জনকোলাহল থেকে বিচ্ছিন্ন এক ভার্জিন সমুদ্র সৈকত হলো তারুয়া সমুদ্র সৈকত। একদিকে বঙ্গোপসাগরে বিস্তীর্ণ জলরাশি আর অন্যদিকে গহীন ম্যানগ্রোভ বনের মধ্যবর্তী স্থানে অপরূপ সৌন্দর্য নিয়ে পর্যটকদের হাতছানি দিচ্ছে তারুয়া সমুদ্র সৈকত। কুয়াকাটা কিংবা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে তারুয়া সমুদ্র সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কয়েক গুন বেশি কেননা এখানে এখনও পর্যন্ত খুব বেশি মানুষের আনাগোনা ঘটেনি।
ফলে প্রকৃতি তার আপন ভঙ্গিমায় বিদ্যমান থাকতে পেরেছে। তারুয়া সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ হতে পারে আপনার জীবনের একটি এডভেঞ্চারাস ভ্রমণ ট্রিপ। যেখানে আপনি সমুদ্র সৈকতের পানিতে হুটোপুটি করার পাশাপাশি ম্যানগ্রোভ বনের গভীরে হারিয়ে যেতে পারবেন। আরও আছে রোমাঞ্চকর সব অভিজ্ঞতার একটি পূর্ণাঙ্গ প্যাকেজ। সেই সাথে সময় হলে চর কুকরী মুকরী থেকেও ঘুরে আসতে পারবেন।
এই আর্টিকেলের মাধ্যমে তারুয়া সমুদ্র সৈকত যাওয়ার উপায়, থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা, সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য সহ সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। তাই তারুয়া সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ পরিকল্পনা করার আগে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার অনুরোধ রইল।
তারুয়া সমুদ্র সৈকত কোথায় অবস্থিত?
বরিশাল বিভাগের একটি দ্বীপ জেলা হলো ভোলা। ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর ইউনিয়নে তারুয়া সমুদ্র সৈকতের অবস্থান। ঢালচরের সর্ব দক্ষিণের ৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য নিয়ে বিস্তৃত ভূ-খন্ডকে তারুয়া সমুদ্র সৈকত নামে চেনা হয়। ভোলা জেলা শহর থেকে সড়কপথে ১৩৫ কিলোমিটার এবং নদীপথে ১৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে তারুয়া সমুদ্র সৈকতে পৌছাতে হয়। এই অঞ্চলটি লোকালয় থেকে একদম বিচ্ছিন্ন বললে ভুল হবে না।
তারুয়া সমুদ্র সৈকত ভ্রমণের উপযুক্ত সময়
তারুয়া সমুদ্র সৈকত যাওয়ার প্রধান মাধ্যম হলো নদীপথ। কেননা ঢালচর ইউনিয়নটি মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন একটি দ্বীপ। তাছাড়া ঢাকা থেকে ভোলা যাওয়ার ক্ষেত্রেও নদী পথই একমাত্র উপায়৷ বর্ষায় যেহেতু নদী ও সমুদ্র বেশ উত্তাল থাকে তাই এসময়ে ট্যুর প্লান করাটা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।
আপনি যদি খুব বেশি সাহসী এবং এডভেঞ্চার প্রেমী না হয়ে থাকেন তাহলে ভ্রমণের জন্য শীত ঋতুকে বেছে নিতে হবে। সাধারণত নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারী কিংবা মার্চ মাস তারুয়া সমুদ্র সৈকত ভ্রমণের উপযুক্ত সময়। তাছাড়া শীতের সময় অসংখ্য অতিথি পাখির দেখা পাবেন। ভোলার বিখ্যাত খাবারগুলো চেখে দেখার জন্যও শীতকাল উপযুক্ত সময়৷
তারুয়া সমুদ্র সৈকত ভ্রমণে গিয়ে যা যা উপভোগ করবেন
তারুয়া সমুদ্র সৈকত ভ্রমন যেন বৈচিত্র্যময় অভিজ্ঞতার একটি পূর্ণাঙ্গ প্যাকেজ। প্রথমেই যে বিষয়টি আপনাকে মুগ্ধ করবে তা হলো ভার্জিন সমুদ্র সৈকতের মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য। কিছুক্ষণ পর পর বঙ্গোপসাগরের উত্তাল ঢেউ আছড়ে পড়ে সৈকতের কিনারায়। সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ ছাড়াও আরও যে সকল বিষয় উপভোগ করবেন তা দেখে নিন।
১. ম্যানগ্রোভ বনে ঘুরে বেড়ানো
সৈকতের বিপরীত দিকে যতোদূর চোখ যায় শুধু দেখবেন ম্যানগ্রোভ বন। বনের মধ্যে আছে বৈচিত্র্যময় বিভিন্ন গাছ। মাঝে মাঝে গাছের কাটা গুড়ির ওপর বসে একটু বিশ্রাম নিয়ে আবার হাটতে শুরু করবেন। একই সাথে সমুদ্র আর ম্যানগ্রোভ বন দেখার অভিজ্ঞতা সত্যিই অসাধারণ।
২. বণ্যপ্রাণীর দর্শন
ম্যানগ্রোভ বনের ভেতর দিয়ে হাটতে হাটতে দেখা মিলবে বন্য মহিষ, বন্য গরু, কাঠবিড়ালি সহ ছোটখাটো বিভিন্ন প্রাণী। ভাগ্য ভালো হলে হরিণের দেখাও মিলতে পারে। সমুদ্রের তীরে ঘুরে বেড়াতে দেখবেন অসংখ্য লাল কাঁকড়া। যখনই আপনি কাছাকাছি চলে যাবেন অমনি কাঁকড়াগুলো ঢুকে পড়বে বালুর মধ্যে।
বালু খুঁড়ে লাল কাঁকড়া সংগ্রহ করতে পারবেন। দিনের বেলা বীচের পাশে ঘুরে বেড়ায় মহিষ আর গরুর পাল। আবার সন্ধ্যার আগে বনের মধ্যে ঢুকে পড়ে। সব মিলিয়ে জীববৈচিত্র্যের এক অনন্য সমাহার স্বচক্ষে দেখতে পারবেন এখানে।
৩. অতিথি পাখির কলকাকলি
শীতের সময় তারুয়া সমুদ্র সৈকত ভ্রমণে গেলে দেখা পাবেন অসংখ্য অতিথি পাখির। ঝাঁকে ঝাঁকে উঠে বেড়ায় সমুদ্রের তীর ধরে। পাখির কিচির মিচির শব্দে মন ভালো হয়ে যায় মুহুর্তেই।
৪. সমুদ্রের তীরে ক্যাম্পিং
জ্যোৎসা রাতে সমুদ্রের তীরে দলবল নিয়ে ক্যাম্পিং করতে পারবেন। তাবুর মধ্যে শুয়ে সমুদ্রের গর্জন উপভোগ করার অভিজ্ঞতা অর্জন করাটা ভাগ্যের বিষয়। তাই একরাত থেকে গেলে অবশ্যই ক্যাম্পিং করতে ভুলবেন না। ক্যাম্পিং এর যাবতীয় সরঞ্জাম নিজেদের সাথে নিয়ে যেতে হবে।
৫. নৌকা ভ্রমণ
তারুয়া সমুদ্র সৈকত যাওয়ার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ পথেই নৌকা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন। সমুদ্র সংলগ্ন নদীর উত্তাল ঢেউয়ের মধ্যে ট্রলার, ছোট লঞ্চ কিংবা স্পিড বোট নিয়ে পাড়ি দিতে হবে অনেকটা পথ। যারা সচরাচর নদীপথে ভ্রমণ করেন না তাদের জন্য এটি একটি বিশেষ অভিজ্ঞতা হবে। সুযোগ পেলে জেলে নৌকায় ঘুরে ঘুরে মাছ ধরার অভিজ্ঞতাও অর্জন করতে পারেন।
সব মিলিয়ে নদীমাতৃক বাংলাদেশের আসল রূপ ধরা পড়বে আপনার সামনে। আপনার যদি সমুদ্র ও নদীর সাথে একান্ত মেলবন্ধনের ইচ্ছা থাকে তাহলে পরবর্তী ট্যুর প্লান করতে পারেন তারুয়া সমুদ্র সৈকতে।
তারুয়া সমুদ্র সৈকত যাওয়ার উপায়
তারুয়া সমুদ্র সৈকত যাওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে চলে যেতে হবে ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলায়। সেখান থেকে সড়কপথে ও নদীপথে মোট ১৫০ কিলোমিটার দূরত্ব পাড়ি দিয়ে পৌঁছাতে হবে তারুয়া সমুদ্র সৈকতে। এখানে কয়েকটি ধাপে তারুয়া সমুদ্র সৈকত যাওয়ার এবং সেখান থেকে ফেরত আসার পদ্ধতি বর্ণনা করা হলো।
ঢাকা থেকে চরফ্যাশন
ঢাকার সদরঘাট থেকে সরাসরি চরফ্যাশন যাওয়ার জন্য লঞ্চ পেয়ে যাবেন। ঢাকা থেকে চরফ্যাশন লঞ্চে ডেক ভাড়া পড়বে ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা। আর কেবিনে যেতে চাইলে শ্রেণীভেদে ভাড়া পড়বে ৮০০ টাকা থেকে ৩০০০ টাকা। কেবিন বুক করে রাখার জন্য নিচে দেয়া নাম্বারে যোগাযোগ করে নিতে পারেন।
লঞ্চের তালিকা, সময়সূচি ও যোগাযোগের নম্বর উল্লেখ করা হলো:
১. এম. ভি. তাসরিফ -৩
ছাড়ার সময়: রাত ৭ টা ৪৫ মিনিট
মোবাইল: ০১৭৩০-৪৭৬৮২৪
২. এম. ভি. তাসরিফ -৪
ছাড়ার সময়: রাত ৭ টা ৪৫ মিনিট
মোবাইল: ০১৭৮২-৪৭৬৩৭৯
৩. এম. ভি. ফারহান -৫
ছাড়ার সময়: রাত ৮ টা ৩০ মিনিট
মোবাইল: ০১৭৯৮-২৮৮৬৯২
৪. এম. ভি ফারহান -৬
ছাড়ার সময়: রাত ৮ টা ৩০ মিনিট
মোবাইল: ০১৭৫৫-৯৪৯০৬০
ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চ চরফ্যাশনের বেতুয়া লঞ্চঘাট গিয়ে পৌঁছাবে পরেরদিন খুব ভোরে।

চরফ্যাশন থেকে কচ্ছপিয়া ঘাট
বেতুয়া লঞ্চঘাট থেকে ১০০ টাকা ভাড়ায় বোরাক গাড়িতে করে চলে যেতে হবে চরফ্যাশন বাস টার্মিনালে। এখান থেকে সড়কপথে চলে যাবেন কচ্ছপিয়া ঘাট। অটো বা সিএনজি রিজার্ভ করে গেলে ভাড়া পড়বে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। তবে সাশ্রয়ী উপায়ে যেতে চাইলে প্রথমে বাসে করে চলে যাবেন চর আইচা। এক্ষেত্রে জনপ্রতি ভাড়া পড়বে ৬০ টাকা। সেখান থেকে লোকাল অটো বা সিএনজি করে চর কচ্ছপিয়া ঘাট যেতে পারবেন। ভাড়া লাগবে ২০ টাকা।
কচ্ছপিয়া ঘাট থেকে তারুয়া সমুদ্র সৈকত
কচ্ছপিয়া ঘাট থেকে শুধুমাত্র একটি ছোট লঞ্চ প্রতিদিন দুপুর ৩ টায় ঢাল চরের উদ্যেশ্যে ছেড়ে যায়। চেষ্টা করবেন যেভাবেই সম্ভব ৩ টার লঞ্চটি ধরতে। তাহলে জনপ্রতি মাত্র ১২০ টাকা ভাড়ায় কচ্ছপিয়া ঘাট থেকে ঢাল চর পর্যন্ত যেতে পারবেন। নয়তো ২৫০০ থেকে ৪০০০ টাকায় ট্রলার রিজার্ভ করে ঢাল চর যেতে হবে। ঢালচর নেমে মাছ ধরার নৌকায় করে চলে যেতে পারবেন তারুয়া সমুদ্র সৈকত। আর যদি নৌকা না পাওয়া যায় তাহলে পায়ে হেঁটে তারুয়া সমুদ্র সৈকত পৌঁছাতে সময় লাগবে ১ ঘন্টার মতো।
চর কুকরী মুকরী হয়ে তারুয়া সমুদ্র সৈকত
দুর্ভাগ্যবশত যদি লঞ্চ মিস করে ফেলেন বা ৩ টার অনেক আগেই কচ্ছপিয়া ঘাট পৌঁছে যান তাহলে চর কুকরী মুকরী হয়ে তারুয়া সমুদ্র সৈকত যেতে পারবেন৷ আর যারা একসাথে চর কুকরী মুকরী ও তারুয়া সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ করতে চান তাদের তো অবশ্যই চর কুকরী মুকরীর লঞ্চ ধরতে হবে।
কচ্ছপিয়া ঘাট থেকে প্রতিদিন দুপুর ১২ টায় এবং বিকাল ৪ টায় ছেট লঞ্চ চর কুকরী মুকরীর উদ্যেশ্যে ছেড়ে যায়। জনপ্রতি ভাড়া লাগবে ৬০ টাকা। লঞ্চ থেকে নেমে সোজা চলে যেতে হবে চর কুকরী মুকরী বাজারে। সেখান থেকে অটো নিয়ে যেখানে পৌঁছাবেন সেই জায়গাটিকে স্থানীয় ভাবে ডাকাইত্তার খাল বলা হয়। এই খালের পায়ে হেঁটে বা ডিঙি নৌকায় পাড় হতে পারবেন। খালের ওপাড়ে একটি ভাসমান খাবার হোটেল পাবেন।
চাইলে সেখান থেকে খাওয়াদাওয়া করে আবার রওয়ানা হতে পারবেন। তারপর বনের মধ্য দিয়ে পায়ে হেটে চলে যেতে হবে নারকেল বাগান। স্থানীয়দের কাছে জিজ্ঞেস করে পথ চিনে হাঁটতে হবে৷ নারকেল বাগান থেকে তারুয়া সমুদ্র সৈকত যাওয়ার জন্য ট্রলার ধরতে হবে। এখান থেকে ট্রলার রিজার্ভ করলেও আপনাকে ২০০০ থেকে ৩০০০ টাকা গুনতে হবে৷ তাই আপনাকে একটু কৌশলে ট্রলার ধরতে হবে৷
তারুয়া থেকে যাত্রী নিয়ে এসে যে সকল ট্রলার ফেরত যায় ঐ ট্রলার ধরতে পারলে জনপ্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ভাড়ায় যেতে পারবেন। তাছাড়া মাছ ধরার ট্রলারে গেলেও ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ভাড়া লাগবে। আর এখান থেকে খুব সহজেই এসকল লোকাল ট্রলার পেয়ে যাবেন। এক্ষেত্রে নারকেল বাগান থেকে সরাসরি তারুয়া বিচে চলে যেতে পারবেন৷
তারুয়া সমুদ্র সৈকত থেকে ফেরত আসবেন যেভাবে
তারুয়া সমুদ্র সৈকত থেকে ফেরত আসার জন্য খুব ভোরে ঢাল চরের উদ্যেশ্যে রওয়ানা দিতে হবে। মাছ ধরার ট্রলার পেলে তো ভাগ্য ভালো। না পেলে ১ ঘন্টার পথ পায়ে হেটে ঢাল চর পর্যন্ত যেতে হবে৷ ঢালচর থেকে সকাল ৯ টায় শুধুমাত্র একটি ট্রলার বা ছোট লঞ্চ কচ্ছপিয়া ঘাটের উদ্যেশ্যে ছেড়ে যায়। এই ট্রলারটি মিস করলে আপনাকে ট্রলার রিজার্ভ করে কচ্ছপিয়া ঘাটে যেতে হবে। এরপর যথাক্রমে চরফ্যাশন হয়ে ঢাকা ফেরত আসতে হবে।
তারুয়া সমুদ্র সৈকতে থাকার ব্যবস্থা
তারুয়া বিচের কাছেই একটি সাধারণ মানের রিসোর্ট আছে। ‘তারুয়া সৈকত রিসোর্ট’ এর প্রতিটি রুমই টিনের তৈরি এবং থাকার জন্য মাঝারি মানের একটি করে খাট রয়েছে। প্রতি রাতের জন্য এখানে রুম ভাড়া দিতে হবে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। রিসোর্টে খাবার পানির সুব্যবস্থা রয়েছে এবং দুইটি টয়লেট রয়েছে। একটি মহিলাদের জন্য আরেকটি পুরুষদের জন্য।
রিসোর্টের দায়িত্বে আছেন- মোঃ হাসান
মোবাইল: ০১৭৩৫-২৫৪২৮০
তাছাড়া ঢাল চর ইউনিয়নের প্রতিটি মানুষই খুব অতিথিপরায়ণ। চাইলে যে কোনো পরিবারে সাথে অনুমতি নিয়ে নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে থাকার ব্যবস্থা করতে পারবেন।
তবে সবথেকে ভালো লাগবে ক্যাম্পিং করে থাকলে৷ সমুদ্রের তীরে নিজেরা ক্যাম্পিং করে থাকার ব্যবস্থা করতে পারেন। ক্যাম্পিং এর জন্য এই অঞ্চলটি পুরোপুরি নিরাপদ।
অনেকেই চর কুকরী মুকরীতে রাত্রিযাপন করতে চান। সেক্ষেত্রে সাধারণ মানের কিছু হোটেল ও একটি রেস্ট হাউজ পাবেন। একটি হোটেলের যোগাযোগের নম্বর দেয়া হলো।
হাওলাদার হোটেল
ঠিকানা: চর কুকরী মুকরী বাজার
মোবাইল: ০১৭১৯-০১৭৪৪৭
প্রতি রাতের জন্য ভাড়া ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা।
খাওয়ার ব্যবস্থা
আপনি যদি ‘তারুয়া সৈকত রিসোর্টে’ থাকতে চান তাহলে সেখানেই খাওয়ার ব্যবস্থা আছে। তবে খাবারের জন্য আগে থেকে অর্ডার দিয়ে রাখতে হবে। রিসোর্টের দায়িত্বে থাকা হাসান ভাইয়ের কাছ থেকেই বাজার বা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারবেন। আবার তারাই রান্না ও পরিবেশনের ব্যবস্থা করবে।
তাছাড়া কোনো গৃহস্থ বাড়িতে থাকলে সেখানেও খাওয়ার ব্যবস্থা হবে। বিচের কাছে একটি ছোট দোকান আছে। সেখানে মহিষের দুদের চা এবং হালকা খাবার খেতে পারবে।
তারুয়া সমুদ্র সৈকত ভ্রমণে গেলে অবশ্যই মহিষের দুধের দই, শীতকালীন হাঁসের মাংস, ইলিশ মাছ, বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ ও রসগোল্লা খেতে ভুলবেন না।
আশাকরি তারুয়া সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ইতোমধ্যে পেয়ে গেছেন। আপনার জীবনের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা গুলোর মধ্যে তারুয়া সমুদ্র সৈকত ভ্রমন উল্লেখযোগ্য হয়ে থাকবে। একটি সুপরিকল্পিত ও সফল ভ্রমণের জন্য শুভকামনা রইল। ধন্যবাদ।