আমরা ছোটবেলায় আকাশে প্লেন বা বিমান উড়তে দেখে কত কিছুই না ভাবতাম। কেউ রাতের আকাশে উড়া প্লেনকে রকেট বলতো, কারো ধারনা ছিলো প্লেনের টয়লেট আকাশে সব ছেড়ে দেয়!কিন্তু বড় হওয়ার পর প্লেনের সম্পর্কে এসব ধারনা ভাঙ্গলেও অনেক তথ্যই আমরা জানিনা বা জানার চেষ্টা করিনা। আজকের পোস্টে প্লেন বা বিমানের ছবি ডাউনলোড করতে পারবেন সাথে প্লেন সম্পর্কে অনেক কিছু যানতেও পারবেন।
- বাংলাদেশ বিমানের ছবি
- US Bangla বিমানের ছবি
- কাতারের প্লেনের ছবি
- ওমানের প্লেনের ছবি
- দুবাই বিমানের ছবি
বিমানের ছবি – প্লেনের পিক












বিমান সম্পর্কে ২০ টি তথ্য:
১. বিশ্বের প্রথম বিমান উড়েছিল ১৯০৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর। উড়িয়েছিলেন রাইট ভ্রাতারা।
২. বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমান হল আন্তোনোভ An-225 মরিয়া। এই বিমানটি কিছুদিন আগে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে ধ্বংস হয়ে গেছে। মূলত কার্গো বিমান ছিলো এটি।
৩. বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুততম বিমান হল X-15। এটি বিমান হলেও এর ইঞ্জিন ছিলো রকেট ইঞ্জিন। আমেরিকার বিমান বাহিনি ও নাসার প্রজেক্ট ছিলো এই বিমানটি।
৪. বাংলাদেশের জাতীয় বিমান সংস্থা হল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। বাংলাদেশের অন্যতম বিমান পরিচালকও এটি।
৫. বিশ্বের প্রথম বাণিজ্যিক বিমান ফ্লাইট চালু হয়েছিল ১৯১৯ সালে।
৬. বিমানের টিকিট বুক করার জন্য ব্যবহৃত প্রথম শব্দ ছিল “কনফার্মড”।
৭. বিমানের ইঞ্জিনে ব্যবহৃত জ্বালানীকে “অ্যাভিয়েশন ফুয়েল” বলা হয়। এই ফুয়েল কয়েক ধাপের ফিল্টারিং শেষে বানানো হয়। বলা চলে মূল ডিজেলের ফাইন ভার্সন এটি। এর দামও অনেক।
৮. বিমানের বাইরের আবরণকে “ফিউজলেজ” বলা হয়।
৯. বিমানের ডানাকে “উইং” বলা হয়। এই দুই পাশের উইং এ লাগানো থাকে বিমানের ইঞ্জিন।
১০. বিমানের লেজকে “টেইল” বলা হয়। টেইলে রাডার এর মাধ্যমে বিমানের গতিপথ চেঞ্জ আনা হয়। টেইলের উপরের অংশে দেখবেন একটা অংশ ডানে বা বামে ঘুরছে!
১১. বিমানের চালককে “পাইলট” বলা হয়। পৃথিবীর অন্যতম বেশি পারিশ্রমিক এর পেশা সাথে স্ট্রেসও অনেক। সবার জন্য এই পেশা না।
১২.বিমানের সহকারী চালককে “কো-পাইলট” বলা হয়। রেডিও অপারেট করা, মূল পাইলট কে সাহায্য করা, এবং পাইলটের থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করে মূল পাইলট হওয়ার পথে কাজ করে সে।
১৩. বিমানের যাত্রীদের জন্য বসার ব্যবস্থাকে “ক্যাবিন” বলা হয়। প্রধানত ২ ধরনের ক্যাবিন আছে। ইকোনমিক ক্লাস আর বিজনেস ক্লাস। ইকোনমিক ক্লাসের টিকিটের দাম কম , বিজনেস ক্লাসের টিকিটের অনেক বেশি। আর কিছু বিমানের ভিআইপি ক্যাবিন থাকে সেগুলোর দাম কেমন কে জানে!!
১৪. বিমানের টিকিটকে “এয়ার টিকিট” বলা হয়। আমাদের Goofly24.com ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে দেশি এবং বিদেশি বিভিন্ন রুটের বিমান টিকিট বুক করতে পারবেন। বুক করার জন্য কিংবা কিছু জানার জন্য আমাদের পেজে এসএমএস দিন, চাইলে আমাদের Whatsapp নাম্বারেও এসএমএস দিতে পারেন।
১৫. বিমানের চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় লাইসেন্সকে “পাইলট লাইসেন্স” বলা হয়। কারগরি দক্ষতা এবং শারীরিক ফিটনেস পাস করার পরে এই লাইসেন্স পাবেন।
১৬. বিমানের যানবাহন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে “এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল” বলা হয়। রাডারের মাধ্যমে বিমানের অবস্থান জেনে আরেক বিমান কে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়। একটি বিমানে একাধিক যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকে। যেমন বিমান নিজে থেকেই ১০৯০ ফ্রিকোয়েন্সি তে তার বিভিন্ন তথ্য প্রচার করে থাকে। পাইলট কন্ট্রোল টাওয়ারের সাথে যোগাযোগ করতে পারে, কিংবা স্যাটেলাইট মাধ্যমেও জগাজগকরা যায়।
কোন বিমান আকাশের কত উপরে কত স্পিডে কোনদিকে যাচ্ছে এসব যাচায় বাছায় করে কন্ট্রোল টাওয়ার অন্য বিমান গুলো কে তাদের নির্দেশ দেয়। এটি বেশ জটিল একটি কাজ। কন্ট্রোলে থাকা অপারেটরের ছোট ভুলেও হয়ে যেতে পারে বড় দুর্ঘটনা।
১৭. বিমানের দুর্ঘটনাকে “এয়ার ক্র্যাশ” বলা হয়। অনেক গুলো এয়ার ক্রাশ আছে যেগুলো নিয়ে রহস্য এখনো সমাধান হয়নি। এর মধ্যে মালেশিয়ার MH370 বিমানের উধাও হয়ে যাওয়া একটি।
১৮. বিমানের অপহরণকে “হাইজ্যাকিং” বলা হয়। অনেকের ধারনা এই কাজ শুধু একটি গোষ্ঠী করে থাকে কিন্তু মজার ব্যাপার হলো নানা দেশের নানা পলিটিক্যাল গ্রুপ বিমান অপহরণ করে তাদের বাদি আদায়ে চেষ্টা করেছে। এই অপহরন ঠেকাতে এখন পাইলটের ক্যাবিন লক করা থাকে। একাধিক সিকিউরিটি সিস্টেম দিয়ে পাইলটের ক্যাবিন সিকিউরড করা।
১৯. বিমানের ভাড়াকে “ফেয়ার” বলা হয়। কম ফেয়ারে বাংলাদেশ টু দুবাই, কাতার, ওমান কিংবা সৌদি আরব যেতে চান? আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন
২০. বিমানের বীমাটিকে “এভিয়েশন ইন্স্যুরেন্স” বলা হয়। এই বিষয়ে জানি না কিছু তাই আলাদা করে কিছু লেখলাম না।
তথ্য জানা হলো এবার ছবি ডাউনলোড নিয়ে জানা যাক। প্লেনের ছবি ডাউনলোড করার অনেক উপায় আছে।
কিছু জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হল:
- Unsplash:
- Pixabay:
- Pexels:
- Google Images:
- বিভিন্ন ধরণের প্লেনের ছবি বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে পারবেন।
- ছবিগুলো বিভিন্ন রেজোলিউশনে পাওয়া যায়।
- ছবিগুলো ব্যক্তিগত এবং বাণিজ্যিক উভয় উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে।
প্লেনের ছবি ডাউনলোড করার জন্য:
- ওয়েবসাইটে যান এবং আপনার পছন্দের ছবি খুঁজুন।
- ছবির উপরে ক্লিক করুন।
- “ডাউনলোড” বোতামে ক্লিক করুন।
- আপনার কম্পিউটারে ছবিটি কোথায় সংরক্ষণ করতে চান তা নির্বাচন করুন।
- “Save” বা “Download” বোতামে ক্লিক করুন।
প্লেনের ছবি তোলার জন্য কি করবেন?
- উপযুক্ত ক্যামেরা এবং লেন্স ব্যবহার করুন:
- DSLR ক্যামেরা, টেলিক্যামেরা লেন্স, এবং ট্রাইপড ব্যবহার করুন।
- লেন্সের ফোকাল লেন্থ যত বেশি হবে, প্লেনটি তত বড় দেখাবে।
- সঠিক সেটিংস ব্যবহার করুন:
- ফাস্টার শাটার স্পিড ব্যবহার করুন যাতে ছবিটি ধাপ্পা না হয়।
- ISO কম রাখুন যাতে ছবিটিতে নয়েজ কম হয়।
- অ্যাপারচার f/8 বা f/11 এর মধ্যে রাখুন।
- সঠিক সময় এবং স্থান নির্বাচন করুন:
- বিমানবন্দরের কাছে এমন জায়গা খুঁজুন যেখানে প্লেনগুলো কাছাকাছি উড়ে যায়।
- সপ্তাহান্তে বা ছুটির দিনে যান যখন বিমান চলাচল বেশি থাকে।
- সোনালী আলোর সময় (সকালে বা সন্ধ্যায়) ছবি তুলুন।
- কিছু টিপস:
- বিমানের ফ্লাইট ট্র্যাকিং অ্যাপ ব্যবহার করে বিমানের আগমন এবং প্রস্থানের সময় জানুন।
- বিমানের টেকঅফ এবং ল্যান্ডিংয়ের সময় ছবি তুলুন।
- বিভিন্ন কোণ থেকে ছবি তুলুন।
প্লেনের ছবি তোলা বা ভিডিও করাকে প্লেন স্পোটিং বলা হয়। মূলত এয়ারপোর্টের কাছের কোন বিল্ডিং বা ফাকা স্থানে অবস্থান করে প্লেনের ছবি তোলা হয়। আজকের ছবি গুলো বাংলাদেশের একজন স্পটার Bornil Amin ভায়ের তোলা । উনার তোলা ছাড়াও আরো কয়েকজনের ছবিও আছে।