প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপরূপ বৈচিত্র্যে ভরপুর বাংলাদেশের বান্দরবান জেলা। এই জেলার পাহাড়, ঝর্ণা ও প্রকৃতিক জলাশয়ের এক বৈচিত্র্যময় পরিবেশ প্রতিনিয়ত হাতছানি দেয় দেশ বিদেশের পর্যটকদের। আপনার পরবর্তী ট্যুর প্লান যদি বান্দরবান হয় তাহলে ভ্রমণ তালিকায় মায়ালেক অবশ্যই প্রাধান্য পায়। বান্দরবান ঘুরতে গিয়ে মায়ালেক এর মায়ায় ধরা না দিলে লস ছাড়া লাভ কিছুই হবে না।
তাছাড়া বান্দরবানের অন্যান্য পর্যটন স্পট গুলোর চাইতে মায়ালেকে পৌঁছানো খুব সহজ। তাই মায়ালেক এর সৌন্দর্য মিস করার কোনো প্রশ্নই আসে না।বাংলাদেশের বিখ্যাত পর্যটন এলাকা বান্দরবানে সৃষ্টি হওয়া একটি প্রাকৃতিক লেক হলো মায়ালেক। আকার ও আয়তনের দিক থেকে খুব বেশি বড় না হলেও এর স্বচ্ছ সবুজ পানি ও চারদিকের পাহাড়ে ঘেরা চিরসবুজ প্রকৃতি আপনাকে মুগ্ধ না করে পারবে না। আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবেন মায়ালেক ভ্রমণের আকর্ষণীয় বিষয় সমূহ, মায়ালেক যাওয়ার উপায় ও সেখানে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা সহ বিস্তারিত সকল তথ্য।
মায়ালেক কোথায়?
বান্দরবান জেলার আলীকদমে মায়ালেক এর অবস্থান। আলীকদম আবাসিক থেকে ডিম পাহাড় যাওয়ার পথে মায়ালেক এর ভিউ পয়েন্ট দেখতে পাওয়া যায়। আলীকদম থেকে পাঁচ মাইল গিয়ে সেখান থেকে মাটির রাস্তা ধরে ভেতরের দিকে চলে যেতে হবে। পায়ে হেঁটে কিছুটা পথ সামনের দিকে আগালেই মায়ালেক এর সন্ধান মিলবে। তাছাড়া আলীকদম টু থানচি রোড ধরে পাঁচ মাইল পৌঁছালে প্রধান সড়কের পাশেই মায়ালেক পর্যটন কেন্দ্র দেখা যাবে। সেখান থেকেও মায়ালেক এর ভিউ উপভোগ করতে পারবেন।
মায়ালেক ভ্রমনের উপযুক্ত সময়
মায়ালেক একটি প্রকৃতিক ভাবে গড়ে ওঠা লেক বলে এর সৌন্দর্যও ঋতুচক্রের ওপর নির্ভর করে। ভরা বর্ষায় যখন মায়ালেক পানিতে টইটুম্বুর হয়ে ওঠে ঠিক তখনই মায়ালেক ভ্রমণের উপযুক্ত সময়। শীতে মায়ালেকের পানি একদম শুকিয়ে যায় বললেই চলে। লেকের একদম শেষ প্রান্তে খুবই সামান্য পানি থাকে৷ ফলে এর আসল সৌন্দর্য ধরা দেয় না। তাই বর্ষা মৌসুমকে বেছে নিন মায়ালেক ভ্রমনের উপযুক্ত সময় হিসেবে। জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে বান্দরবান ট্যুর প্লান থাকলে মায়ালেক’কে তালিকায় রাখতে পারেন।
মায়ালেক ভ্রমণে গিয়ে যা যা করবেন
বান্দরবানের অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্র গুলোর মতো মায়ালেক ভ্রমণেও রয়েছে ব্যাপক চমক। তবে মায়ালেক গিয়ে কোন কোন বিষয় গুলো উপভোগ করবেন তা নির্ভর করবে আপনার হাতে থাকা সময়ের ওপর। সেই সাথে কোন মৌসুমে আপনি মায়ালেক ভ্রমণে যাচ্ছেন সে বিষয়ের ওপরও মায়ালেক এর উপভোগ্য বিষয়বস্তু নির্ভরশীল। জেনে নিন মায়ালেক ভ্রমনের উপভোগ্য বিষয় সম্পর্কে।
১. প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করুন
মায়ালেক ভ্রমণের মূল উদ্যেশ্যই হলো এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা। সবুজে ঘেরা পাহাড়ি পরিবেশের মধ্যে স্বচ্ছ সবুজ পানির মোহনীয় রূপ যে কাউকে মুগ্ধ করবে। লেকের পাড় গুলো এঁকেবেঁকে একটা লম্বাটে আকৃতি ধারণ করেছে। তাই লেকটি দেখতে অনেকটা বড় খালের মতো মনে হয়। দু-পাশে উঁচু পাড় উঠে গেছে ওপরের দিকে। আছে নানান প্রজাতির পাহাড়ি গাছ গাছালি ও জীবজন্তু। লেকের পানিতে হঠাৎ করেই লাফিয়ে ওঠে জানা অজানা বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। মাটির ছোট রাস্তা ধরে লেকের কিনারায় নেমে যেতে যেতে হারিয়ে যাবেন প্রকৃতির বুকে। পাহাড়, পানি, গাছপালা ও জীবজন্তু সব মিলিয়ে এক চমৎকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি এই মায়ালেক।
২. মায়ালেকে গোসল করুন
মায়ালেক ঘুরতে গিয়ে গোসল না করতে পারলে ভ্রমনের আসল মজাই পাবেন না। দলবল নিয়ে লেকের পানিতে সাতার কাটা, পানিতে হুটোপুটি করা যেন এক নতুন এডভেঞ্চার। স্বচ্ছ শীতল পানিতে ভেসে ভেসে কাটিয়ে দিতে পারবেন কয়েক ঘন্টা। এর মধ্যে যদি বৃষ্টি নেমে পড়ে তাহলে তো আরও দারুন হয়। তবে এই এডভেঞ্চার পুরুষ পর্যটকদের জন্যই সবথেকে বেশি উপযুক্ত। তাই মায়ালেক ভ্রমনের যাওয়ার আগে গোসলের প্রস্তুতি হিসেবে প্রয়োজনীয় কাপড় ব্যাগে নিয়ে নিন। যারা ভালোভাবে সাতার জানে না তাদের লেকের পানিতে নামা উচিত না। কেননা লেকের গভীরতা অনেক বেশি।
৩. নৌকা নিয়ে ঘুরে আসুন
চাইলে মায়ালেক এর বুকে ছোট ডিঙি নৌকা নিয়ে ঘুরে বেড়াতে পারবেন। লেকের পাশেই একটি উঁচু ঢিবিতে ছোট একটি বাড়ি আছে। সেখানে নূরুল হক নামে এক মাঝি চাচাকে পাবেন। তার নৌকায় করে ঘুরতে পারবেন লেকের বুকে। ভিউ পয়েন্ট থেকে পুরো লেকটি ভালোভাবে দেখা যায় না তাই নৌকায় ভেসে ভেসে সম্পূর্ণ লেকটি ঘুরে দেখতে পারবেন। চাইলে নৌকা ভিরিয়ে কোথাও নেমে ঘুরে আসতে পারবেন। উপভোগ করতে পারবেন লেকের তীরের উঁচু পাহাড়ের সবুজে ঘেরা সৌন্দর্য। তবে নূরুল হক চাচার ডিঙি নৌকা খুব বেশি বড় নয়। তাই যারা সাতার জানে না কিংবা পানিতে নামলে ভয় পায় তাদের নৌকায় ভ্রমনের পরিকল্পনা বাদ দেয়া উচিত।
৪. ক্যাম্পিং করতে পারেন
যারা মায়ালেকে এসে একদিন থাকতে চান তারা এখানে ক্যাম্পিং করে থাকতে পারবেন। রাতের অন্ধকারে লেকের পাড়ে বসে প্রকৃতির মায়ায় আটকে পড়ার অভিজ্ঞতা কিন্তু দারুণ। লেকের পাড়ে ক্যাম্পিং করার জন্য সব ধরনের সাহায্য করবে নূরুল হক চাচা৷ যাদের হাতে পর্যাপ্ত সময় আছে তারা মায়ালেকের পাড়ে ক্যাম্পিং করার অভিজ্ঞতা অবশ্যই মিস করবেন না।
৫. মায়ালেক পর্যটন কেন্দ্র পরিদর্শন
আলীকদম টু থানচি রোডের পাশেই আছে মায়ালেক পর্যটন কেন্দ্র। যারা খুব অল্প সময় হাতে নিয়ে মায়ালেক দেখতে চান তারা মায়ালেক পর্যটন কেন্দ্র পরিদর্শন করতে পারেন। ডিম পাহাড়ে যাওয়ার পথে পর্যটন কেন্দ্রের সামনে গাড়ি থামিয়ে কিছু সময় এখানে কাটিয়ে যেতে পারেন। মায়ালেক পর্যটন কেন্দ্রের প্রধান আকর্ষণ ওয়াচ-টাওয়ার। ওয়াচ-টাওয়ার থেকে মায়ালেক এর ভিউ উপভোগ করতে পারবেন। তবে শীতের সময় এই ওয়াচ-টাওয়ার থেকে ঘন গাছপালা ও শুকনো লেকের মাটি ছাড়া আর কিছুই দেখা যায় না।
মায়ালেক যাওয়ার উপায়
মায়ালেক যেহেতু বান্দরবান জেলার আলীকদমে অবস্থিত তাই ঢাকা থেকে প্রথমে আলীকদম পৌঁছাতে হবে। আলীকদম থেকে স্থানীয় বাহনে করে চলে যেতে পারবেন মায়ালেকে। ঢাকা থেকে সরাসরি বাসে চেপে আলীকদম যেতে পারবেন। চাইলে রেলপথেও যেতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে সরাসরি আলীকদম যাওয়ার কোনো অপশন নেই। যারা এডভেঞ্চারপ্রেমী এবং ট্রেন ভ্রমনের শখ যাদের রয়েছে শুধুমাত্র তারা এই রুট বেছে নিতে পারেন৷
সড়কপথে ঢাকা টু আলীকদম
সড়কপথে আলীকদম যেতে চাইলে প্রথমে চলে যেতে হবে ঢাকার সায়দাবাদ বাসস্ট্যান্ডে। সেখান থেকে সরাসরি আলীকদম এর বাস পাওয়া যাবে। সায়দাবাদ টু আলীকদম রুটে সরাসরি চলাচল করে ‘শ্যামলী পরিবহন’। প্রতিদিন রাত ১০ টায় শ্যামলী পরিবহনের বাস ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করে। জনপ্রতি ভাড়া পড়বে ৮০০ টাকা।
রেলপথে ঢাকা টু আলীকদম
ঢাকা থেকে সরাসরি আলীকদমের কোনো ট্রেন নেই। ট্রেনে যেতে পারবেন চট্টগ্রাম পর্যন্ত। বাকি পথ সড়কপথে যেতে হবে। ঢাকা টু চট্টগ্রাম রুটে বেশ কয়েকটি ট্রেন দিনের বিভিন্ন সময়ে চলাচল করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো তূর্ণা এক্সপ্রেস, মহানগর এক্সপ্রেস, মহানগর প্রভাতী, সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ইত্যাদি। এসকল ট্রেনে শোভন চেয়ারের ভাড়া পরবে ৩৪৫ টাকা, প্রথম শ্রেনির চেয়ারের ভাড়া পড়বে ৪৬০ টাকা। তবে বাজেট একটু বেশি থাকলে প্রথম শ্রেনির কেবিনেও যাতায়াত করতে পারবেন।
চট্টগ্রাম স্টেশনে নেমে সেখান থেকে চলে যেতে হবে চকরিয়া নতুন বাজার। সড়কপথে চট্টগ্রাম থেকে চকরিয়া নতুন বাজার যেতে ভাড়া পড়বে জনপ্রতি ২৩০ টাকা। চকরিয়া থেকে স্থানীয় জীপে করে চলে যেতে হবে আলীকদম আবাসিকে। চকরিয়া থেকে আলীকদম পর্যন্ত জনপ্রতি ভাড়া পড়বে ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা।
আলীকদম আবাসিক থেকে মায়ালেক
আলীকদম আবাসিক থেকে বান্দরবানের বিভিন্ন স্পট ঘুরে দেখার জন্য বাইক ও চাঁদের গাড়ি পাওয়া যায়। দলে লোকজন বেশি হলে চাঁদের গাড়ি রিজার্ভ করে নিতে পারেন। অন্যদিকে ব্যক্তিগতভাবে গেলে বাইক ভাড়া করলেও হয়ে যাবে। চাঁদের গাড়িতে সব মিলিয়ে ১৪ জন লোক বসতে পারে। সারাদিনের জন্য একটি গাড়ি ভাড়া করে মায়ালেক সহ আসেপাশের সবগুলো স্পট ঘুরে দেখতে পারবেন। সারাদিনের জন্য গাড়ি রিজার্ভ করলে ভাড়া পড়বে চার হাজার টাকা। সেক্ষেত্রে এক এক জনের ভাড়া পরতে মোটামুটি ৩০০ টাকার মতো৷ তাছাড়া শুধু মায়ালেক যাওয়ার উদ্যেশ্যেও গাড়ি ভাড়া করতে পারবেন। এক্ষেত্রে রিজার্ভ গাড়ির ভাড়া পড়বে ১২০০ টাকা। গাড়ি নিয়ে সরাসরি চলে যেতে পারবেন মায়ালেক পর্যটন কেন্দ্রের প্রবেশ গেইটে। তাছাড়া প্রধান সড়কের পাশে গাড়ি থামিয়ে কিছুটা পায়ে হেটে ভেতরের দিকে চলে গেলেই পৌঁছে যেতে পারবেন মায়ালেকের একদম কিনারায়। এখান থেকে মায়ালেক এর ভিউ সবথেকে ভালোভাবে উপভোগ করতে পারবেন।
মায়ালেক ভ্রমনের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা:
মায়ালেক ভ্রমণ করে সেখানেই রাত্রি যাপনের চিন্তাভাবনা থাকলে আপনাকে আলীকদমেই থাকতে হবে। তবে সেখানে থাকার জন্য খুব ভালোমানের কোনো হোটেল পাবেন না। সাধারণ মানের একটি বোর্ডিং রয়েছে আলীকদমে। তাছাড়া আলীকদম বাসস্ট্যান্ড থেকে কিছুটা দূরে জেলা পরিষদের ডাক বাংলো রয়েছে। সেখানে মাত্র ১০ টি রুমের ব্যবস্থা আছে। সেখানে সুযোগ সুবিধা ভেদে রুম ভাড়া পড়বে ৫০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা। আর আলীকদম বাজারে জিয়া বোর্ডিং পাবেন৷ সেখানে দুই বেডের একটি রুমের ভাড়া পড়বে ৪৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা। তবে বোর্ডিং এর মান খুবই সাধারণ।
জিয়া বোর্ডিং এর মোবাইল নম্বর: ০১৮২৮-৯৩৩৬৩৩ বা, ০১৫৫৩৬০৩৯১৫।
খাওয়ার জন্য আলীকদম বাজারে সাধারণ মানের কিছু হোটেল ও অন্যান্য দোকান রয়েছে। সেখানে গিয়ে ফাইভ স্টার মানের হোটেল খোঁজা বোকামি ছাড়া কিছুই না।
আপনি যদি চান মায়ালেক এর ঠিক পাশেই রাত কাটাবেন তাহলে নূরুল হক চাচার সাহায্য নিতে পারেন। তার ঘরে একটি রুমে আপনাকে থাকার ব্যবস্থা করে দেবে। আবার চাইলে তার বাড়ির পেছনের খোলা জায়গায় ক্যাম্পিং করেও থাকতে পারবেন। মাঝি চাচার নৌকায় ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি থাকা খাওয়ার জন্য সার্বিক ভাবে তার সাহায্য পাবেন। নিজেরা বাজার করে নিয়ে এসে তার বাড়িতে রান্না করে খেতে পারবেন। প্রয়োজনীয় বাসনপত্র, খাওয়ার পানি ও টয়লেটের সুব্যবস্থা আছে তার বাড়িতে। আর নিরাপত্তার দিক থেকেও পুরোপুরি নিশ্চিত থাকতে পারেন। তবে যাওয়ার আগে অবশ্যই তাকে ফোন করে জানিয়ে রাখতে হবে।
মাঝি নূরুল হক: ০১৮৪৫-০১৮৪২১
রিলেটেডঃ
- আলীকদম টু থানচি
- থানচি আলীকদম সড়ক
- টোয়াইন খাল
- বান্দরবান থেকে আলীকদম
- ডিম পাহাড় ভ্রমণ
মায়ালেক ভ্রমণে খরচ
মায়ালেক ভ্রমনের সবথেকে সহজ মাধ্যম সড়কপথ। তাই এই পদ্ধতিতে ভ্রমণের ক্ষেত্রে একজন মানুষের আনুমানিক খরচের হিসাব তুলে ধরা হলো।
সায়দাবাদ টু আলীকদম বাস ভাড়া ৮০০ টাকা। আপ ডাউন ভাড়া হবে তাহলে ১৬০০ টাকা। আলীকদম থেকে মায়ালেক পর্যন্ত জনপ্রতি ভাড়া ৩০০ টাকা। আপ ডাউন খরচ তাহলে ৬০০ টাকা। এক্ষেত্রে যাতায়াতের মোট খরচ ২২০০ টাকা। রাতে থাকতে চাইলে বোর্ডিং ভাড়া সাধারণত ৫০০ টাকার মধ্যে হয়ে যাবে। ৩ বেলা খাওয়ার করচ আনুমানিক ৫০০ টাকা বা তার কম। তাহলে থাকা খাওয়ায় আনুমানিক ১০০০ টাকা খরচ হবে। সবমিলিয়ে মোট খরচ হবে ৩২০০ টাকা। এক্ষেত্রে দলে লোকসংখ্যা বেশি হলে থাকা খাওয়ার খরচ তুলনামূলক অনেক কম পড়বে। আবার সকালে গিয়ে সন্ধ্যা সাতটার বাসে ঢাকা ফেরত আসলেও থাকার খরচ লাগবে না। তবে সব মিলিয়ে মোটামুটি তিন হাজার টাকার মধ্যে মায়ালেক থেকে ঘুরে আসা সম্ভব।
অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে নিজেকে ধরা দিতে চাইলে অবশ্যই একবার মায়ালেক থেকে ঘুরে আসা উচিত। তবে বান্দরবান বেড়াতে গেলে শুধু মায়ালেকই নয় বরং এর আসেপাশের সবগুলো স্পট ঘুরে দেখা উচিত। এতে একই খরচ ও সময়ের মধ্যে বেশ কয়েকটি জায়গা ভ্রমনের অভিজ্ঞতা হবে। আর বান্দরবানের দর্শনীয় স্থানগুলোয় ঘুরতে গেলে একটি দলের সাথে যাওয়াই ভালো।