিশ মিনিটের মতো। তাছাড়া নৌকা কিংবা স্পিডবোট রিজার্ভ করেও যেতে পারবেন। সেক্ষেত্রে শ্যালো ইঞ্চিনের নৌকায় ভাড়া পড়বে ২৫০ টাকা, কোষা নৌকায় ভাড়া পড়বে ৩০০ টাকা আর স্পিডবোটে ভাড়া পড়বে ৫০০ টাকার মতো। তবে অবশ্যই দামদর করে নিতে হবে।
নৌপথে গিয়ে আবার নৌপথে ফেরত আসতে চাইলে সন্ধ্যার আগেই ফেরার পরিকল্পনা থাকতে হবে৷ কেননা সন্ধ্যা ৬ টার পরে এই রুটে আর কোনো নৌকা পাবেন না।
সাভার গোলাপ বাগানে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা
ঢাকার খুব কাছে অবস্থিত বলে গলাপ গ্রামে কেউ থাকার পরিকল্পনা করে যায় না। তাই থাকার জন্য গ্রামের মধ্যে কোনো ধরনের থাকার ব্যবস্থা নিয়ে ভাবার প্রয়োজন এখনও পর্যন্ত হয়নি। এক দিনের মধ্যেই গোলাপ গ্রাম থেকে ভালোভাবে ঘুরে আসা যায়। তবে একান্তই থাকার প্রয়োজন হলে সাভারের যে কোনো আবাসিক হোটেলে থাকতে পারবেন।
এটা যেহেতু কোনো পরিকল্পিত পর্যটন এলাকা না তাই খাওয়ার জন্যও এখানে কোনো ভালো মানের হোটেল পাবেন না। গ্রামের মাঝে মাঝে ছোটখাটো দু একটা মুদি দোকান ও চায়ের দোকান খুঁজে পাবেন। এখানে হালকা নাশতা করে নিতে পারেন।
সাদুল্লাহপুর ঘাটের কাছে খুবই সাধারণ মানের একটি হোটেল রয়েছে। চাইলে এখানে খাবার খেতে পারবেন। তবে একসাথে বেশি লোকজন গেলে আগে থেকে খাবারের অর্ডার করে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে গেলাপ গ্রাম পৌঁছে সর্বপ্রথম কাজ হবে হোটেলে গিয়ে দুপুরের খাবারের কথা বলে রাখা।
তবে সবথেকে ভালো হয় নিজেরা খাবার নিয়ে যেতে পারলে৷ পারিবারিক ট্যুর হলে বাড়ি থেকে খাবার রান্না করে নিয়ে যাওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। আর তা সম্ভব না হলে ঢাকা কিংবা সাভার থেকে খাবার কিনে পার্সেল নিয়ে যাওয়া উচিত। গ্রামের মধ্যে কোনো এক বাগানের পাশে বসে এভাবে বনভোজন করার মজাই আলাদা।
আশাকরি পরবর্তী ছুটিতে আপনার ভ্রমণ পরিকল্পনা হবে গোলাপ গ্রাম ট্যুর। যে কোনো রুটেই আপনার যাতায়াত ভাড়া ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বা তারও কম হবে। তাছাড়া কোনো প্রবেশ মূল্য দিতে হচ্ছে না। আর খাবার ক্যারি করে নিতে পারলে তো খাওয়ার খরচও বেঁচে যাচ্ছে। তাই এক দিনের ছুটিতে গোলাপ গ্রাম থেকে তো ঘুরে আসতেই পারেন।
সতর্কতা:
১. গোলাপ গ্রামে ঘোরার সময় ফুল ছেঁড়ার চেষ্টা করবেন না। অথবা কোনো প্রাকৃতিক পরিবেশের ক্ষতি করবেন না।
২. গ্রামের লোকজনের সমস্যা হয় এমন কোনো কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকবেন।
৩. গ্রামের পরিবেশ নষ্ট করবেন না। অর্থাৎ ময়লা আবর্জনা যেখানে সেখানে ফেলবেন না।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ পোস্টের সকল ছবি কালেক্ট করা। সাভারের গোলাপ বাগানের ছবি না এগুলো। প্রতীকী হিসাবে পোস্টে এড করা হয়েছে।