অনিন্দ্য সুন্দর প্রকৃতির এক অপার বিষ্ময় নিয়ে স্বগর্বে বিদ্যমান বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার আলীকদম উপজেলা। পাহাড়, লেক, ঝর্ণা, ঝিরি আর পাহাড়ি আদিবাসীদের গ্রাম্য জীবনযাত্রার চমৎকার সব সৌন্দর্যে ভরপুর এই আলীকদম উপজেলা। আলীকদমের উল্লেখযোগ্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য গুলোর মধ্যে একটি অসাধারণ প্রাকৃতিক ঝর্ণা হলো থানকোয়াইন ঝর্ণা।
বান্দরবানের অন্যান্য ঝর্ণা গুলোর থেকে তুলনামূলক সহজেই ট্রেকিং করা যায় এই ঝর্ণায়। তাই বছরের প্রায় সব সময়েই কম বেশি পর্যটকদের আনাগোনা হয় এখানে। তবে পাহাড়ি রাস্তায় কমপক্ষে দেড় ঘন্টার মতো ট্রেকিং করার মতো সক্ষমতা না থাকলে এই থানকোয়াইন ঝর্ণা ভ্রমনের প্লান না করাই ভালো। একটি এডভেঞ্চারে ভরপুর ভ্রমণ অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চাইলে থানকোয়াইন ঝর্ণা ভ্রমনের প্লান করতে পারেন।
থানকোয়াইন ঝর্ণা ভ্রমণের পাশাপাশি একই রুটে পালংখিয়াং ঝর্ণা, জামরুম ল্যাদমেরাগ ও ক্র্যতং ঝর্ণা দেখে আসতে পারেন। এক্ষেত্রে সময় ও খরচ দুটোই বেশি পড়বে। কেননা আপনার যাত্রাপথে প্রথমেই থানকোয়াইন ঝর্ণা পড়বে। তবে এই আর্টিকেলে শুধুমাত্র থানকোয়াইন ঝর্ণা ভ্রমণ সম্পর্কেই বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে থানকোয়াইন ঝর্ণার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সেখানে যাওয়ার উপায়, থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা সহ গাইডের সাথে যোগাযোগ করার উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন থানকোয়াইন ঝর্ণা ভ্রমণের সকল বিস্তারিত তথ্য জেনে নেয়া যাক।
থানকোয়াইন ঝর্ণার প্রকৃতিক সৌন্দর্য
পাহাড়ে মোড়ানো একটি নিস্তব্ধ প্রকৃতির মাঝে স্বগর্বে আছড়ে পড়া জলের ধারার মোহনীয় সৌন্দর্যে আটকে যেতে চাইলে আপনাকে চলে যেতে হবে থানকোয়াইন ঝর্ণায়। মূলত থানকোয়াইন ঝিরি থেকে বয়ে আসা জলের ধারা পাহাড়ের গা বেয়ে আছড়ে পড়ার ফলে এই থানকোয়াইন ঝর্ণার সৃষ্টি হয়েছে।
আপাতদৃষ্টিতে এই ঝর্ণাটির তিনটি ধাপ দেখতে পাবেন। পাহাড়ের ওপর থেকে কিছুটা নেমে এসে একটি পাথরের ওপর পড়েছে। সেখান থেকে আবার কিছুটা নিচে আরেকটি পাথরের ওপর আছড়ে পড়েছে। ঐ পাথরের ওপর থেকে গড়িয়ে এসে থানকোয়াইন ঝর্ণা মিলিত হয়েছে টোয়াইন খালে। তবে ঝর্ণার পানি যেখানে পতিত হয় সেখানে একটি প্রাকৃতিক সুইমিং পুলের মতো তৈরি হয়েছে।
এখানে সব সময়ই পানি জমা হয়ে থাকে। ঝর্ণার পানি নেমে আসার এক অদ্ভুত সুন্দর শব্দ আপনার মনকে ভরিয়ে দেবে। তাছাড়া ঝর্ণার চারপাশে ঘন সবুজে ঢেকে থাকা পাহাড়ের সৌন্দর্য আপনাকে আরও বেশি আকৃষ্ট করবে। ঝর্ণার পাশেই আছে একটি ছোট টংঘর। সেখানে বসে ঝর্ণার সৌন্দর্য উপভোগ করার অভিজ্ঞতা আজীবন মনে রাখার মতো। সব মিলিয়ে প্রকৃতি যেন আপন সৌন্দর্য মেলে ধরে প্রতিনিয়ত হাতছানি দেয় প্রকৃতিপ্রেমীদের।
থানকোয়াইন ঝর্ণা ভ্রমণে গিয়ে যা যা উপভোগ করবেন
থানকোয়াইন ঝর্ণা যাওয়ার পথের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরোটাই উপভোগ্য। ঝর্ণার নয়নাভিরাম দৃশ্য উপভোগের পাশাপাশি আরও যে সকল বিষয়বস্তু উপভোগ করতে পারবেন তা দেখে নিন।
১. টোয়াইন খালে নৌকা ভ্রমণ
আলীকদমে পাহাড়ের বুক চিড়ে বয়ে চলেছে অসম্ভব সুন্দর একটি খাল যার নাম টোয়াইন খাল। থানকোয়াইন ঝর্ণা ভ্রমণের পথে নৌকায় চেপে এই খালে ভেসে ভেসে অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে। পাহাড়ি খালে নৌকা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা শুধুমাত্র থানকোয়াইন ঝর্ণা ভ্রমণের ক্ষেত্রেই পাবেন। পুরোটা পথেই খালের দুপাশে পাহাড়ি গাছপালা ও আদিবাসীদের জীবনযাত্রার দৃশ্য দেখতে পারবেন।
২. পাহাড় ট্রেকিং
ঝর্ণা দেখবেন আর পাহাড় ট্রেকিং করবেন না এ আবার কখনও হয় নাকি। টোয়াইন খালের পাশ ধরে প্রায় অনেকটা পথ ট্রেকিং করে যেতে হবে। পুরোটা পথই পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাক্ষেত্র। কখনও কখনও খালের এপাড় থেকে ওপাড়ে চলে যেতে হবে পায়ে হেটে। হাটতে হাটতে ছোটখাটো আদিবাসী পাড়ায় ঢুকে পরবেন। সব মিলিয়ে পাহাড় ট্রেকিং এর এক দারুণ অভিজ্ঞতা হবে।
৩. ঝর্ণার পানিতে গোসল
বান্দরবানের অন্যান্য ঝর্ণা গুলোর থেকে থানকোয়াইন ঝর্ণায় গোসলের ব্যবস্থা সবথেকে ভালো। কেননা ঝর্ণার পাদদেশে তৈরি হওয়া প্রকৃতিক জলাধারে বেশ ভালোই পানি জমা হয়। পরিষ্কার শীতল পানিতে গা ভিজিয়ে পুরোটা পথ ট্রেকিং এর ক্লান্তি পুরোপুরি ধুয়ে ফেলতে পারবেন। গভীরতা খুব বেশি না হওয়ায় সাতার না জানলেও নেমে পড়তে পারেন প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি সুইমিং পুলে।
৪. ক্যাম্পিং
চাইলে দলবল নিয়ে পাহাড়ের ওপরে তাবু খাঁটিয়ে ক্যাম্পিং করতে পারেন। এতে করে থানকোয়াইন ঝর্ণার রাতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। তবে ক্যাম্পিং এর যাবতীয় সকল সরঞ্জাম সাথে করে নিয়ে যেতে হবে।
৫. টোয়াইন খাল থেকে মাছ ধরে রান্না
টোয়াইন খালের পানিতে বেশ বড় আকৃতির মাছ পাওয়া যায়। সাথে থাকা গাইডকে বললে খাল থেকে মাছ ধরে রান্নার ব্যবস্থা করে দেবে। ছোট কিংবা বড় তাজা মাছ ধরে বারবিকিউ করে খাওয়ার অভিজ্ঞতা মিস করা উচিত হবে না। পাহাড়ি খালের তাজা মাছের স্বাদ বাংলাদেশের আর কোনো প্রান্তে হয়তো পাওয়া যাবে না। ভাগ্য ভালো হলো মাছের পেটে ডিমও থাকতে পারে। এই ডিম ভাজি দিয়ে ভাত খেয়ে তাবুর মধ্যে নিশ্চিন্তে এক রাত ঘুমিয়ে কাটানো যাবে।
৬. টংঘরে রাত্রিযাপন
ঝর্ণার ঠিক পাশেই আছে শান্তি লাল দাদার টংঘর। এই ঘর থেকে ঝর্ণার পুরো ভিউ বেশ চমৎকার ভাবে উপভোগ করা যায়। জ্যোৎস্না রাতে টংঘরে বসে ঝর্ণার দৃশ্য আর সাথে ধোঁয়া ওটা গরম চা হলে আর কী চাই! পুরোটা রাত ঝর্ণার কলকল শব্দে চারপাশ মুখরিত হয়ে থাকবে৷ ঘরের চাটাইয়ের ফাঁক ফোঁকর দিয়ে জ্যোৎস্না এসে ঘর আলোকিত করবে আর ঝর্ণার শব্দে ঘর মুখরিত হয়ে উঠবে। এ যেন এক স্বপ্নের ভূবন!
একটা ট্রিপে যদি একসাথে এতগুলো আকর্ষণীয় অভিজ্ঞতার সুযোগ থাকে তাহলে তো ট্যুর প্লান করা যেতেই পারে। তাই আপনার পরবর্তী ভ্রমণ পরিকল্পনা করার সময় অবশ্যই থানকোয়াইন ঝর্ণার কথা মাথায় রাখবেন।
থানকোয়াইন ঝর্ণা যাওয়ার উপায়
থানকোয়াইন ঝর্ণা যাওয়ার জন্য প্রথমেই আপনাকে বান্দরবান এর আলীকদমে উপস্থিত হতে হবে। সেখান থেকে রওয়ানা করতে হবে থানকোয়াইন ঝর্ণার উদ্যেশ্যে।
ঢাকা থেকে আলীকদম
ঢাকা থেকে সরাসরি আলীকদমের বাস পাওয়া যায়। ঢাকার সায়দাবাদ থেকে প্রতিদিন শ্যামলী এন আর ট্রাভেলস এবং হানিফ এন্টারপ্রাইজ এর বাস সরাসরি আলীকদমের উদ্যেশ্যে ছেড়ে যায়। এসকল বাসের জনপ্রতি ভাড়া পড়বে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা। সরাসরি আলীকদম এর বাস না ধরতে পারলে বান্দরবানের বাসে উঠতে পারেন। ঢাকা সহ বাংলাদেশের প্রায় সব জেলা থেকেই বান্দরবানের উদ্যেশ্যে বাস ছেড়ে যায়।
সেক্ষেত্রে দূরত্ব অনুসারে বাস ভাড়া ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে। বান্দরবান থেকে চাঁদের গাড়ি ভাড়া করে কিংবা লোকাল বাসে করে চলে যেতে পারবেন আলীকদম। এক্ষেত্রে লোকাল বাসে ভাড়া পড়বে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। চাঁদের গাড়ি রিজার্ভ করলে ভাড়া পড়বে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা। বাসে গেলে ২ ঘন্টার মতো সময় লাগবে আর চাঁদের গাড়িতে ৩০ থেকে ৪০ মিনিটের মতো লাগবে। চেষ্টা করবেন রাতের গাড়ি ধরে খুব ভোরে আলীকদম উপস্থিত থাকার। তাহলে সারাদিন ঘোরাফেরা করার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাবেন।
আলীকদম থেকে দুছড়ী বাজার-
আলীকদম পৌঁছে সকালের নাশতা করে নিলে বা হালকা কিছু খেয়ে নিলে ভালো হয়। তারপর চলে যাবেন আলীকদমের পান বাজারে। পান বাজার থেকে যাবতীয় জিনিসপত্র কিনে নিতে হবে। কেননা এর পরে আর কোনো ভালো বাজার পাবেন না। সেখান থেকে ট্রলার ধরার জন্য চলে যেতে হবে আমতলী বাজার। এখানে ছোট বড় বিভিন্ন সাইজের ইঞ্জিন নৌকা বা ট্রলার পাবেন।
এই ট্রলার ভাড়া করে টোয়াইন খাল ধরে চলে যেতে হবে দুছড়ী বাজার। আমতলী ঘাট থেকে দুছড়ী বাজার পৌঁছাতে সময় লাগে সাধারণত ২ ঘন্টা। তবে খালে পানি কম থাকলে নৌকা আঁটকে পড়ার সম্ভাবনা আছে। তখন দলের সবাইকে হাঁটু পানিতে নেমে নৌকা ঠেলে সামনে নিতে হবে কিছুটা। এমন সমস্যায় পড়লে যেতে যেতে ৩ ঘন্টার মতে লাগবে। পুরোটা পথ যেতে যেতে খালের দুই পাশের পাহাড়ের প্রাকৃতিক দৃশ্য আপনাকে মুগ্ধ করবে।
দুছড়ী বাজার থেকে থানকোয়াইন ঝর্ণা-
দুছড়ী বাজার ঐ অঞ্চলের মানুষের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বাজার। এখানে চাকমা, মুরং, ত্রিপুরা সহ অন্যান্য উপজাতির লোকজন তাদের জুমে চাষ করা ফসল কেনা বেচা করে। তাছাড়া পর্যটকরাও এখান থেকে নিকটস্থ সকল ঝর্ণার উদ্যেশ্যে ট্রেকিং শুরু করে। মূলত দুছড়ী বাজারে কাছেই টোয়াইন খাল ও দুছড়ী খাল একত্রে মিলিত হয়েছে। যার ফলে এই বাজারটির নাম হয়েছে দুছড়ী বাজার।
এ পর্যায়ে দুছড়ী বাজারের স্থানীয় ক্যাম্প থেকে রেজিস্ট্রেশন করে থানকোয়াইন ঝর্ণা ভ্রমনের অনুমতি নিতে হবে। সেই সাথে এখান থেকেই খাওয়া দাওয়া করে ট্রেকিং এর জন্য প্রস্তুত হতে হবে। এখান থেকে গাইড ছাড়া আপনি ট্রেকিং করতে পারবেন না। দুছড়ী বাজারের গিয়ে আপনি লোকাল গাইড পেয়ে যাবেন। এক দিনের জন্য একজন গাইড ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা চার্জ করে থাকেন। গাইড তার সাধ্যমতো আপনাদের সাথে থাকা জিনিসপত্র বহন করবে।
গাইডের নির্দেশনা অনুযায়ী টোয়াইন খালের পাশ ধরে ট্রেকিং শুরু করতে হবে। ট্রেকিং এর মধ্যে দুইবার পায়ে হেঁটে খাল পাড় হতে হবে। কেননা কখনও খালের এক পাশের রাস্তা ভালো আবার কখনও অন্য পাড়ের। দুছড়ী বাজার থেকে ট্রেকিং করে থানকোয়াইন ঝর্ণায় পৌঁছাতে সময় লাগবে দেড় থেকে দুই ঘন্টার মতো।
থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা:
আপনার সাথের গাইড থাকা খাওয়ার সকল ব্যবস্থা নিজ দায়িত্বে করবে। থানকোয়াইন ঝর্ণার ঠিক পাশেই শান্তি লাল দাদার ঘর। আর একটু দুরেই আছে অরুণ দাদার ঘর। এই দুটো টংঘরের যে কোনো একটিতে রাত কাটাতে পারবেন। আর যদি দিনে দিনেই ঝর্ণা দেখে আলীকদম ফেরত আসতে পারেন তাহলে আলীকদমে সাধারণ মানের কিছু হোটেলে রাত কাটাতে পারবেন।
হাতে সময় থাকলে থানকোয়াইন ঝর্ণার কাছে একটা রাত কাটিয়ে পরেরদিন পালংখিয়াং ঝর্ণা, জামরুম ল্যাদমেরাগ ও ক্র্যাতং ঝর্ণা ভ্রমণের উদ্যেশ্যে ট্রেকিং শুরু করতে পারেন।
পান বাজার থেকে সংগ্রহ করা বাজার রান্না করে খেতে পারবেন ঝর্ণার পাশের টংঘরে বসে। প্রয়োজনীয় বাসনপত্র ঘরের মালিক সরবরাহ করবে।
তাছাড়া টংঘরের গৃহস্থের ওপরেও খাওয়ার দায়িত্ব ফেলতে পারেন। এক্ষেত্রে প্রতি বেলায় খরচ পড়বে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। তবে সাথে অবশ্যই শুঁকনো খাবার রাখবেন। যেমন: বাদাম, খেজুর, বিস্কিট, চিড়া, গুড় ইত্যাদি। কেননা পাহাড় ট্রেকিং করার সময় প্রচুর ক্যালরি ক্ষয় হয়। আর পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়ার পানি সাথে রাখতে ভুলবেন না। অবশ্য খালি ওয়াটার পট থাকলে পথের ধারের ঝিরি থেকে খাওয়ার পানি সংগ্রহ করতে পারবেন।
থানকোয়াইন ঝর্ণা ভ্রমনের সময় যা যা সাথে রাখবেন
সর্ব প্রথম যে বিষয়টি মাথায় রাখবেন তা হলো, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সাথে রাখতে হবে। কেননা দুছড়ী বাজার থেকে ভ্রমণের অনুমতি নেয়ার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র লাগবে।
মোবাইলে পর্যাপ্ত পরিমাণ চার্জ দিয়ে রাখবেন। সম্ভব হলে একটি পাওয়ার ব্যাংক ও একটি টর্চ লাইট সাথে রাখা ভালো। কেননা ট্রেকিং করে ফেরার পথে অনেক সময় সন্ধ্যা নেমে যেতে পারে। আর টংঘরেও কোনো বিদ্যুতের ব্যবস্থা নেই।
আরও সাথে রাখবেন ট্রেকিং সু, প্রয়োজনীয় পোশাক, একটি টাওয়েল। পাশাপাশি বড় সাইজের একটি পলিথিন বা ওয়াটারপ্রুফ ব্যাগ রাখতে হবে। করাণ পথিমধ্যে বৃষ্টির আগমন ঘটতে পারে। ভেজা কাপড় ক্যারি করার জন্য আরও একটি প্লাস্টিক ব্যাগ সাথে রাখতে হবে।
আশাকরি থানকোয়াইন ঝর্ণা ভ্রমণ আপনার জীবনে অর্জন করা একটি বিশেষ ভ্রমণ অভিজ্ঞতা হবে। তবে ভ্রমণে যাওয়ার আগে অবশ্যই একটি উপযুক্ত ট্যুর প্লান করে নেয়া জরুরি।
প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন-
স্থানীয় গাইড: স্বপন দাদা
মোবাইল: ০১৩০১-৬৭৫৩৫৪