মালয়েশিয়াতে ২৫ টি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া | Business Ideas In Malaysia

যারা বিদেশের মাটিতে কিছু একটা করে নিজের ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে চায় তাদের বেশিরভাগের কাছে মালয়েশিয়া বিশেষভাবে পছন্দনীয়। কোননা মালয়েশিয়ার সমৃদ্ধ অর্থনীতি ও অনুকূল ব্যবসায়িক পরিবেশ বিনিয়োগকারীদের প্রতিনিয়ত হাতছানি দিতে থাকে। তাইতো বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া গিয়ে চাকুরির পাশাপাশি অনেকেই নিজের ব্যবসা শুরু করেছেন। কেউ হয়তো পরিকল্পনা করছেন মালয়েশিয়ায় নতুন কোনো ব্যবসা শুরু করবেন।

কিন্তু যে কোনো দেশে ব্যবসা শুরু করার আগে অবশ্যই ঐ দেশের ব্যবসায়িক পরিবেশের সম্পর্কে জেনে নেয়া জরুরি। ঠিক তেমনই মালয়েশিয়ায় কোন ধরনের ব্যবসা শুরু করলে সফলতা আসবে এই সম্পর্কে আগে ধারণা নিয়ে সেই অনুযায়ী আপনাদের পরিকল্পনা করা উচিত। জেনে রাখা ভালো, মালয়েশিয়ায় বর্তমান সময়ে সেবামূলক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলো সবথেকে বেশি সফল হচ্ছে।

তাছাড়া উৎপাদন মূলক প্রতিষ্ঠানও যে পিছিয়ে আছে এমনটা কিন্তু নয়। এখানে সবথেকে লাভজনক ও জনপ্রিয় ২০ টি বিজনেস আইডিয়া শেয়ার করছি যা আপনি মালয়েশিয়া গিয়ে শুরু করতে পারবেন। আপনি এখান থেকে আপনার দক্ষতা, পুঁজি ও আগ্রহের ওপর ভিত্তি করে যে কোনো একটি ব্যবসা শুরু করতে পারেন মালয়েশিয়ার মাটিতে।

১. আমদানি-রপ্তানি ব্যবসা

আপনার বিজনেস প্ল্যান যদি বৃহৎ খাতে হয় এবং যথেষ্ট পুঁজি থাকে তবে আপনি মালয়েশিয়ায় গিয়ে আমদানি-রপ্তানি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এক্ষেত্রে ইনভেস্টমেন্ট ও ব্যবসায়িক দক্ষতা যেমন বেশি প্রয়োজন তেমনই মুনাফাও তুলনামূলক অনেক বেশি। মূলত আন্তর্জাতিক বাজার সম্পর্কে যাদের ব্যপক ধারণা আছে ও বিভিন্ন দেশে নিয়মিত ভ্রমণের অভ্যাস আছে তাদের জন্য এটি উপযুক্ত একটি ব্যবসা।

মালয়েশিয়া বিভিন্ন দেশ থেকে কেমিক্যাল, অপরিশোধিত তেল, পেট্রোলিয়াম সহ বিভিন্ন পণ্যের কাঁচামাল আমদানি করে। অন্যদিকে ইলেকট্রনিক পণ্য, রাবার, লোহা, রড সহ অনেক পণ্য রপ্তানি করে। মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক পার্টনার হিসেবে সিঙ্গাপুর, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, চিন, হংকং, ভিয়েতনাম সহ বেশ কয়েকটি দেশ গুরুত্বপূর্ণ।

তো আপনার যদি আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যবসায় স্থাপন করার প্রচেষ্টা থাকে তবে মালয়েশিয়াকে কেন্দ্র করে এটি শুরু করতে পারেন। তাছাড়া বাংলাদেশ থেকে পোশাক রপ্তানি ও মালয়েশিয়া থেকে ইলেকট্রনিকস পণ্য আমদানির মাধ্যমেও আপনি আপনার ব্যবসায়ের যাত্রা শুরু করতে পারেন।

২. কনস্ট্রাকশন বিজনেস

মালয়েশিয়ায় সরকারি ও বেসরকারি ভাবে কন্সট্রাকশন ডিল করে বেশ ভালো মুনাফা লাভ করা সম্ভব। এজন্য আপনি একটি এজেন্সি খুলতে পারেন। অথবা ব্যক্তিগত ভাবেও বিভিন্ন মালিকের সাথে চুক্তিতে কাজ নিতে পারেন। মালয়েশিয়ায় কনস্ট্রাকশন খাতে দিন দিন কর্মসংস্থানের পরিমাণ বেড়েই চলেছে।

যেহেতু আপনি বাংলাদেশী নাগরিক, তাই মালয়েশিয়া গিয়ে কনস্ট্রাকশন বিজনেস শুরু করা আপনার জন্য একটি প্লাস পয়েন্ট। কেননা মালয়েশিয়ায় আপনি অনেক বাঙালি শ্রমিক বিনা পরিশ্রমেই একত্রিত করতে পারবেন। তাই কনট্রাক্ট নিয়ে আপনার কাজ ওঠাতে খুব বেশি বেগ পেতে হবে না।

বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় গিয়ে বিজনেস করার জন্য কনস্ট্রাকশন খাত সবার কাছেই তুলনামূলক বেশি গুরুত্ব পায়। তাছাড়া আপনি নির্মাণ সামগ্রীর সরবরাহ সংক্রান্ত ব্যবসা শুরু করতে পারেন। যেমন: সিমেন্ট, ব্লক, রড, স্যানিটারি পণ্য ইত্যাদি।

৩. রিয়েল এস্টেট বিজনেস

মালয়েশিয়ায় রিয়েল এস্টেট মার্কেটের রমরমা পরিবেশ রয়েছে। প্লট, এপার্টমেন্ট, বাড়ি বা নির্মাণ সামগ্রী ক্রয় বিক্রয়ের মধ্যস্ততাকারী হিসেবে আপনি কাজ করতে পারবেন। এজন্য আপনার অবশ্যই একটি রিয়েল এস্টেট এজেন্সি প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন।

পাশাপাশি আপনার এই এজেন্সি মালয়েশিয়ার সরকার কর্তৃক নিবন্ধিত হতে হবে। মালয়েশিয়ায় ইতোমধ্যে অনেক স্বনামধন্য রিয়েল এস্টেট এজেন্সি বেশ সফলতার সাথে কাজ করছে। এই সম্ভাবনাময় সেক্টরকে কাজে লাগিয়ে আপনিও নিজের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন আনতে পারেন।

তবে এই ব্যবসায়ে নামার আগে ঐ দেশের হালচাল, স্থানীয়দের রুচি, বাজার ব্যবস্থা থেকে শুরু করে যাবতীয় সকল বিষয়ে স্বচ্ছ ধারনা ও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে হবে।

৪. রাবার চাষ ও বাজারজাতকরণ ব্যবসা

বিশ্বের প্রাকৃতিক রাবারের মোট চাহিদার ৪৬% মালয়েশিয়া পূরণ করে থাকে। প্রতিবছর ১ থেকে ৫ মিলিয়ন টন রাবার উৎপাদন করে এই দেশের স্থায়ী ও অস্থায়ী বাসিন্দারা। বাংলাদেশ থেকে যারা কৃষি ভিসায় মালয়েশিয়া পাড়ি জমায় তাদের অনেকেই রাবার চাষের কাজের সাথে জড়িত। সুতরাং আপনি বানিজ্যিক ভাবে জমি লিজ নিয়ে রাবার চাষ শুরু করতে পারেন।

যেহেতু আপনার বাংলাদেশী শ্রমিকদের সাথে লিংক ভালো থাকবে, তাই কৃষি জমিতে জনবলের জন্য বেগ পেতে হবে না। তাছাড়া মালয়েশিয়ায় রাবারের মার্কেট বেশ রমরমা বলে ক্রেতা সংকটে পড়ার সম্ভাবনাও নেই।

মালয়েশিয়া থেকে চিন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র সহ বিভিন্ন উন্নত দেশ গুলোতে সরাসরি রাবার রপ্তানি হয়। তাই আপনার উৎপাদিত রাবার সরাসরি এক্সপোর্ট করে কিংবা স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে হস্তান্তর করে বেশ ভালোই লাভবান হতে পারবেন।

৫. ট্রাভেল এজেন্সি

মালয়েশিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বানিজ্যিক কেন্দ্র হওয়ায় প্রতিনিয়ত এখানে বিভিন্ন দেশ থেকে লোকজনের আনাগোনা ঘটতে থাকে। বেশিরভাগ ফরেনার মালয়েশিয়ার অভ্যন্তরীণ যাতায়াত সম্পর্কে কিছুই জানেন না। তাদের একমাত্র ভরসা ট্রাভেল এজেন্সি।

কেননা অনলাইনের মাধ্যমে যে কোনো ট্রাভেল এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করলে তারাই সার্বিক সহযোগিতা করতে পারবে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আপনি আপনার বিজনেস প্ল্যান করতে পারেন। এক্ষেত্রে প্রাথমিক পর্যায়ে আপনি বাংলাদেশী ক্লায়েন্ট দের টার্গেট করে কাজ শুরু করতে পারেন। পরবর্তীতে অভিজ্ঞতা বৃদ্ধির সাথে সাথে আপনার ব্যবসায়ের পরিধি বাড়াতে পারবেন।

৬. ট্যুর গাইড সার্ভিস

মালয়েশিয়ায় ব্যবসায়িক প্রয়োজন ছাড়াও বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটকদের আগমন ঘটে। তারা মুলত আধুনিক মালয়েশিয়ার সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্যই সেই দেশে পাড়ি জমায়। কিন্তু মালয়েশিয়ার কোন প্রান্তে কোন দর্শনীয় স্থান আছে, সেখানে কীভাবে পৌঁছাতে হবে, প্রতিকূল পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দিতে হবে এসব বিষয়ের কিছুই একজন ফরেন ট্রাভেলার অবগত থাকে না।

তাই একজন ট্যুর গাইড এর সাহায্য নিয়ে ট্রাভেলার সহজেই মালয়েশিয়া এক্সপ্লোর করতে পারবে। আপনি যদি মালয়েশিয়ায় বেশ লম্বা সময় অবস্থান করেন ও নিয়মিত এই দেশে ঘোরাফেরা করেন তবে এই সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেন। আপনার সহযোগী কয়েকজন পার্টনারকে সাথে নিয়ে চালু করতে পারেন ট্যুর গাইড এজেন্সি। সাথে অনলাইন বুকিং সার্ভিস এভেইলএবেল থাকলে এটা হবে আপনার ব্যবসায়ের মূল চালিকাশক্তি।

৭. ই-টিকেটিং ও হোটেল বুকিং সার্ভিস

মালয়েশিয়া ঘুরতে যাওয়ার আগেই অনেকে তাদের ট্যুর প্ল্যান সাজিয়ে ফেলে এবং সেই অনুযায়ী সকল ব্যবস্থা করে রাখে। বেশিরভাগ ট্যুরিস্ট অভ্যন্তরীণ যাতায়াতের জন্য আগে থেকে অনলাইনে টিকেট বুক করে রাখে। আবার মালয়েশিয়া পৌঁছে কোন হোটেলে উঠবে সেটাও আগে থেকে বুকিং দিয়ে রাখে।

ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি কিংবা হোটেলের সাথে ক্রেতার সম্পর্ক স্থাপনের মধ্যস্ততাকারী হয়ে আপনি কাজ করতে পারেন। আপনি অনলাইনে ক্রেতার বুকিং কনফার্ম করে তা ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি ও হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছে সরবরাহ করবেন। ফলে তাদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট হারে কিছু কমিশন পাবেন। এই সহজ অনলাইন সার্ভিস টি দেয়ার মাধ্যমে আপনি যেমন একটি ব্যবসা দাঁড় করালেন তেমনি গ্রাহকদেরও উপকার হলো।

৮. ফ্যাশন এবং পোশাক ব্যবসা

বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর মতো মালয়েশিয়ার স্থানীয়রা বেশ ফ্যাশন সচেতন। পোশাক, প্রসাধনী, জুতা, ব্যাগ থেকে শুরু করে সব ধরনের ফ্যাশন আইটেম এর চাহিদা রয়েছে মালয়েশিয়ায়। তাছাড়া যেহেতু নিয়মিত এই দেশে ফরেনার দের আনাগোনা ঘটে তাই বিভিন্ন দেশের ক্রেতা একই মার্কেটপ্লেসে পেয়ে যাবেন।

পোশাক তৈরি বা অন্যান্য ফ্যাশন আইটেম তৈরির কারখানা স্থাপন করে আপনি আপনার বিজনেস শুরু করতে পারবেন। তাছাড়া আউটলেট স্থাপন, ফ্যাশন আইটেম এর এক্সপোর্ট ইমপোর্ট, পাইকারি ও রিটেইল সরবরাহকারী হিসেবে একটি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

তবে একদমই পুঁজি কম থাকলে ছোটখাটো একটি শপ ওপেন করে নির্দিষ্ট একটি কমিউনিটিকে টার্গেট করে ফ্যাশন প্রোডাক্ট বিক্রি শুরু করতে পারেন। তবে ফ্যাশন আইটেম নিয়ে কাজ শুরু করার আগে অবশ্যই মালয়েশিয়ান ফ্যাশন কালচার সম্পর্কে যথেষ্ট রিসার্চ করে নেয়া উচিত।

৯. রেস্টুরেন্ট ব্যবসা

মোটামুটি উচ্চ বাজেট থাকলে আপনি মালয়েশিয়ায় একটি রেস্টুরেন্ট চালু করতে পারবেন। এক্ষেত্রে মালয়েশিয়ান, এরাবিয়ান, চাইনিজ ও থাই রন্ধনশৈলী সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ হতে হবে। নয়তো এমন উপযুক্ত একটি মার্কেটপ্লেসে টিকে থাকা প্রায় অসম্ভব। মালয়েশিয়ায় একজন ফরেনার পুরোপুরি নিজস্ব মালিকানায় একটি বিলাসবহুল কিংবা সাধারণ মানের রেস্টুরেন্ট স্থাপন করার অনুমতি পায়।

তবে এজন্য আপনাকে পর্যাপ্ত পুঁজির স্টেটমেন্ট দেখিয়ে একটি অনুমতিপত্র সংগ্রহ করতে হবে ও নিবন্ধন করতে হবে। মূলত রেস্টুরেন্ট ব্যবসা মালয়েশিয়ায় একটি ইন্সট্যান্ট মুনাফা অর্জনের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে। তাই কম ঝুঁকি নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে চাইলে এটি হবে আপনার জন্য সবথেকে উপযোগী।

১০. হোম মেড ফুড সার্ভিস

সচেতন সমাজের অনেকেই রেস্টুরেন্টের খাবার পছন্দ করেন না। তারা বর্তমানে অনেকাংশেই হোম মেড ফুড এর ওপর নির্ভরশীল। বিশেষ করে মালয়েশিয়ায় যেখানে বাঙালী প্রবাসীদের অবস্থান বেশি, ঐ জায়গা গুলোতে বাঙালি গৃহিনীদের হাতের রান্নার চাহিদার কথা তো আর বলে বোঝানো সম্ভব নয়।

তাই প্রথম টার্গেট ক্রেতা হিসেবে আপনি বাঙালিদের তালিকাই সবার আগে রাখতে পারেন। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ব্যবসায়ের প্রচার করে ক্রেতা সংগ্রহ করতে পারবেন। এবং আপনার ক্লায়েন্ট এর চাহিদা অনুযায়ী বাড়ির তৈরি খাবার ডোর টু ডোর পৌঁছে দিয়ে নিয়মিত ক্রেতা সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারবেন।

যেহেতু আপনি নিজের ঘরে বসেই এই ব্যবসা পরিচালনা করবেন তাই এর জন্য লাগবে না বাড়তি কোনো মূলধন। তাই বাঙালি পুরুষ, মহিলা কিংবা স্টুডেন্ট প্রবাসীদের জন্য এটি একটি চমৎকার ও সময়োপযোগী বিজনেস আইডিয়া।

১১. ই-কমার্স বিজনেস

বর্তমানে মালয়েশিয়ার প্রায় সকল শ্রেণি-পেশার লোকজন অনলাইন কেনাকাটার প্রতি নির্ভর হয়ে পড়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য থেকে শুরু করে খাবার, পোশাক, প্রসাধনী, ঔষধ সহ যাবতীয় সকল কেনাকাটা হয় অনলাইনে। তাইতো বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে তাল মিলিয়ে মালয়েশিয়ায় ই-কমার্স বিজনেস প্রসার লাভ করছে।

আপনি আপনার অভিজ্ঞতা, পণ্যের সহজলভ্যতা ও ক্রেতার চাহিদা বিবেচনা করে এক বা একাধিক পণ্য বা সেবা নিয়ে ই-কমার্স বিজনেস শুরু করতে পারেন। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, হাই স্পিড ইন্টারনেট ও সহজ ডেলিভারি সিস্টেম থাকায় মালয়েশিয়ার উল্লেখযোগ্য পয়েন্ট গুলোতে ই-কমার্স বিজনেস বেশ সহজ হয়ে উঠেছে। তাই কম পুঁজি নিয়ে অতিদ্রুত বিজনেস শুরু করতে চাইলে চলে যেতে পারেন ই-কমার্স সেক্টরে।

১২. কম্পিউটার ও মোবাইল মেরামত

বাংলাদেশ থেকে অনেকেই কম্পিউটার মোবাইল বা অন্যান্য ইলেকট্রনিকস পণ্যের সার্ভিসিং শিখে মালয়েশিয়ায় যায় কাজের সন্ধানে। বেশিরভাগেরই মূল লক্ষ থাকে কোনো একটি সার্ভিসিং সেন্টারে চাকরি নেয়া। কিন্তু কাজ করতে করতে বেশ ভালো দক্ষ হয়ে উঠলে আপনি নিজেই একটি ছোটো স্টল নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

এক্ষেত্রে বাংলাদেশের থেকে তুলনামূলক অনেক বেশি মুনাফা অর্জন করতে পারবেন। যেহেতু বর্তমান সময়ে উন্নত বিশ্বের প্রায় প্রতিটি মানুষ প্রযুক্তি নির্ভর তাই প্রযুক্তির সার্ভিসিং এর প্রয়োজনও বেশি। তাই কাজ জানা থাকলে ক্লায়েন্ট এর সংকট পোহাতে হবে না।

১৩. তেল ও গ্যাস সরবরাহ

তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস মালয়েশিয়ার অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্থানীয়ভাবে আপনি তেল ও গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তৈরির মাধ্যমে আপনার ব্যবসা শুরু করতে পারবেন৷ বর্তমানে দেশটিতে ৩৫০০ টিরও বেশি তেল ও গ্যাস সরবরাহকারী কোম্পানি রয়েছে। তাই এই সেক্টরে কাজ শুরু করার আগে প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠান, তেল ও গ্যাসের সরবরাহ, বাজার মূল্য, সম্ভাব্য ক্রেতা সম্পর্কে যথেষ্ট রিসার্চ করা জরুরি। তবে আপনি যদি বেশি মুনাফার আশায় মালয়েশিয়া গিয়ে ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে তেল ও গ্যাস সরবরাহকারী হিসেবে কাজ করাটাই হবে শ্রেয়।

১৪. ক্লিনিং সার্ভিস

মালয়েশিয়ার নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান তুলনামূলক বেশ উন্নত। তাই তাদের ঘরবাড়ি বেশ বিলাসবহুল ধাচে নির্মান করা হয়। আর এই ইন্টেরিয়র এর রক্ষণাবেক্ষণের জন্যও বেশিরভাগ বাড়িতে থাকে আলাদা বাজেট। এই বিশেষ বাজেটের ওপর টার্গেট নিয়ে গড়ে তুলতে পারেন ক্লিনিং সার্ভিস এজেন্সি। আপনি এবং আপনার প্রতিষ্ঠানের কাজ হবে ক্লায়েন্ট এর বাড়ির ইন্টেরিয়র থেকে শুরু করে যাবতীয় আসবাব ক্লিন করা এবং পরিচর্যা করা। এক্ষেত্রে চুক্তি ভিত্তিতে আপনি ক্লায়েন্ট এর চাহিদা মাফিক ক্লিনিং সার্ভিস প্রোভাইড করবেন ও কাজ শেষে চুক্তি অনুযায়ী আপনি আপনার পেমেন্ট আদায় করে নিতে পারবেন। মালয়েশিয়ার উন্নত এলাকা গুলোতে এই ধরনের বিজনেসে বেশ ভালো সাড়া পাওয়া যায়।

১৫. লন্ড্রি সার্ভিস

মালয়েশিয়ার স্থানীয়রা সাধারণত কর্মব্যস্ত জীবন কাটায়। কাপড় পরিষ্কার করা, ইস্ত্রি করা বা এই জাতীয় ঘরোয়া কাজ করার জন্য তাদের খুবই কম সময় বরাদ্দ থাকে। তাই বেশিরভাগ কাপড় চলে যায় লন্ড্রিতে। তাই মালয়েশিয়া গিয়ে আপনি নামমাত্র পুঁজি নিয়ে একটি লন্ড্রি সার্ভিস বিজনেস শুরু করতে পারেন। ডোর টু ডোর কালেশন ও ডেলিভারি করতে পারলে আপনার সর্বোচ্চ ক্লায়েন্ট পাওয়ার চান্স থাকবে। এজন্য আপনার লোকবল বেশি লাগবে এবং মুনাফাও বেশি আসবে। ডোর টু ডোর সার্ভিস না দিতে পারলেও এলাকাভিত্তিক স্টল ওপেন করে সার্ভিস দেয়া শুরু করতে পারেন।

১৬. বেবি কেয়ার সার্ভিস

মালয়েশিয়ায় নারী পুরুষ সমানতালে ঘরে বইরে কাজ করেন। তাই তাদের হরহামেশাই বেবি কেয়ার সার্ভিস প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে নিউ বর্ন বেবির মায়েদের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সেবা। যে সকল বাংলাদেশী প্রবাসী ভাইয়ের গৃহিনীরা পারমানেন্ট ভাবে মালয়েশিয়া থাকার সুযোগ পেয়েছেন তারা চাইলেই এই বেবি কেয়ার সার্ভিস এর মাধ্যমে একটি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। প্রাথমিক অবস্থায় একদম শূন্য পুঁজিতে নিজের বাড়িতে বসেই এই সার্ভিস দিতে পারেন। মোটামুটি আয় বাড়লে একটি এজেন্সি চালু করতে পারেন। সেই সাথে প্রি স্কুলিং সার্ভিস দেয়া শুরু করতে পারেন।

১৭. পেট কেয়ার সার্ভিস

অনেকেই শখের বসে বিভিন্ন পশুপাখি পালন করেন এবং তাকে নিজের পরিবারের সদস্যদের মতোই ট্রিট করেন। তো এই শৌখিন ও পোষা প্রাণী প্রিয় মানুষগুলো কর্মব্যস্ত হয়ে পড়লে তাদের জন্য পেট কেয়ার সার্ভিস একটি স্বস্তির জায়গা হয়ে ওঠে। মালয়েশিয়ায় ইতোমধ্যেই অনেক পেট কেয়ার সার্ভিস এজেন্সি তৈরি হয়েছে। আপনার যদি পশুপাখির প্রতি বিশেষ আকর্ষণ থাকে তবে আপনি এই সেক্টরে কাজ শুরু করতে পারেন। মূলত স্টুডেন্ট ও মহিলাদের জন্য এই ব্যবসাটি বেশ উপযোগী।

১৮. পেইন্টিং সার্ভিস

আগেই বলা হয়েছে, মালয়েশিয়ার লোকাল মানুষজন একটু বিলাসবহুল ধাচে থাকতে ভালোবাসে। তাইতো তাদের বাড়ি বা অফিসের ইন্টেরিয়র হয় একটু ইউনিক। বিশেষ করে ইন্টেরিয়রে পেইন্টিং করানোর প্রচলন ইদানিং তুলনামূলক বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে।

তাই পেইন্টিং সার্ভিস সেক্টরে ক্লায়েন্ট এর সংখ্যাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে থ্রিডি পেইন্টিং বর্তমান সময়ে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। বাংলাদেশ থেকে পেইন্টিং এর ওপর প্রফেশনাল প্রশিক্ষণ নিয়ে মালয়েশিয়া গিয়ে আপনি পেইন্টিং সার্ভিস বিজনেস শুরু করতে পারেন। এক্ষেত্রে তুলনামূলক বেশি পারিশ্রমিকে বেশ ভালো ভালো কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

১৯. ডিপার্টমেন্টাল স্টোর

মালয়েশিয়া সহ বিশ্বের প্রতিটি দেশেই ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের গুরুত্ব অনেক। বাংলাদেশ থেকে অনেক প্রবাসী মালয়েশিয়া গিয়ে ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে সেলসম্যান এর চাকরি নেন। এক পর্যায়ে তাদের এই সেক্টরে বেশ ভালো দক্ষতা চলে আসে। কোথা থেকে পণ্য সংগ্রহ করতে হবে, কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট এর মার্কেট চাহিদা বেশি, কোন পণ্যের মুনাফা বেশি, কোন পণ্যের ক্রেতা বেশি ইত্যাদি বিষয় ভালোভাবে আয়ত্তে চলে আসে।

এ পর্যায়ে আপনি একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোর নিজেই চালু করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে ব্যবসায়ের জন্য নিবন্ধন করতে হবে পাশাপাশি যথেষ্ট পুঁজি একত্রিত করতে হবে৷ এক্ষেত্রে চাকরির তুলনায় কয়েকগুণ বেশি আয় হবে ও স্বাধীন ভাবে কাজ করার স্বাদ পাওয়া যাবে। তবে পূর্ব অভিজ্ঞতা ছাড়া বিদেশের মাটিতে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোর চালু না করাই শ্রেয়।

২০. ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট

মালয়েশিয়ায় স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ও পরিবারগুলো যে কোনো প্রোগ্রাম বা অনুষ্ঠানের পুরো দায়িত্ব যে কোনো একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির ওপরে ছেড়ে দেয়। বিনিময়ে চুক্তি ভিত্তিতে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এর জন্য পেমেন্ট করা হয়। তবে বর্তমানে যে কোনো সাধারণ মানের প্রোগ্রামের কাজ গুলোও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির আওতায় চলে এসেছে।

তাই আপনি চাইলে কয়েকজন লোকবল ও সামান্য অর্থ বিনিয়োগ করে একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি চালু করতে পারেন। একটি ইভেন্ট প্ল্যানিং থেকে শুরু করে ইভেন্ট এর যাবতীয় কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার সক্ষমতা থাকলে আপনি এই কাজে সফল হতে পারবেন। আর ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এর প্রতিটা ডিল বেশ মোটা অঙ্কের হয় এটা তো কমবেশি আমরা সকলেই জানি।

 ২১. কার ওয়াশ সার্ভিস

‘কম বিনিয়োগে অধিক লাভ’ কথাটির সাথে কার ওয়াশ বিজনেস ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এক্ষেত্রে লাগবে শুধু আপনার বেশ কয়েকজন দক্ষ কর্মী। গত ১০ বছরে মালয়েশিয়ায় কার ওয়াশ ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ লক্ষনীয়ভাবে প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। বর্তমান সময়ে দেখা যায় মালয়েশিয়ার বেশিরভাগ স্থায়ী নাগরিকদের ব্যক্তিগত গাড়ি রয়েছে। সচরাচর তারা নিজেরাই ড্রাইভ করে থাকেন। আর দিনশেষে গাড়ির ক্লিনিং এর জন্য তাদের কার ওয়াশ সার্ভিস এর মুখাপেক্ষী হতে হয়। তাছাড়া কমার্শিয়াল কাজে ব্যবহৃত গাড়ির ক্লিনিং এর জন্যও কার ওয়াশ সার্ভিস প্রয়োজন। তাই মালয়েশিয়ায় কার ওয়াশ সেক্টরে অহরহ ক্লায়েন্ট পাওয়া একটি স্বাভাবিক বিষয়। আপনার যদি কয়েকজন দক্ষ জনবল মালয়েশিয়ায় থাকে, তবে যথাযথ পরিকল্পনা করে একটি বিজনেস শুরু করতে পারবেন সহজেই।

২২. রেন্ট এ কার

মালয়েশিয়ায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে ফরেনারদের প্রথম পছন্দ রেন্ট এ কার। তাছাড়া স্থানীয়দের মধ্যে যাদের ব্যক্তিগত গাড়ি নেই তাদের একমাত্র ভরসা রেন্ট এ কার। ভ্রমণ, ব্যক্তিগত যাতায়াত, অফিশিয়াল কার্যক্রম পরিচালনা থেকে শুরু করে সব ধরনের যাতায়াতের প্রয়োজনে ভাড়ায় গাড়ি ব্যবহারের প্রচলন সেখানে রয়েছে। তাই রেন্ট এ কার এজেন্সি চালু করে আপনি লাভজনক একটি ব্যবসায়া শুরু করতে পারবেন। এজন্য অবশ্যই আপনার এজেন্সির জন্য রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে এবং লিগ্যাল পাসপোর্ট সহ যাবতীয় ডকুমেন্টস এর শতভাগ স্বচ্ছতা প্রমাণ করতে হবে। ইতোমধ্যেই মালয়েশিয়ায় বেশ বড় বড় রেন্টাল এজেন্সি মার্কেট দখল করে নিয়েছে। তাই অনলাইন ও অফলাইনে সমানতালে বুকিং সিস্টেম চালু করে ও সর্বোচ্চ সার্ভিস প্রদান করে আপনাকে বিজনেস রানিং করতে হবে।

২৩. রেন্ট এ ফ্ল্যাট

ইতোমধ্যে হয়তো বুঝে গেছেন মালয়েশিয়া একটি ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস কান্ট্রি। তাই ঐ দেশের লোকাল জনগণ ছাড়াও ফরেনার দের জন্য আবাসনের প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে অস্থায়ী বাসিন্দাদের জন্য ভরসার জায়গা রেডি ফ্ল্যাট ভাড়া। আপনি জমি লিজ নিয়ে অ্যাপার্টমেন্ট তৈরি করে রেন্টাল ফ্ল্যাট বিজনেস শুরু করতে পারেন। তাছাড়া জমি কেনার মতো এবিলিটি থাকলে অবশ্যই তা তুলনামূলক বেশি সুবিধাজনক হবে। তবে মালয়েশিয়ায় অ্যাপার্টমেন্ট তৈরির আগে আপনাকে ইনকাম সোর্স, ব্যাংক ড্রাফট সহ যাবতীয় সকল নথিপত্রের বৈধতা প্রমাণ করতে হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সরকারি অনুমোদন প্রাপ্তির মাধ্যমে আপনি আপনার বিজনেস শুরু করতে পারবেন। বিনা পরিশ্রমে মোটা অঙ্কের মুনাফা লাভের জন্য একটি ইউনিক বিজনেস এটি।

২৪. জেনারেল ট্রেডিং

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো মালয়েশিয়ায় জেনারেল ট্রেডিং অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসা। আপনি দেশীয় অভ্যন্তরীণ মার্কেটে কিংবা আন্তজার্তিক আমদানি-রপ্তানি খাতে একজন মধ্যস্থতাকারী হিসেবে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। ইতোমধ্যে মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন পণ্যের ওপর ২১৫ টিরও বেশি জেনারেল ট্রেডিং কোম্পানি কাজ করছে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন মালয়েশিয়ার মতো একটি ব্যবসায় কেন্দ্রিক দেশে ট্রেডিং বিজনেস আপনাকে কতোটা সাকসেস এনে দিবে। কেমিক্যাল, ইলেকট্রনিক, বেভারেজ, পোশাক, বিভিন্ন পণ্যের কাঁচামাল সহ হাজারো পণ্য থেকে নিজের পছন্দের সেক্টরটি বেছে নিয়ে আপনি ট্রেডিং বিজনেস শুরু করতে পারবেন। প্রাথমিক অবস্থায় মূলধন কম থাকলে দেশের অভ্যন্তরীণ মার্কেটে খুচরা বিক্রেতাদের টার্গেট করে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করতে পারেন।

২৫. আইটি বিজনেস

ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রসার আইটি সেক্টরকে বেশ সমৃদ্ধ করেছে। মালয়েশিয়ায় একটি আইটি ফার্ম প্রতিষ্ঠা করে সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে পারলে আপনাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হবে না। ইন্টারনেট সেবা, ডিজিটাল স্কিলস ট্রেইনিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, কম্পিউটার সিকিউরিটি, সোস্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, থ্রিডি পেইন্টিং সহ বিভিন্ন ধরনের আইটি সার্ভিস নিয়ে আপনি আপনার আইটি বিজনেস শুরু করতে পারেন। সুতরাং আপনার আইটি স্কিল কাজে লাগিয়ে এবং সহকারী কয়েকজন আইটি এক্সপার্ট এর সহযোগিতায় শুরু করে দিন মালয়েশিয়ার একটি লাভজনক ট্রেন্ডিং বিজনেস।

বিশেষ নোটিশঃ

মালয়শিয়াতে বাইরের দেশ থেকে যারা যায় তাদের জন্য কিছু বিজনেস করার অনুমতি দেওয়া হয় না। বিজনেস গুলোর তালিকা নিম্নে দেওয়া হচ্ছে। আপনারা এই বিজনেস গুলো এভয়েড করে আপনাদের পরিকল্পনা সাজাবেন আশা করি।

  1. পেট্রোল পাম্প / পেট্রোল ষ্টেশন
  2. স্পা
  3. সাইবার ক্যাফে
  4. জুয়েলারি শপ
  5. শপ
  6. পাব এবং বার

শেষকথা
মালয়েশিয়া গিয়ে কোন ধরনের ব্যবসা শুরু করবেন এই আইডিয়া নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন আপনার মনে নেই বলেই আশাকরি। এবার সিদ্ধান্ত নেয়ার পালা আপনার। আপনি কোন সেক্টরে ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে পারবেন, আপনার পুঁজি কতোটুকু, আপনার দক্ষতা কতোটুকু তার ওপরে নির্ভর করে আপনি যে কোনো একটি ব্যবসা বাছাই করে নিতে পারেন। আর নির্দিষ্ট পথ বাছাই করে নিতে পারলে সেক্ষেত্রে গন্তব্যে পৌঁছানো বেশ সহজ হয়। ধন্যবাদ।

Scroll to Top