নিঝুম দ্বীপ ভ্রমণ গাইড – খরচ, যাতায়াত, থাকা খাওয়া

বঙ্গোপসাগরে বুক চিরে জেগে ওঠা প্রকৃতির অফুরন্ত সৌন্দর্য নিয়ে পর্যটকদের মুগ্ধ করতে বিদ্যমান নোয়াখালীর নিঝুম দ্বীপ। নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার দক্ষিণ পশ্চিম দিকে বঙ্গোপসাগরের বুকে ভেসে ওঠা বেশ কয়েকটি দ্বীপের সমন্বয়ে নিঝুম দ্বীপ গড়ে উঠেছে।নিঝুম দ্বীপের অন্তর্ভুক্ত আছে প্রধান চারটি দ্বীপসহ অসংখ্য ছোট ছোট দ্বীপ।

প্রধান চারটি দ্বীপ হলো : বল্লার চর, কমলার চর, চর ওসমান ও চর মুরি। নিঝুম দ্বীপের মোট আয়তন ১৪৫০ একর। মূলত দ্বীপটি একদমই নিশ্চুপ ও কোলাহল মুক্ত হওয়ায় এর নামকরণ করা হয়েছে নিঝুম দ্বীপ।

বণ্য হরিণ, অতিথী পাখির কলকাকলী, মহিষের পালের চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য , সমুদ্র সৈকত, ম্যানগ্রোভ বন, সমুদ্রের বুকে সুর্যাস্ত -সূর্যোদয়, নৌকা ভ্রমণ, ক্যাম্পিং, বারবিকিউ পার্ট এই সব কিছুই একসাথে উপভোগ করতে চাইলে অবশ্যই একবার ঘুরে আাসা উচিত নিঝুম দ্বীপে। তবে নিঝুম দ্বীপ ভ্রমণ যেমন খুবই রোমাঞ্চকর তেমনই চ্যালেঞ্জিংও বটে।

তাই সঠিক তথ্য জানা না থাকলে প্রতিটি পদক্ষেপে সমস্যায় পড়ে যেতেই পারেন। জেনে নিন নিঝুম দ্বীপ ভ্রমণের সঠিক গাইডলাইন, নিঝুম দ্বীপ যাওয়ার উপায়, থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত। আরও জানতে পারবেব নিঝুম দ্বীপে কি কি উপভোগ্য বিষয় আছে এবং এখানকার সুবিধা ও অসুবিধা গুলো কি কি।

নিঝুম দ্বীপ ভ্রমণে কেন যাবেন?

জনকোলাহল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একদম প্রকৃতির সাথে একান্ত কিছু সময় উপভোগ করতে চাইলে যেতে হবে নিঝুম দ্বীপ। বঙ্গোপসাগরের মধ্যে দ্বীপগুলোর অবস্থান হওয়ায় উপভোগ করতে পারবেন সমুদ্র সৈকতের অসাধারণ সৌন্দর্য।

শীতের সময় অসংখ্য অতিথি পাখি এসে ভীড় জমায়। যেমন: সরালি, লেনজা, জিরিয়া,পিয়ং, চখাচখি,রাঙ্গামুড়ি,কাস্তেচরা ইত্যাদি। এছাড়াও দেখতে পাবেন বেশ কিছু স্থানীয় পাখির সমাহার। তবে অতিথি পাখি দেখতে চাইলে যেতে হবে নিঝুম দ্বীপের পার্শ্ববর্তী দুটো দ্বীপে। একটি হলো কবিরাজের চর এবং আরেকটি দমার চর।
নিঝুম দ্বীপে ঘোরার মতো উল্লেখযোগ্য বেশ কিছু জনপ্রিয় জায়গা রয়েছে। এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-

১. চৌধুরী খাল ও কবিরাজের চর

নিঝুম দ্বীপে আছে ৪০ হাজারেরও বেশি হরিণ।একদম কাছ থেকে চিত্রা হরিণের দেখা মিলবে চৌধুরী খালে গেলে। নিঝুম দ্বীপ থেকে ট্রলার ভাড়া করে সন্ধ্যার আগে আগে বের হয়ে পড়লে হরিণের দেখা মিলবে। নৌকার মাঝিকে বললে তারাই নিজ দায়িত্বে হরিণ দেখিয়ে নিয়ে আসবে। ফেরার পথে সন্ধ্যার সময় কবিরাজের চর হয়ে আসবেন। সেখানে দেখতে পাবেন হাজার হাজার মহিষের পাল। আরও উপভোগ করতে পারবেন সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য। ১০ থেকে ১৫ জনের একটি দলের জন্য ট্রলার ভাড়া পড়বে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা

২. কমলার দ্বীপ

কমলার দ্বীপের প্রধান আকর্ষণ হলো ইলিশ মাছ। এই দ্বীপের খালে প্রচুর পরিমানে ইলিশ ধরা পরে। আপনি যদি একজন ইলিশ প্রেমী হয়ে থাকেন তাহলে কমলার দ্বীপ ভ্রমণ করতে ভুলবেন না।

৩. ম্যানগ্রোভ বন

নিঝুম দ্বীপের আরেকটি আকর্ষণ হলো ম্যানগ্রোভ বন। এটি নিঝুম দ্বীপ বনায়ন প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত। ম্যানগ্রোভ বন ঘুরতে চাইলে অবশ্যই সাথে গাইড রাখতে হবে। স্থানীয় ছোট ছোট ছেলেরা গাইড হিসেবে কাজ করে। সকাল সকাল গাইড নিয়ে বনের মধ্যে ঢুকে পড়লে হরিণের দেখা মিলবে এবং উপভোগ করতে পারবেন বনের মধ্যের রোমাঞ্চকর পরিবেশ।

৪. নামা বাজার সি বীচ

নিঝুম দ্বীপের প্রাণকেন্দ্র নামা বাজার। এই নামা বাজার থেকে ১০ মিনিট হেঁটে গেলেই পেয়ে যাবেন নামা বাজার সি বীচ। সি বীচের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যে কাউকে মুগ্ধ করতে সক্ষম। নামা বাজার সি বীচ থেকে সুর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের দৃশ্য খুব চমৎকার। তাছাড়া এখানে দলবল নিয়ে বারবিকিউ পার্টিও করতে পারবেন।

৫. দমার চরের কুমারী সি বীচ

দমার চরের একদম দক্ষিণ প্রান্তে একটি নতুন সি বীচের সন্ধান মিলেছে। এটাকে ভার্জিন সি বীচও বলা হয়। ভার্জিন সি বীচে এসে প্রকৃতির নৈসর্গিক রূপের সাথে নিজেকে একাকার করে ফলতে পারেন। নিঝুম দ্বীপ থেকে ট্রলার রিজার্ভ করে কুমারী সি বীচে যেতে পারবেন। ট্রলার ভাড়া পড়বে ৩০০০ থেকে ৩৫০০ টাকা।

৬. চোয়াখালী সি বীচ

চোয়াখালী সি বীচে একদম কাছ থেকে দেখতে পারবেন হরিণের পাল।আরও উপভোগ করতে পারবেন বীচের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সেই সাথে অতিথি পাখির কলরব। হরিণ দেখতে চাইলে খুব ভোরে মোটরসাইকেলে চেপে চোয়াখালী সি বীচে চলে যেতে হবে।

হাতে একটু বেশি সময় নিয়ে গেলে ঘুরে আসতে পারেন ভোলার ঢালচর ও চর কুকরি মুকরি।

নিঝুম দ্বীপে যাওয়ার উপায়

ঢাকা থেকে নিঝুম দ্বীপে যাওয়ার জন্য নদীপথ, সড়কপথ ও রেলপথ তিনটি উপায়ই ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া চট্টগ্রাম থেকেও খুব সহজে সড়কপথ ও নদীপথে নিঝুম দ্বীপ যাওয়া বেশ সহজ।

১.ঢাকা থেকে নিঝুম দ্বীপ

ধারাবাহিক ভাবে নদীপথ, সড়ক পথ ও রেলপথে ঢাকা থেকে নিঝুম দ্বীপ ভ্রমণের বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।

নদীপথ: ঢাকা থেকে নদীপথে নিঝুম দ্বীপ যাওয়া সবথেকে সহজ এবং ঝামেলামুক্ত। এক্ষেত্রে ঢাকার সদরঘাট থেকে লঞ্চযোগে চলে যেতে হবে হাতিয়া উপজেলার তমরুদি। সদরঘাট থেকে হাতিয়া রুটে চলাচলকারী লঞ্চগুলো হলো-
এমভি পানামা ২।
মোবাইল: ০১৯২৪-০০৪৬০৮
এমভি টিপু ৫।
মোবাইল: ০১৭১১-৩৪৮৮১৩
এই লঞ্চ দুইটি প্রতিদিন বিকাল ৫ টা ৩০ মিনিটে ঢাকা সদরঘাট থেকে হাতিয়ার উদ্যেশ্যে রওয়ানা করে। আবার হাতিয়া থেকে দুপুর ১২ টা ৩০ মিনিটে ঢাকার উদ্যেশ্যে রওয়ানা করে।

তাছাড়া ঢাকা টু হাতিয়া রুটে চলাচলকারী আরও কয়েকটি লঞ্চ হলো:
তাসরিফ ১ – যাত্রা সময় বিকাল ৫ টা ৩০ মিনিট
তাসরিফ ২ – যাত্রা সময় সন্ধ্যা ৬ টা
এমভি ফারহান – ৩।
এমভি ফারহান -৪।

তমরুদি ঘাটে নেমে স্কুটার, বাস অথবা রিকশায় করে চলে যেতে হবে বন্দরটিলা ঘাটে। বন্দরটিলা থেকে ট্রলারে চেপে চলে যেতে পারবেন নিঝুম দ্বীপ। তবে এটা নিঝুম দ্বীপের এমন এক প্রান্ত যেখান থেকে নিঝুম দ্বীপের প্রধান লোকালয় (নামা বাজার) অনেকটা দূরে। এখান থেকে মোটরসাইকেলে করে চলে যেতে পারবেন নামার বাজার।

সড়কপথেঃ সড়কপথে নিঝুম দ্বীপ যাওয়ার ক্ষেত্রে ঢাকার কমলাপুর, মহাখালী অথবা সায়দাবাদ থেকে নোয়াখালী রুটে চলাচলকারী বাসে উঠতে হবে। নোয়াখালী রুটে চলাচলকারী কিছু বাস হলো: একুশে এক্সপ্রেস, হিমাচল এক্সপ্রেস, এশিয়া লাইন, এশিয়া ক্লাসিক ইত্যাদি। এসব বাসে জনপ্রতি ভাড়া পড়বে ৩৫০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা। নোয়াখালীর সোনাপুরে নেমে সিএনজি করে চলে যেতে হবে চেয়ারম্যান ঘাট। সিএনজি ভাড়া নিবে ১০০ টাকা।

চেয়ারম্যান ঘাট থেকে ট্রলারে করে চলে যেতে হবে নলচিরা ঘাটে। ট্রলার ভাড়া জনপ্রতি ১৫০ টাকা। নলচিরা ঘাট থেকে আবার বাসে করে জাহাজমারা বাজার আসতে হবে, ভাড়া পড়বে ৭০ টাকা। জাহাজমারা বাজার থেকে মোটরসাইকেলে চেপে ৭০ টাকা ভাড়া দিয়ে চলে আসতে হবে মুকতারা ঘাট। মুকতারা ঘাট থেকে ইঞ্জিন নৌকায় করে সরাসরি নিঝুম দ্বীপ ঘাটে যেতে পারবেন। ভাড়া লাগবে মাত্র ১০ টাকা। ঘাট থেকে মোটরসাইকেলে নামার বাজার যেতে ভাড়া পড়বে ৬০ টাকা

রেলপথেঃ রেলপথে নিঝুম দ্বীপ যাওয়ার ক্ষেত্রে সকাল ৭ টায় ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ‘ উপকূল এক্সপ্রেস ‘ ট্রেনটি ধরতে হবে। নোয়াখালীর সোনাপুর স্টেশনে নেমে সেখান থেকে চলে যেতে হবে চেয়ারম্যান ঘাট। চেয়ারম্যান ঘাট থেকে জাহাজ বা সি-ট্রাকে করে চলে যেতে হবে হাতিয়ার নলচরিয়া ঘাটে। সেখান থেকে স্থানীয় বাহনের সাহায্যে চলে যাবেন জাহাজমারা এবং সেখান থেকে ট্রলারে চেপে সরাসরি নিঝুম দ্বীপ। জাহাজমারা থেকে নিঝুম দ্বীপ যেতে সময় লাগবে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট।

২. চট্রগ্রাম থেকে নিঝুম দ্বীপ

চট্রগ্রাম থেকে নিঝুম দ্বীপের দূরত্ব খুব একটা বেশি নয়। সড়ক ও নদীপথে চট্টগ্রাম থেকে নিঝুম দ্বীপে যেতে পারবেন।

সড়কপথে : চট্টগ্রাম থেকে বাধন পরিবহন এর বাসে চেপে চলে যাবেন নোয়াখালীর সোনাপুর। জনপ্রতি ভাড়া পড়বে ২০০ টাকা। সোনাপুর থেকে সিএনজি নিয়ে চেয়ারম্যান ঘাট এবং সেখান থেকে ট্রলারে চেপে হাতিয়া যেতে হবে। হাতিয়া থেকে বাইকে করে মোক্তারিয়া ঘাট এবং সেখান থেকে আবার ট্রলারে চেপে নিঝুম দ্বীপ যেতে পারবেন।

নদীপথে: চট্টগ্রাম সদরঘাট থেকে সরাসরি হাতিয়া রুটের জাহাজ পাওয়া যাবে। সকাল ৮ টায় জাহাজ ছাড়ে এবং জনপ্রতি ভাড়া ২০০ টাকা। হাতিয়া থেকে একই ভাবে মোক্তারিয়া ঘাট এবং সেখান থেকে নিঝুম দ্বীপ।

নিঝুম দ্বীপে থাকার ব্যবস্থা :

নিঝুম দ্বীপে থাকার সবথেকে ভালো ব্যবস্থা আছে ‘নিঝুম রিসোর্টে’। নিঝুম রিসোর্টে বেড অনুযায়ী রুম ভাড়া পড়বে ২০০০ থেকে ৩০০০ টাকার মতো। নিঝুম দ্বীপের কোথাও বিদ্যুৎ না থাকলেও নিঝুম রিসোর্টে সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১০:৩০ মিনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ থাকে। তাছাড়া সারাদিনে ১/২ ঘন্টা পর পর বিদ্যুৎ সংযোগ পাবেন।
ঘুরতে যাওয়ার আগেই ঢাকা থেকে রিসোর্টের রুম বুকিং করে রাখতে পারবেন।
ঢাকা বুকিং অফিস- অবকাশ পর্যটন লিমিটেড, শামসুদ্দিন ম্যানশন, ১০ ম তলা, নিউ ইস্কাটন, ঢাকা।
মোবাইল: ৮৩৫৮৪৮৫, ৯৩৪২৩৫১, ৯৩৫৯২৩০, ০১৫৫২-৩৭২২৬৯
নিঝুম দ্বীপে ‘নিঝুম রিসোর্ট’ এর যোগাযোগ নম্বর: ০১৭২৪-১৪৫৮৬৪, ০১৮৪৫-৫৫৮৮৯৯, ০১৭৩৮-২৩০৬৫৫

এছাড়াও নামা বাজারে বেশ কিছু আবাসিক বোর্ডিং পাবেন। আরও আছে বন বিভাগের বাংলো, জেলা প্রশাসকের ডাকবাংলো, রেডক্রিসেন্ট ইউনিট ও সাইক্লোন সেন্টার। এসব প্রতিষ্ঠানে থাকতে চাইলে আগে থেকেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি সংগ্রহ করতে হবে।

নিঝুম দ্বীপের কিছু আবাসিক হোটেল ও বোর্ডিং এর তালিকা-
১. মসজিদ বোর্ডিং
এখানে মাত্র দুটি সিঙ্গেল ও ডবল রুম আছে আর বাকি সবগুলো ডরমিটরি সিস্টেম। ডরমিটরি ভাড়া জনপ্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা।
মোবাইল: ০১৭২৭-৯৫৮৮৭৯

২. মাহমুদ বোর্ডিং
রুম ভাড়া সাধারণত ৫০০ এর আসেপাশেই থাকে।
মোবাইল: ০১৭১৩-১১১৭৯৪

৩. হোটেল শাহীন
রুম ভাড়া ১০০০ থেকে ১৫০০ এর মধ্যে এবং সুযোগ সুবিধা বেশ ভালো।
মোবাইল: ০১৮৬৩-১৫০৮৮১

৪. নিঝুম ড্রিমল্যান্ড রিসোর্ট (বন্দরটিলা)
রুম ভাড়া ৬০০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে।
মোবাইল: ০১৮৭৪-১২৩৫৭২
ঢাকা অফিস: ০১৮৪৭-১২৩৫৭৩

৫. হোটেল দ্বীপ সম্পদ
এখানে থাকা খাওয়া দুটো সার্ভিস একসাথে পাবেন।
মোবাইল: ০১৭৬০-০০৮১০৬

৬. কেওড়া রিসোর্ট
মোবাইল: ০১৬০৯-৪৯৬৮৮২

৭. নিঝুম দ্বীপ রিভার্স ইন্ড রিসোর্ট
মোবাইল: ০১৭১২-৬৩৩৭৭৭

নিঝুম দ্বীপে খাওয়ার ব্যবস্থা

নিঝুম দ্বীপে খাওয়া দাওয়ার জন্য খুব ভালো মানের হোটেল পাবেন না। নামার বাজারে খুব সাধারণ মানের বেশ কিছু খাওয়ার হোটেল পাবেন। যেমন: হোটেল সি বার্ড, দ্বীপ হোটেল, ভাই ভাই হোটেল, সৈয়দ চাচার থাকা খাওয়ার হোটেল ইত্যাদি। এসব হোটেলে আগে থেকে বলে রাখলে ফ্রেশ খাবার সরবরাহ করবে। এখানে মাছ, মুরগি, হাঁস, কাঁকড়া ও শুঁটকি সহ বিভিন্ন আইটেমের খাবার পাবেন। নিঝুম দ্বীপ থেকে ফেরার সময় এখানকার সুস্বাদু শুটকি নিয়ে আসতে পারেন।

নিঝুম দ্বীপে ক্যাম্পিং ব্যবস্থা

ক্যাম্পিং এর জন্য নিঝুম দ্বীপ আদর্শ একটি জায়গা। নিঝুম রিসোর্ট এর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খাল পাড় হলেই ৫/৬ মাইল বিস্তৃত একটি বিশাল মাঠ রয়েছে।এই মাঠটি ক্যাম্পিং এর জন্য একদম পারফেক্ট। এখানে ক্যাম্পিং এর যাবতীয় সব কিছুই পেয়ে যাবেন। তারপরও যদি কোনো সরঞ্জাম এর প্রয়োজন হয় তবে জাহাজমারা বাজার থেকে কিনে আনতে পারবেন।

তাছাড়া নিঝুম দ্বীপের জাতীয় উদ্যান এলাকায় তাবু ভাড়া পাওয়া যায়। এখানেও চমৎকার ক্যাম্পিং এর আয়োজন করতে পারবেন। আরও পাবেন ঘোরাঘুরি করার জন্য ফাইবার বোট যার ধারণক্ষমতা ৪০ জন। বারবিকিউ করার জন্য আছে সুব্যবস্থা।
ক্যাম্পিং এর যে কোনো প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন-
মাসুদ : ০১৮৩৭-৪১১২১৪, ০১৭২৪-৭০০৩১০
রাসেল: ০১৮৬৮-৬১২১৭৮

মনে রাখবেন
নিঝুম দ্বীপে কোথাও বিদ্যুতের ব্যবস্থা নেই। তাই আসার সময় মোবাইলের এক্সট্রা ব্যাটারি এবং পাওয়ার ব্যাংক সাথে নিয়ে আসবেন।
হোটেল ভাড়া নিলে বিদ্যুৎ বা সোলার সিস্টেম আছে এমন হোটেল বুক করাই ভালো।
নিঝুম দ্বীপে রবি ও গ্রামীণ সিম ছাড়া অন্য কোনো অপারেটরে নেটওয়ার্ক নেই। তাই এই দুই অপারেটর এর যে কোনো একটি সিমকার্ড অবশ্যই চালু রাখবেন।
ছবি ক্রেডিটঃ  Yeasin Shampod

Scroll to Top