নতুন পাসপোর্ট করার নিয়ম কি? কত টাকা লাগে? MRP এবং ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম ২০২৫

কেউ দেশের সীমানা পার হতে চান শুধুই বিনোদনের উদ্দেশ্য, কেউবা জীবিকার সন্ধানে আবার কেউ যেতে চিকিৎসা কিংবা পড়াশোনার জন্য। যে কারণেই আপনি দেশের বাইরে যান না কেন এজন্য যে জিনিসটা আপনার অবশ্য অবশ্যই লাগবে তা হলো পাসপোর্ট। যারা কখনো দেশের বাইরে যাননি কিন্তু যেতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আমাদের আজকের আলোচনায় থাকছে নতুন পাসপোর্ট করার নিয়ম, পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজপত্র লাগে, কত টাকা ফি দিতে হয়, অনলাইনে এবং অফলাইনে কিভাবে আবেদন করতে তার খুঁটিনাটি সবকিছু।


বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের ধারায় পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে লাইন ধরে কিংবা দালালের সাহায্য নিয়ে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা একেবারেই কমে গেছে বলা যায়! এরপরও ই পাসপোর্ট আবেদনে কোনো ভুলভ্রান্তি হলে বা তথ্যের মিসম্যাচিং থাকলে সেক্ষেত্রে ম্যানুয়ালি অফিসে যেতে হয়। কিন্তু আপনি চাইলে ঘরে বসে ই পাসপোর্ট আবেদনের মাধ্যমেই পাসপোর্ট পেয়ে যেতে পারেন খুবই সহজ ভাবে। এজন্য শুধু প্রয়োজন সতর্কতার।

নতুন পাসপোর্ট করার নিয়ম | ডকুমেন্টস ও খরচ

নতুন পাসপোর্ট করার নিয়ম বিষয়ক আমাদের লেখাটি পড়লে পাসপোর্ট সংক্রান্ত মোটামুটি সব তথ্যই আশা করি আপনি পেয়ে যাবেন। তাই দেরি না করে চলুন জেনে নতুন পাসপোর্ট করার নিয়ম ও অন্যান্য যাবতীয় তথ্যাবলী সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

পাসপোর্ট বা ই পাসপোর্ট করতে যা লাগবে

বাংলাদেশ পাসপোর্ট অধিদপ্তরের প্রকাশিত সর্বশেষ নির্দেশনা অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি যদি পাসপোর্ট করতে চায় তাহলে তার কিছু মৌলিক তথ্য লাগবে, এগুলো হলো:

  1. জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি কার্ড।
  2. জন্ম নিবন্ধন সনদের অনলাইন কপি।
  3. নাগরিকত্ব সনদ
  4. পেশার প্রমাণপত্র
  5. জিও (GO) বা এনওসি (NOC) (আপনি যদি সরকারী কর্মকর্তা বা কর্মচারী হয়ে থাকেন তাহলে এটা লাগবে)

এইসব মৌলিক তথ্যাদি আবার ব্যক্তিভেদে পরিবর্তন হতে পারে। যেমন কারো এনআইডি না থাকতে পারে, সেক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে। আবার যারা সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী নন তাদের জন্য জিও বা এনওসি বাধ্যতামূলক নয়।

যাইহোক, এভাবে তথ্যাবলী জমা দেয়ার পর যে কাজটি করতে হবে তা হলো পাসপোর্ট ফি জমা দেয়া।
অনলাইনে মোবাইল ব্যাংকিং বা ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে ফি জমা দিয়ে আবেদন সম্পন্ন করতে হয়।

এতটুক কাজ যদি আপনি পরিপূর্ণ সতর্কতার সাথে করতে পারেন তাহলে আবেদনের জন্য আপনাকে আর পাসপোর্ট অফিসে দৌড়াতে হবে না।
তবে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে এখনো পুরোপুরি তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার না থাকায়, আবেদন সফল হওয়ার পর পাসপোর্ট অফিসে আপনাকে যেতেই হবে কিছু কাগজপত্র সরাসরি জমা দেয়ার জন্য। এখন বলছি সে বিষয়েই!

পাসপোর্ট বা ই পাসপোর্ট করতে যেসব কাগজপত্র জমা দিতে হবে

বাংলাদেশ পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সর্বশেষ নির্দেশনা অনুযায়ী কার কি ধরনের কাগজপত্র লাগবে তার একটি তালিকা তারা করে দিয়েছে। আপনাদের সুবিধার জন্য তালিকাটি এখানে উল্লেখ করা হলো:

  • বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি হলে
  • বয়স ২০ বছরের কম এবং এনআইডি না থাকলে
  • সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারিদের জন্য
  • শিশুদের জন্য

বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি হলে

প্রিয় পাঠক! আপনার বয়স যদি ১৮ বছর বা তার বেশি হয়ে থাকে তবে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সর্বশেষ নির্দেশনা অনুযায়ী আপনাকে নিম্নে উল্লেখিত কাগজপত্র জমা দিতে হবে:

  1. মূল জাতীয় পরিচয়পত্র এবং এর ফটোকপি।
  2. ই পাসপোর্ট আবেদনের সামারি
  3. পাসপোর্ট আবেদনের ফরম
  4. পাসপোর্ট ফি পরিশোধের কপি বা ব্যাংক ড্রাফট
  5. নাগরিক সনদ
  6. পেশাগত সনদের ফটোকপি

এই ৬ টি ডকুমেন্টস সঠিকভাবে জমা দিতে হবে নিকটস্থ পাসপোর্ট অফিসে।

বয়স ২০ বছরের কম এবং এনআইডি না থাকলে পাসপোর্ট করার নিয়ম

আপনার বয়স যদি ২০ বছরের কম হয় এবং জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি কার্ড না থাকে সেক্ষেত্রে আপনাকে নিম্নোক্ত ডকুমেন্টস গুলো সংগ্রহ করে পাসপোর্ট অফিসে জমা দিতে হবে। এগুলো হলো:

  1. অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং এর ফটোকপি
  2. ই পাসপোর্ট আবেদনের সামারি
  3. পাসপোর্ট আবেদনের ফরম
  4. পাসপোর্ট ফি পরিশোধের চালান বা ব্যাংক ড্রাফট
  5. নাগরিক সনদ
  6. ছাত্র-ছাত্রী হলে স্টুডেন্ট আইডি বা সনদ

সরকারী কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

আপনি যদি একজন সরকারী কর্মচারী বা কর্মকর্তা হয়ে থাকেন তাহলে সাধারণ নাগরিকের মতো সব ডকুমেন্ট আপনাকে দাখিল করতে হবে। সাথে অতিরিক্ত তথ্য হিসেবে জিও বা এনওসি দিতে হবে। জিও (GO) হলো Government Order বা সরকারী আদেশ। এনওসি (NOC) হলো No Objection Certificate বা অনাপত্তিপত্র। এক নজরে দেখে নেয়া যাক কি কি লাগবে একজন সরকারী চাকুরের:

  1. মূল জাতীয় পরিচয়পত্র এবং এর ফটোকপি।
  2. ই পাসপোর্ট আবেদনের সামারি
  3. পাসপোর্ট আবেদনের ফরম
  4. পাসপোর্ট ফি পরিশোধের কপি বা ব্যাংক ড্রাফট
  5. নাগরিক সনদ
  6. পেশাগত সনদের ফটোকপি
  7. জিও বা এনওসি

শিশুদের জন্য পাসপোর্ট করতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সর্বশেষ নির্দেশনায় শিশুদের পাসপোর্টের জন্যও রয়েছে কিছু বাঁধাধরা নিয়ম! একটি শিশুর ই পাসপোর্টের জন্য যেসব ডকুমেন্টস লাগবে তার একটি তালিকা দেয়া হলো:

  1. শিশুটির অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ
  2. শিশুর পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
  3. অনলাইন এপ্লিকেশন সামারি
  4. আবেদনের ফরম
  5. পাসপোর্ট ফি পরিশোধের কপি বা ব্যাংক ড্রাফট
  6. থ্রিআর (3R) সাইজের ছবি যার ব্যকগ্রাউন্ড ধুসর।

তো, পাঠক! আপনি যদি এতক্ষণ মন দিয়ে পুরো লেখাটি পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই জেনে গিয়েছেন নতুন পাসপোর্ট তৈরী করতে কি কি তথ্য ও ডকুমেন্টস আপনার লাগবে।

এসব জানার পরে নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছে হচ্ছে পাসপোর্ট করতে কত টাকা ফি দিতে হয় এবং প্রতিটা ক্ষেত্রেউ আবশ্যিক ভাবে উল্লেখ করা আবেদন সামারি বা এপ্লিকেশন সামারিটাই বা কি! এই প্রশ্নেরই উত্তর দেব এখন!

পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে?

পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগবে তা নির্ভর করছে কেমন পাসপোর্ট আপনি তৈরী করতে চান তার উপর।
পাসপোর্টের ধরনের উপর ভিত্তি করে সর্বনিম্ন ৪০২৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৩৮০০ টাকা লাগতে পারে।
আমরা এখানে কোন ধরনের পাসপোর্টে কেমন খরচ তা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি:

৫ বছর মেয়াদি ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট ফি

রেগুলার ডেলিভারি/ ১৫ দিন/ ৪০২৫ টাকা
এক্সপ্রেস ডেলিভারি/ ৭ দিন/ ৬৩২৫ টাকা
সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি /২ দিন/৮৬২৫ টাকা।

১০ বছর মেয়াদি ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট ফি 

রেগুলার ডেলিভারি/ ১৫ দিন/ ৫৭৫০ টাকা
এক্সপ্রেস ডেলিভারি/ ৭ দিন/ ৮০৫০ টাকা
সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি /২ দিন/১০৩৫০ টাকা।

৫ বছর মেয়াদি ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট ফি :

রেগুলার ডেলিভারি/ ১৫ দিন/ ৬৩২৫ টাকা
এক্সপ্রেস ডেলিভারি/ ৭ দিন/ ৮৬২৫ টাকা
সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি /২ দিন/১২০৭৫ টাকা।

১০ বছর মেয়াদি ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট ফি:

রেগুলার ডেলিভারি/ ১৫ দিন/ ৮০৫০ টাকা
এক্সপ্রেস ডেলিভারি/ ৭ দিন/ ১০৩৫০ টাকা
সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি /২ দিন/১৩৮০০ টাকা।

আবেদন সামারি এবং পাসপোর্ট ফি প্রদানের কপি:

অনলাইনে আবেদনের শেষেই আবেদন সামারি পেয়ে যাবেন। একই সাথে পাবেন রেজিষ্ট্রেশন ফরম ডাউনলোড ও পিডিএফ অপশন। এটা অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে সম্পন্ন করবেন কেননা পাসপোর্ট অফিসে সর্বপ্রথম এটা চেক করে থাকে।

পাসপোর্ট ফি আপনি ব্যাংকে জমা দেন আর অনলাইনে পরিশোধ করেন উভয় ক্ষেত্রেই আপনাকে চালান যুক্ত করতে হবে। অনলাইনে পরিশোধ করলে আবেদন সামারিতে অটোমেটিক ভাবে সংযুক্ত দেখায়। আর ব্যাংকে জমা দিলে আপনার কপিটি সাথে যুক্ত করে দিবেন।

এই দুই ডকুমেন্টস এর সাথে অন্যান্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এবং আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ড ও প্রফেশনাল আইডি কার্ড সাথে নিয়ে বায়োমেট্রিক এনরোলমেন্ট এর জন্য আঞ্চলিক অফিসে হাজির হবেন।


আপনার ডকুমেন্টস চেক করে সবকিছু ঠিক থাকলে বায়োমেট্রিক এনরোলমেন্ট (ছবি, ফিঙ্গারপ্রিন্ট) নেওয়া হবে। এরপর আপনাকে একটি স্লিপ দেওয়া হবে।স্লিপটি সংগ্রহে রাখুন।
আপনার পাসপোর্ট প্রিন্ট হয়ে আঞ্চলিক অফিসে আসলে মেইল এবং মেসেজ করে জানানো হবে। তখন গিয়ে নিয়ে আসবেন। তবে তার আগে পুলিশ ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হবে।

এইতো! এভাবে, নতুন পাসপোর্ট করার নিয়ম ও পদ্ধতি অনুসরণ করে খুব সহজেই আপনি পাসপোর্ট হাতে পেতে পারেন।

পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করার নিয়ম

পাসপোর্ট তৈরী করতে দিয়েছেন? কোনো আপডেট পাচ্ছেন না? কতদিন লাগবে জানা দরকার? প্রিয় পাঠক! আপনি যদি এমন সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন তবে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি পেয়ে যাবেন আপনার সমস্যার কাঙ্ক্ষিত সমাধান। জ্বি, আজকে আমরা জানবো ঘরে বসে কিভাবে অনলাইনে নতুন পাসপোর্ট চেক করতে হয়, বর্তমান স্ট্যাটাস ও কার্যক্রম জানা যায়।
আমাদের আজকের আলোচনার মূল বিষয় দেখে নিন এক নজরে :


১. নতুন ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম।

২. নতুন এমআরপি বা মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম।

পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করার নিয়ম

পাসপোর্ট চেক করার পূর্বে আপনাকে একটি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। তা হলো আপনি কি ধরনের পাসপোর্ট করতে দিয়েছেন সেটা।

পাসপোর্ট সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে। প্রথমত, ই পাসপোর্ট (E Passport) এবং দ্বিতীয়ত, এমআরপি পাসপোর্ট ( Machine Readable Passport or MRP)।

কেন বলছি এ কথা! কারণ দুই ধরনের পাসপোর্ট চেক করার জন্য বাংলাদেশ পাসপোর্ট অধিদপ্তরের রয়েছে দুইটি স্বতন্ত্র সার্ভার। তাই আপনি কখনোই এক সার্ভারে অন্যটির তথ্য পাবেন না। আজকের আলোচনায় আমরা জানিয়ে দিবো এই ই পাসপোর্ট এবং এমআরপি পাসপোর্ট স্ট্যাটায়া চেক করার উপায় এর যাবতীয় নিয়ম।

ই পাসপোর্ট এবং এমআরপি বা মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট এর মধ্যে পার্থক্য

যেহেতু আমরা দুই ধরনের পাসপোর্টের কথা উল্লেখ করেছি সেহেতু আপনাদের জ্ঞানপিপাসা নিবারণ করতে এই দুইটি পাসপোর্টের তফাৎ টাও জানিয়ে দিচ্ছি।

ই পাসপোর্ট আর এমআরপির মধ্যে তুলনাটা অনেকটা এটিএম কার্ড আর ব্যাংকের চেকবই এর মতো। ই পাসপোর্ট দিয়ে পাসপোর্ট সংক্রান্ত কাজ পাসপোর্টধারী নিজের সুবিধামতো যেকোনো সময় ব্যবহার করতে পারে। যেমনটা সম্ভব হয় কার্ড দিয়ে টাকা তোলার ক্ষেত্রে। এই পাসপোর্ট ব্যবহার করা ব্যবহারকারীর জন্য তুলনামূলক সহজ।

 
এতে থাকে একটি ইলেকট্রনিক চিপস। যার মধ্যে ব্যবহারকারীর যাবতীয় তথ্যাদি থাকে। তাই এটি যাচাই বাছাই এর জন্য ইমেগ্রেশন কর্মকর্তার দরকার পড়ে না। বরং কম্পিউটারে (ই-গেট) প্রবেশ করালে এই পাসপোর্টের সার্বিক তথ্য স্বয়ংক্রিয় ভাবে সামনে চলে আসে। ইলেকট্রনিক চিপসে তথ্যাবলী থাকায় এই পাসপোর্ট জাল করা সহজ হয় না, বলা যায় একপ্রকার অসম্ভবই।

অপরদিকে, এমআরপি পাসপোর্ট ব্যবহারকারীকে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের শরণাপন্ন হতে হয়। তারা যাচাই বাছাই করলেই এই ধরনের পাসপোর্টধারীরা অন্য দেশ ভ্রমণের অনুমোদন পেয়ে থাকেন। যেমনটা হয়ে থাকে ব্যাংক থেকে সরাসরি টাকা তোলার ক্ষেত্রে। এই পাসপোর্টে একটি বারকোড থাকে। যা বিশেষ মেশিনের মধ্য দিয়ে পাস করালে যাবতীয় তথ্য পাওয়া যায়। ই পাসপোর্টের তুলনায় এটা একটু ঝামেলার ই বলা যায়।


তবে এই পাসপোর্টও জাল করা সহজ নয়। এমআরপি এও এর ব্যবহারকারীর জন্য যথেষ্ট নিরাপত্তার বিষয়টি ভাবা হয়। তবে বর্তমানে এমআরপির ব্যবহার একেবারে নেই বললেই চলে। যাদের পূর্বে পাসপোর্ট করা আছে তাদের ক্ষেত্রেই এমআরপি বেশি দেখা যায়। নতুন যারা আবেদন করেন তাদেরকে ই পাসপোর্টের জন্যই আবেদন করতে হয়।

তো চলুন, কথা না বাড়িয়ে জেনে নেয়া যাক নতুন পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম।

ই পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক | ই পাসপোর্ট চেকিং এর নিয়ম

ই পাসপোর্ট চেক করার জন্য প্রথমে epassport.gov.bd লিংকে প্রবেশ করতে হবে।
এরপর চেক স্ট্যাটাস (Check Status) অপশনে ক্লিক করতে হবে।
এরপর রেজিষ্ট্রেশন আইডি বা এপ্লিকেশন আইডি নির্দিষ্ট ঘরে বসাতে হবে।
অনলাইন জন্ম সনদ অনুযায়ী জন্মতারিখ বসাতে হবে।
এরপর একটি ক্যাপচা কোড থাকবে, সেটা পূরণ করতে হবে।
সর্বশেষ চেক (Check) বাটনে ক্লিক করলেই পাসপোর্টের হালনাগাদ তথ্য পেয়ে যাবেন।
আপনাদের সুবিধার জন্য নতুন পাসপোর্ট বা ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম গুলো ধাপে ধাপে উল্লেখ করে দিচ্ছি।

ই পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেকিং এর নিয়ম ধাপে ধাপে

১. ই-পাসপোর্ট চেকিং এর জন্য লিঙ্কটি ভিজিট করুন।

এই লিংকে প্রবেশ করার সাথে সাথে দুইটি অপশন আপনার স্ক্রিনে দেখাবে। যার একটি হলো অনলাইন রেজিষ্ট্রেশন আইডি এবং অন্যটি এপ্লিকেশন আইডি।

পাসপোর্ট অফিসে যখন কাগজপত্র বা ডকুমেন্টস জমা দিতে গিয়েছেন তখন তারা আপনাকে একটি ডেলিভারি স্লিপ দিয়েছে। সেখানেই রেজিষ্ট্রেশন আইডি এবং অ্যাপ্লিকেশন আইডি পেয়ে যাবেন। সতর্কতার সাথে এই ঘর দুটি ফিলাপ করে নিন।

২. এরপর, আপনার কাছে আপনার জন্ম তারিখ চাওয়া হবে। জন্মসনদ অনুযায়ী জন্মতারিখটি বসিয়ে দিন।

৩. কম্পিউটার এবার আপনাকে যাচাই করবে। এজন্য পাশে থাকা ক্যাপচা কোডটি অধিক সতর্কতার সাথে পূরণ করুন।

৪. সবগুলো ধাপ অতিক্রম করার প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছেন আপনি। এবার চেক বাটনে ক্লিক করে দিন।

আপনার ই পাসপোর্টের হালনাগাদ তথ্য আপনার স্ক্রিনে ভেসে উঠবে।

এম আর পি পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করার নিয়ম

এমআরপি চেক করার জন্য প্রথমেই ভিজিট করতে হবে passport.gov.bd ওয়েবসাইটে।
এরপর আপনার কাছে থাকে ডেলিভারি স্লিপে যে এনরোলমেন্ট নাম্বারটি থাকবে তা পূরণ করতে হবে৷
তারপর যে জন্মসনদটি আবেদনের সময় দিয়েছেন সেটা অনুযায়ী জন্মতারিখ বসাতে হবে।
সবশেষে সার্চ বাটনে ক্লিক করলেই আপনার এমআরপির হালনাগাদ তথ্য আপনার স্ক্রিনে ভেসে উঠবে।

আপনাদের সুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে আমরা নতুন পাসপোর্ট চেকিং বা এমআরপি চেকিং এর বিষয়গুলো ধাপে ধাপে আবারো উল্লেখ করে দিচ্ছি।

এমআরপি চেক করার নিয়ম ধাপে ধাপে

১. প্রথমেই লিংকটি ভিজিট করুন। এই লিংকে প্রবেশ করলেই আপনার সামনে একটি পৃষ্ঠা প্রদর্শিত হবে। পৃষ্ঠাটিতে আপনার এনরোলমেন্ট নম্বর চাওয়া হবে।

আপনার কাছে থাকা ডেলিভারি স্লিপ যেটা পাসপোর্ট অফিসে ডকুমেন্টস জমা দেয়ার পর আপনাকে দেয়া হয়েছিলো সেটায় পেয়ে যাবেন। সেটা যথাযথ ভাবে পূরণ করবেন।

২. জমাকৃত জন্মসনদের জন্ম তারিখটি পূরণ করবেন।

৩. পাশে থাকা ক্যাপচা কোডটি পূরণ করবেন সতর্ক ভাবে।
সবশেষে সার্চ বাটনে ক্লিক করবেন।

আপনার এমআরপি’র হালনাগাদ তথ্য আপনার সামনের পর্দায় ইতিমধ্যেই প্রদর্শিত হচ্ছে।

পাসপোর্ট স্ট্যাস্টাস পেন্ডিং ফর এসবি পুলিশ ভেরিফিকেশন কেন?

আপনার নামে পুলিশের ডায়েরিতে কোন কেস নেই, আপনার নামে কন মামলা নেই, কিংবা অন্য কোন অপরাধে জড়িত নন রা প্রমাণ করতে পুলিশ ভেরিফিকেশন করা হয়।
বর্তমান এবং স্থায়ী উভয় ঠিকা্নাতেই পুলিশ ভেরিফিকেশন হবে।
দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ ভেরিফিকেশন করার পর ক্লিয়ারেন্স না দেওয়া পর্যন্ত আপনার পাসপোর্ট প্রিন্ট লাইনে যাবে না। যদি পেন্দিং অবস্থায় থাকে, এবং আপনার দ্রুত পাসপোর্ট হাতে পাওয়া জরুরি হয় সেক্ষেত্রে পাসপোর্ট অফিস থেকে প্রাপ্ত স্লিপ, ভোটার আইডি কার্ড এবং প্রফেশনাল আইডি কার্ড, স্থানীয় নাগরিক সনদ নিয়ে ডিএসবি অফিসে যাবেন। সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারের সাথে কথা বলে ক্লিয়ার করে নিতে পারবেন।

আশা করি, পাসপোর্ট এক্সেকিং এর নিয়ম এবং পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। পাসপোর্ট সম্পর্কিত যেকোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। 

Scroll to Top