একটি ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা শুরু করা খুব লাভজনক হতে পারে যদি এটা নিয়ে সঠিক পরিকল্পনা, উত্তম বাস্তবায়ন এবং কঠোর পরিশ্রম করা যায়। আমরা যারা একটি ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছি কিংবা একটি ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা শুরু করতে চাই তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আজ আমরা কিভাবে একটি ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা শুরু করতে হয় তার যাবতীয় বিষয় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জানানোর চেষ্টা করব।
ট্রাভেল এজেন্সি কি?
ট্রাভেল এজেন্সি এমন একটি মাধ্যম যার অধীনে ভ্রমণ এবং দর্শনীয় স্থান ইত্যাদি সম্পর্কিত সকল প্রকার সুবিধা প্রদান করা হয়। এর আওতায় রেলের টিকিট, বাসের টিকিট, এয়ার টিকিট, গাড়ি ভাড়া, বাস ভাড়া, হোটেল বুকিং, ট্যুর প্যাকেজ ইত্যাদি সেবা দেওয়া হয়। কিছু ট্রাভেল এজেন্সি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের মতো সুবিধাও দেয়।
কিভাবে ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা শুরু করবেন?
একটি ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা শুরু করার আগে, আপনার ট্রাভেল বা ভ্রমণ সম্পর্কিত জ্ঞান থাকা উচিত যেমন ভ্রমণের জন্য সেরা জায়গা কোনটি, হোটেল, আপনি যদি আপনার ট্রাভেল এজেন্সি খুলতে চান তবে এটি কোথায় খুলবেন, এই সম্পর্কে আপনার কাছে এই সঠিক তথ্য থাকা উচিত। আর তাই আমরা আপনাকে জানাচ্ছি কীভাবে একটি ট্রাভেল এজেন্সি খুলবেন।
ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা শুরু করার প্রক্রিয়া সমূহ
- প্রাথমিক পর্যালোচনা (সিদ্ধান্ত নেওয়া, অর্থ সংস্থান, অফিস নির্বাচন, নাম নির্ধারণ ইত্যাদি)
- ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ
- সিভিল অ্যাভিয়েশন লাইসেন্স সংগ্রহ
- IATA লাইসেন্স সংগ্রহ
- মার্কেটিং
একটি ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা শুরু করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হল আপনার ব্যবসার পরিকল্পনা সম্পূর্ণ করা।
নাম নির্বাচন
শুরুতেই আপনার ট্রাভেল এজেন্সির জন্য নাম নির্বাচন করুন। একটি ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা শুরু করার প্রথম ধাপ হল আপনার ব্যবসার জন্য নাম বেছে নেওয়া।
এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পছন্দ যেহেতু আপনার কোম্পানির নাম আপনার ব্র্যান্ড এবং এটি আপনার ব্যবসার আজীবন স্থায়ী হবে৷ আদর্শভাবে, আপনি এমন একটি নাম চয়ন করুন যা অর্থবহ ও স্মরণীয় এবং সহজ।
ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসার জন্য আইনি কাঠামো গঠন
নাম নির্বাচনের পর আপনাকে আপনার ট্রাভেল এজেন্সির জন্য একটি ব্যবসার আইনি কাঠামো বেছে নিতে হবে। অর্থাৎ আপনি কী ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি করতে চান তার সিদ্ধান্ত নেওয়া। যেমন একক মালিকানা, অংশীদারিত্ব, সি কর্পোরেশন, এস কর্পোরেশন, প্রাইভেট লিমিটেড, এলএলপি, ওপিসি বা এলএলসি ইত্যাদি।
স্টার্টআপ তহবিল যোগান বা সংগ্রহ
আপনার ট্রাভেল এজেন্সি প্ল্যান ডেভেলপ করার সময় এটা অবশ্যই চিন্তা করবেন যে, আপনার প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত করতে যে তহবিল বা বিনিয়োগ সেটা কীভাবে আসবে। একটি ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসার তহবিলের জন্য সাধারণত প্রধান উৎসগুলি হয় ব্যক্তিগত সঞ্চয়, পরিবার, বন্ধু, ক্রেডিট কার্ডের অর্থায়ন, ব্যাঙ্ক লোন, ক্রাউডফান্ডিং ইত্যাদি।
টাকার সংস্থান হয়ে গেলে ব্যবসার জন্য আপনি কত টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন তা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি ব্যবসা শুরু করার জন্য একটি ভাল বিনিয়োগ থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন, যাতে আপনি কখনই আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হন না।
একটি ট্রাভেল এজেন্সি খুলতে কত টাকার প্রয়োজন হবে তা বিশ্লেষণ করুন। স্টার্টআপ খরচ ট্র্যাক করা একটি সহজ জিনিস নয় কিন্তু একটি ব্যবসা শুরু করার সময় আপনার এটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা উচিত।
আপনি যদি আপনার বাসা থেকে একটি ট্রাভেল এজেন্সি চালু করতে চান তবে আপনাকে খুব বেশি খরচ করতে হবে না তবে আপনি যদি অফিস থেকে একটি ট্রাভেল এজেন্সি চালাতে চান তবে আপনার একটি ভাল জায়গা, ভাল ইন্টারনেট সংযোগ, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, পানীয় পানি, বিদ্যুৎ প্রয়োজন। বিল, অফিস স্পেস।ভাড়া, অফিস অ্যাটেনডেন্ট, এসব কিছুর খেয়াল রাখতে হবে। এই সবকিছু তৈরি করতে আপনাকে নূন্যতম ৫০ হাজার থেকে এক লক্ষ টাকা প্রাথমিক মূলধন দিতে হবে।
অফিস নির্বাচন
ট্রাভেল এজেন্সি হল এমন একটি ব্যবসা যা আপনি যেকোনো জায়গা থেকে শুরু করতে পারেন, তাই প্রথমে আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি কোথায় ব্যবসাটি খুলতে চান। আপনাকে শুধু মনে রাখতে হবে যে আপনি যেখানে এজেন্সি খুলবেন, সেখানে একটি ভাল ইন্টারনেট সংযোগ থাকা উচিত, যার কারণে আপনার জন্য সমস্ত টেলিফোন এবং অনলাইন বুকিংগুলিতে মনোযোগ দেওয়া সহজ হবে।
একইসাথে আপনাকে এটাও চিন্তা করতে হবে, যেখানে আপনার প্রতিষ্ঠান খুলবেন সেখানে প্রচুর জংশন থাকতে হবে। অর্থাৎ সর্বসাধারণের একটা লোকারণ্য থাকা উচিত। যাতে সহজে যেকেউ আপনার প্রতিষ্ঠানে এসে সেবা নিতে পারে।
এছাড়া আপনি চাইলে বাড়ি থেকেও কাজ শুরু করতে পারেন। তবে এটা সবচেয়ে ভালো হবে যদি আপনি এমন কোনো বাজারে প্রতিষ্ঠানটি দেন, যেখানে আপনি অফলাইনে আরও বেশি গ্রাহক পাবেন। অর্থাৎ আজকাল অনলাইনে যেসব কাজ ডিজিটাল সেন্টারে করে থাকে, সেইসব কাজও যেন আপনি করতে পারেন সেই হিসেবে প্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে হবে।
আপনার ব্যবসার ধরণ নির্বাচন করুন
সবকিছু ঠিকমতো হয়ে গেলে, এরপর আপনাকে জনগণের চাহিদা এবং আপনি কী করতে পারেন বা পছন্দ করেন সেটা নিয়ে চিন্তা করতে হবে। আপনাকে মানুষের সাথে সুসম্পর্ক রাখতে হবে, আপনাকে আপনার বাজারকে টার্গেট করতে হবে, বিশেষ করে আপনি কাদের জন্য কাজ করবেন?
আমাদের দেশে অধিকাংশ মানুষ মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, আমেরিকা, কিংবা হজ্জ্ব ওমরা করতে দেশের বাইরে যায়। তাই আপনাকে চিন্তা করতে হবে, আপনি কাদের জন্য কীভাবে কাজ করবেন। অর্থাৎ যারা ভ্রমণ পছন্দ করেন এবং ততাদের চাহিদাগুলি কীভাবে পূরণ করবেন, তাদের হোটেল থেকে বিমানবন্দর এবং বিমানবন্দর থেকে হোটেলে পরিবহনের উপর নজর রাখা ইত্যাদি সবকিছু চিন্তা করতে।
এইসব ছাড়াও ট্রাভেল এজেন্সি শুরু করার আগে আপনাকে ভিসা? পাসপোর্ট সম্পর্কে তথ্য জানতে হবে এবং ক্রুজের টিকিট, প্লেনের টিকিট, রেলের টিকিট বুক করার প্রক্রিয়া বুঝতে হবে, যার সাহায্যে আপনি আপনার গ্রাহকদেরও সাহায্য করতে পারেন।
ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় লাইসেন্স এবং রেজিস্ট্রেশন
ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা শুরু করতে হলে প্রথমে লাইসেন্স করা জরুরি। লাইসেন্স একটি কোম্পানিকে যেকোনো ধরনের বড় ক্ষতির হাত থেকে বাচাঁয়। এর জন্য প্রথমে কোম্পানির নাম, অফিস ইত্যাদি ঠিক করে তারপর লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে। একটি ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা শুরু করতে, কিছু আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য আপনার লাইসেন্স এবং কিছু জিনিসের নিবন্ধন প্রয়োজন। সেগুলো হলো :
- প্রথমেই আপনি যে ধরনের কোম্পানি খুলতে চান, যেমন প্রাইভেট লিমিটেড, এলএলপি, ওপিসি বা এলএলসি ইত্যাদির নিবন্ধন নিতে হবে।
- ট্রেড লাইসেন্স নিতে হবে।
- সিভিল এভিয়েশন ট্রাভেল এজেন্সি লাইসেন্স যা পর্যটন মন্ত্রনালয় দ্বারা স্বীকৃত।
- অ্যাসোসিয়েশন অফ ট্রাভেল এজেন্টস অফ বাংলাদেশ (ATAB) এ যোগদান।
- আইএটিএ (দ্য ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন) এর এজেন্ট হওয়া। IATA হল ওয়ার্ল্ড এয়ারলাইন্সের একটি অংশ। যা সারা বিশ্বে প্রায় ২৪০টি এয়ারলাইন পরিচালনা করে যা মোট এয়ার ট্রাফিকের ৮৪%।
একটি ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসার লাইসেন্স করার নিয়ম
একটি ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসার লাইসেন্স করতে হলে, প্রথমে স্থানীয় একটি ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে।
ট্রেড লাইসেন্স করার নিয়ম নিয়ম
বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্ক ১৮ বছর বয়েসের যে কেউ ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করতে পারবে। ট্রেড লাইসেন্স দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে করা যায়। যেমন:
- দেশের যেকোনো সিটি কর্পোরেশন
- জেলা পরিষদ
- উপজেলা পরিষদ
- পৌরসভা
- ইউনিয়ন পরিষদ ইত্যাদি।
এর অর্থ হলো আপনি দেশের যে জায়গায় থাকেন কিংবা যে জায়গায় ব্যবসা পরিচালনা করবেন, সেই জায়গা থেকেই ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে।
যেমন দেশের যেকোনো সিটি কর্পোরেশন অঞ্চল থেকে প্রথমে ১০ টাকা দিয়ে একটি আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে। আবেদন পত্রের সাথে যা জমা দিতে হবে:
- ৩ (তিন) কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি
- অফিস ভাড়ার চুক্তি পত্র
- অফিস ভাড়ার রশিদ
- এইসবসহ সংযুক্ত করে পরিশোধের রশিদ সহ কর কর্মকর্তার বরাবর আবেদন করতে হয়
এই ফর্ম পূরণ করার পর সর্বনিম্ম ২০০ থেকে ২৫০০০ টাকা প্রয়োজন হতে পারে রেজিস্ট্রেশন করতে। আর এই চার্জ নির্ভর করবে প্রতিষ্ঠানের ধরণের উপর। এইসব কাগজপত্র জমা দেওয়ার পর যাবতীয় কার্যক্রম শেষে সরকার একটি ট্রেড লাইসেন্স আপনার ব্যবসার জন্য ইস্যু করবে।
সিভিল এভিয়েশন ট্রাভেল এজেন্সি লাইসেন্স সংগ্রহ
সিভিল এভিয়েশন ট্রাভেল এজেন্সি লাইসেন্স সংগ্রহ করার জন্য প্রথমে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড থেকে রেজিস্ট্রেশন ফরম ডাউনলোড করে, তারপর পূরণ করে জমা দিতে হবে। এই নিবন্ধন ফর্মে আপনার সমস্ত তথ্য যেমন পদবী, জাতীয়তা, এনআইডি নম্বর, জন্ম তারিখ, বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা এবং আরও তথ্য দিতে হবে। একইসাথে আবেদন ফরমের সাথে আরও যা জমা দিতে হবে:
- টিআইএন (TIN) সার্টিফিকেট
- ট্রেজারি চালানের আসল কপি
- সত্যায়িত ট্রেডলাইসেন্সের অনুলিপি
- লিমিটেড কোম্পানি কিংবা অংশীদারী কোম্পানি হলে তার সত্যায়িত সার্টিফিকেট অব ইনকর্পোরেশন অনুলিপি
- রেজিষ্ট্রেশন ফি ও ভ্যাট জমার ট্রেজারি চালানের আসল কপি
- হোল্ডিং ট্যাক্স রশিদ কিংবা বাড়ি ভাড়ার চুক্তিপত্র এবং ভাড়া পরিশোধের রশিদ
- ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্টাম্পে হলফনামা প্রদান
- কমপক্ষে ১০ (দশ) লক্ষ টাকার ব্যাংক ব্যালেন্স সার্টিফিকেট
আনুসাঙ্গিক প্রয়োজনীয় খরচ:
- আবেদন ফি- ৫,০০০/- টাকা
- রেজিষ্ট্রেশন ফি – ৫০,০০০/- টাকা
উপরোক্ত যাবতীয় কাগজপত্র ও টাকা জমা দেওয়ার পর সিভিল এভিয়েশন ট্রাভেল এজেন্সি লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে।
ব্যাংক একাউন্ট খোলা
ট্রাভেল এজেন্সি খোলার পর সেই নামে একটি ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হবে। ব্যবসা সংক্রান্ত যাবতীয় লেনদেন সেই একাউন্টের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে।
অ্যাসোসিয়েশন অফ ট্রাভেল এজেন্টস অফ বাংলাদেশ (ATAB) এ যোগদান
বাংলাদেশে ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই ATAB সংস্থায় যোগদান করতে হবে।
কেন ATAB যোগদান করবেন?
অ্যাসোসিয়েশন অফ ট্রাভেল এজেন্টস অফ বাংলাদেশ (ATAB) হল সরকার কর্তৃক নিবন্ধিত ট্রাভেল এজেন্টদের একটি শীর্ষ সংস্থা। এই সংস্থার অধীনে সারা দেশে এর প্রায় ৩৫০০ সদস্য রয়েছে। ATAB দেশে এভিয়েশন ও পর্যটন খাতের সুষ্ঠু উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। ATAB সদস্যরা নিম্নলিখিত সুবিধাগুলি উপভোগ করতে পারেন:
১. বেসামরিক বিমান চলাচল পর্যটন মন্ত্রণালয় (MoCAT) মন্ত্রণালয়ে লাইসেন্স নবায়নের উদ্দেশ্যে ATAB সদস্য হওয়ার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
২. মন্ত্রণালয়, দূতাবাস এবং এয়ারলাইন্সের সমস্যা সম্পর্কিত সদস্যদের যেকোন সমস্যা সমাধানে ATAB সর্বদা তার সহায়তা প্রসারিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই বিষয়ে ATAB সদস্যদের আইনি, প্রযুক্তিগত ও প্রশাসনিক সহায়তা প্রদান করে।
৩. ATAB ট্যুরিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (ATTI) বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড (BTEB) এর জাতীয় কারিগরি বৃত্তিমূলক যোগ্যতা ফ্রেমওয়ার্ক লেভেল-২ (NTVQF) L-২ এর অধীনে টিকিট এবং সংরক্ষণের উপর প্রশিক্ষণ পরিচালনা করে। ATAB এজেন্সির সদস্যের কর্মীরা কোর্স ফিতে ২৫% ছাড় পাওয়ার যোগ্য।
৪. ATAB সদস্যরা MoCAT দ্বারা প্রবর্তিত অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের পদ্ধতি সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুযোগ পান। ATAB এজেন্সি সদস্যদের ATTI-তে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণের আয়োজন করে তার পেশাদারদের দক্ষতা উন্নয়নে সহায়তা করে।
কীভাবে অ্যাসোসিয়েশন অফ ট্রাভেল এজেন্টস অফ বাংলাদেশ (ATAB) এর সদস্য হবেন?
অ্যাসোসিয়েশন অফ ট্রাভেল এজেন্টস অফ বাংলাদেশ (ATAB) এর সদস্য হওয়ার জন্য নিম্নলিখিত কাগজপত্র এবং ফি জমা দিতে হবে।
- টাকার পে-অর্ডার। ATAB-এর পক্ষে যেকোন শিডিউল ব্যাঙ্কে ৬২,৩০০.০০ টাকা জমা দিতে হবে।
- মালিকের সর্বশেষ পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি রঙিন ছবি।
- বর্তমান ট্রেড লাইসেন্সের ফটোকপি।
- বর্তমান টিআইএন সার্টিফিকেট/ ট্যাক্স পেমেন্ট সার্টিফিকেটের ফটোকপি।
- বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় (MOCAT) দ্বারা জারি করা প্রশংসাপত্রের ফটোকপি।
- এনআইডি/পাসপোর্টের ফটোকপি।
- ইনকর্পোরেশন সার্টিফিকেটের ফটোকপি (শুধুমাত্র লিমিটেড কোম্পানির জন্য)।
- কোম্পানির মেমোরেন্ডাম এবং নিবন্ধের ফটোকপি (শুধুমাত্র লিমিটেড কোম্পানির জন্য)।
- অংশীদারিত্বের দলিলের ফটোকপি (শুধু অংশীদারি ব্যবসার জন্য)।
- ভাড়া অফিস স্পেস/জমির মালিকানার নথিপত্রের চুক্তিপত্র।
- মালিকের বায়োডেটার ব্যক্তিগত বিবরণ।
- অফিসের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক ছবি।
- কমপক্ষে একজন কর্মচারীর এনএইচটিটিআই (ন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউট) বা এয়ারলাইন (বিমান বাংলাদেশ অফ এয়ারলাইন্স) বা এটিটিআই (এটিএবি ট্যুরিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউট) বা যেকোনো জিডিএস (সাবরে/ গ্যালিলিও/ অ্যামাডেউস) থেকে সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
- মালিক/ব্যবস্থাপনা, পরিচালক/ব্যবস্থাপনা অংশীদারের সিল এবং স্বাক্ষর সহ অফিস প্যাডে কর্মীদের তালিকা।
সম্পূর্ণ আবেদনপত্র সরাসরি ATAB অফিসে জমা দিতে হবে অথবা নিবন্ধিত ডাকযোগে পাঠানো যেতে পারে। (অসম্পূর্ণ আবেদন গ্রহণ করা হবে না)
প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ফি এর পরিমাণ:
- সদস্য ফি ৫০,০০০.০০ টাকা
- তিন বছরের জন্য বার্ষিক সদস্যতা ১২,০০০.০০ টাকা (৪,০০০.০০ x ৩)
- আইডি কার্ড ফি ৩০০.০০ টাকা
সর্বমোট ৬২,৩০০.০০ টাকা।
উপরোক্ত কাগজপত্র এবং টাকা জমা দিয়ে ATAB মেম্বারশিপ আইডি কার্ড ফর্ম ATAB ওয়েবসাইট www.atab.org.bd ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করে জমা দিতে হবে। জমা দেওয়ার পর যাবতীয় অফিসিয়াল কার্যক্রম শেষে আপনাকে এই সংস্থার মেম্বারশিপ দেওয়া হবে।
দ্য ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের (IATA) এজেন্ট হওয়া
IATA এর অর্থ হলো ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (IATA)। এটি একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা যা বিশ্বের বিমান সংস্থাগুলির স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করে। কোনো প্রতিষ্ঠানের IATA এর স্বীকৃতি থাকার অর্থ হল ঐ প্রতিষ্ঠানটি একটি ট্রাভেল এজেন্সি পেশাদারিত্ব এবং দক্ষতার নির্দিষ্ট মান পূরণ করেছে।
IATA স্বীকৃতি আপনাকে ভ্রমণ, পণ্য এবং এই সম্পর্কীয় যাবতীয় পরিষেবাগুলির বিস্তৃত পরিসরে ব্যবসা পরিচালনার সুবিধা দেয়। আপনাকে এয়ারলাইনস এবং অন্যান্য ভ্রমণ সরবরাহকারীদের সাথে সম্পর্ক তৈরি করতে সহায়তা করে এবং আপনাকে অন্যান্য ভ্রমণ সংস্থাগুলির তুলনায় একটি প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা দেয়৷ IATA লাইসেন্স কিভাবে করব তা জানার আগে আমরা এই IATA লাইসেন্স সম্পর্কে একটু বিস্তারিত জানার চেষ্টা করি।
IATA ট্রাভেল লাইসেন্স তিন ধরনের হয়:
- GoLite
- GoStandard
- GoGlobal
GoLite
GoLite হল সবচেয়ে সহজ এবং সবচেয়ে সাশ্রয়ী মূল্যের সুবিধা। এটি ছোট ট্রাভেল এজেন্সিগুলির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে যাদের প্রচুর সংখ্যক এয়ারলাইন টিকিট ইস্যু করার প্রয়োজন নেই। GoLite এজেন্সিগুলির কোনও আর্থিক প্রয়োজনীয়তা পূরণ করার প্রয়োজন হয় না। যারা এই সদস্য পদ পায় তারা IATA বিলিং এবং সেটেলমেন্ট প্ল্যান (BSP) এর মাধ্যমে টিকিট ইস্যু করতে পারে ৷
GoStandard
GoStandard হল একটি আরও ব্যাপক সুবিধা প্রাপ্ত অপশন। যা বৃহত্তর ট্রাভেল এজেন্সিগুলির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ যাদের প্রচুর সংখ্যক এয়ারলাইন টিকিট ইস্যু করতে হবে তারা এর আওতায় সুবিধা নিতে পারবে। GoStandard এজেন্সিগুলিকে অবশ্যই কিছু আর্থিক প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে হবে এবং তারা IATA BSP-এর মাধ্যমে বা সরাসরি এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে টিকিট ইস্যু করতে পারে।
GoGlobal
GoGlobal হল সবচেয়ে উন্নত ও ব্যাপক বিস্তৃত পরিসরের ব্যাবসায়িক সুবিধা। যা একাধিক দেশে কাজ করে এমন ট্রাভেল এজেন্সির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে, অর্থাৎ আন্তর্জাতিক ট্রাভেল এজেন্ট। GoGlobal এজেন্সিগুলিকে অবশ্যই সর্বোচ্চ আর্থিক প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে হবে এবং তারা IATA BSP এর মাধ্যমে বা সরাসরি এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে টিকিট ইস্যু করতে পারে।
ট্রাভেল এজেন্সি গুলির জন্য IATA স্বীকৃতির সুবিধাগুলি:
- IATA BSP এর মাধ্যমে এয়ারলাইন টিকিট ইস্যু করার ক্ষমতা, যা টিকিটিং প্রক্রিয়াকে সহজ করে এবং খরচ কমায়।
- একচেটিয়া IATA পণ্য এবং পরিষেবাগুলি নিয়ে কাজ করতে পারা, যেমন টিম্যাটিক ভ্রমণ, তথ্য এবং IATA ভ্রমণ কেন্দ্র৷
- IATA প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম এবং ইভেন্টে অংশগ্রহণ করার ক্ষমতা।
- IATA লোগো ব্যবহার করার ক্ষমতা, যা গ্রাহকদের এজেন্সির পেশাদারিত্বে আস্থা দেয়।
IATA স্বীকৃতির জন্য আবেদন করতে, ভ্রমণ সংস্থাগুলিকে অবশ্যই নিম্নলিখিত প্রয়োজনীয়তাগুলি পূরণ করতে হবে:
- একটি বৈধ ব্যবসার লাইসেন্স
- একজন যোগ্য কর্মী সদস্য রাখুন যিনি এয়ারলাইন টিকিটিং পদ্ধতির সাথে পরিচিত।
- যে স্বীকৃতির জন্য আবেদন করবেন তার জন্য আর্থিক প্রয়োজনীয়তা পূরণ করা।
এখানে IATA স্বীকৃতি প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত পদক্ষেপগুলি হলো:
- আবেদনপত্র পূরণ করুন। এই আবেদনপত্রটি IATA ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
- আবেদনপত্র এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টেশন জমা দিন। আপনি যে ধরনের স্বীকৃতির জন্য আবেদন করছেন তার উপর নির্ভর করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টেশন পরিবর্তিত হতে পারে।
- আবেদন ফি প্রদান করুন। আপনি যে ধরনের স্বীকৃতির জন্য আবেদন করছেন তার উপর নির্ভর করে আবেদনের ফি পরিবর্তিত হতে পারে।
IATA আপনার আবেদন পর্যালোচনা করার জন্য অপেক্ষা করুন। IATA আপনার আবেদন পর্যালোচনা করবে এবং অতিরিক্ত তথ্য বা ডকুমেন্টেশনের জন্য অনুরোধ করতে পারে।
অডিট পাস
আপনার আবেদন অনুমোদিত হলে, IATA আপনার ব্যবসায়িক অনুশীলনের একটি অডিট পরিচালনা করবে। নিরীক্ষায় নিম্নলিখিত ক্ষেত্রগুলিতে ফোকাস করবে:
- আর্থিক স্থিতিশীলতা
- পেশাদারিত্ব
- IATA প্রবিধানের সাথে সম্মতি
আপনি অডিট পাস করলে, আপনাকে IATA থেকে আপনার স্বীকৃতি সার্টিফিকেট পাবেন। IATA স্বীকৃতির জন্য আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। একবার একটি এজেন্সি স্বীকৃত হলে, এটি অবশ্যই প্রতি বছর নবায়ন করতে হবে।
একটি ট্রাভেল এজেন্সির IATA স্বীকৃতি পাওয়ার সুবিধা সমূহ:
গ্রাহক বিশ্বাসযোগ্যতা
IATA স্বীকৃতি হল অনুমোদনের একটি সীল যা দেখায় যে একটি ট্রাভেল এজেন্সি পেশাদারিত্ব এবং নৈতিকতার সর্বোচ্চ মান পূরণ করেছে। এটি নতুন গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে এবং বিদ্যমান গ্রাহকদের সাথে বিশ্বাস গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে।
একচেটিয়া পণ্য এবং পরিষেবা পরিচালনা
IATA স্বীকৃত ভ্রমণ সংস্থাগুলির একচেটিয়া পণ্য এবং পরিষেবাগুলিতে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারে। যা অ-স্বীকৃত সংস্থাগুলি পারে না। এর মধ্যে ছাড়যুক্ত বিমান ভাড়া, ভ্রমণ বীমা এবং অন্যান্য ভ্রমণ-সম্পর্কিত পণ্য ও পরিষেবা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
উন্নত দক্ষতা
IATA স্বীকৃত ট্রাভেল এজেন্সিগুলির অনেকগুলি সরঞ্জাম এবং সংস্থান রয়েছে যা তাদের দক্ষতা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। এর মধ্যে এয়ারলাইনের সময়সূচী এবং ভাড়ার একটি কেন্দ্রীয় ডাটাবেস, সেইসাথে বেশ কয়েকটি স্বয়ংক্রিয় টিকিট এবং বুকিং সিস্টেমের সুবিধা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য বর্ধিত সুযোগ
IATA স্বীকৃত ট্রাভেল এজেন্সিগুলি বড় এয়ারলাইন্স এবং অন্যান্য ভ্রমণ সরবরাহকারীদের সাথে চুক্তি সুরক্ষিত করতে সক্ষম হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এটি বিক্রয় এবং আয়ের সুযোগ বৃদ্ধি করতে পারে।
একটি ট্রাভেল এজেন্সির জন্য ৩ ধরনের IATA স্বীকৃতির ফি সমূহ
GoLite
আবেদন ফি: ১৫,০০০ ডলার
বার্ষিক ফি: ১,৫০০ ডলার
GoStandard
আবেদন ফি: ২৫,০০০ ডলার
বার্ষিক ফি: ৩,০০০ ডলার
GoGlobal
আবেদন ফি: ৫০,০০০ ডলার
বার্ষিক ফি: ৫,০০০ ডলার
বার্ষিক ফি ছাড়াও, ট্রাভেল এজেন্সিগুলিকে অবশ্যই অন্যান্য খরচের জন্যও দিতে হবে, যেমন:
প্রশিক্ষণের ফি
IATA-এর জন্য সমস্ত স্বীকৃত ট্রাভেল এজেন্সি প্রয়োজনে তাদের কর্মীদের IATA পদ্ধতি এবং প্রবিধানের উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণের খরচ এজেন্সির আকার এবং প্রশিক্ষিত হওয়া কর্মীদের সংখ্যার উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।
মার্কেটিং ফি
IATA স্বীকৃত ট্রাভেল এজেন্সিগুলিকে নতুন গ্রাহকদের আকৃষ্ট করার জন্য বিপণনে অর্থ ব্যয় করতে হবে। বিপণনের খরচ এজেন্সির আকার এবং লক্ষ্য বাজারের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।
ট্র্যাভেল এজেন্সি মার্কেটিং ম্যাটেরিয়ালস ডেভেলপ
উপরোক্ত যাবতীয় কাগজপত্র, যেমন ট্রাভেল এজেন্সির ট্রেড লাইসেন্স, সিভিল অ্যাভিয়েশন লাইসেন্স IATA লাইসেন্স, প্রশিক্ষণ ইত্যাদি শেষে আপনাকে আপনার ট্রাভেল এজেন্সিতে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে এবং ধরে রাখতে বিপণন উপকরণের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে।
একটি ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসার প্রয়োজনীয় বিপণন উপকরণগুলি নিম্নরূপ:
লোগো
আপনার ট্রাভেল এজেন্সির জন্য একটি ভাল লোগো তৈরি করতে কিছু সময় ব্যয় করুন। আপনার লোগো কোম্পানির স্টেশনারি, ব্যবসায়িক কার্ড, বিপণন উপকরণ ইত্যাদিতে প্রিন্ট করতে হবে। সঠিক লোগো গ্রাহকের বিশ্বাস এবং আপনার ব্র্যান্ডের সচেতনতা বাড়াতে পারে।
ওয়েবসাইট
একইভাবে, একটি ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসার জন্য ওয়েবসাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পেশাদার ট্রাভেল এজেন্সি ওয়েবসাইট সম্ভাব্য গ্রাহকদের আপনার অফার করা পণ্য অথবা পরিষেবা, আপনার কোম্পানির ইতিহাস এবং যোগাযোগের তথ্য সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে। মনে রাখবেন যে আপনার ওয়েবসাইটের গঠন এবং প্রকৃতি বাজারের গ্রাহকদের আপনার প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে অভিজ্ঞতা দিবে। তাই আপনার ওয়েবসাইট অপ্টিমাইজ করা নিশ্চিত করুন যাতে আপনি সার্চ ইঞ্জিনে ভাল র্যাঙ্ক করেন।
সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট
আপনার কোম্পানির নামে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট স্থাপন করুন। Facebook, Twitter, LinkedIn অথবা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্কের অ্যাকাউন্টগুলি গ্রাহকদের এবং অন্যদেরকে আপনার ট্রাভেল এজেন্সি খুঁজে পেতে এবং যোগাযোগ করতে সাহায্য করবে৷ সোশ্যাল মিডিয়া প্রচার চালানো এবং নতুন ব্যবসা তৈরি করার জন্য একটি দুর্দান্ত জায়গা। আর এভাবেই আপনি একটি ট্রাভেল এজেন্সি প্রতিষ্ঠান খুলে পরিশ্রমের মাধ্যমে খুব সহজেই ইনকাম করতে পারেন।
উপসংহার
আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে দেখানোর চেষ্টা করেছি একজন নতুন উদ্যোক্তা কিভাবে একটি ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা শুরু করবেন। আর এই ব্যবসা সম্পর্কিত যাবতীয় খুটিনাটি অর্থাৎ কীভাবে ট্রেড লাইসেন্স করবেন, কীভাবে সিভিল অ্যাভিয়েশন লাইসেন্স করবান, কীভাবে IATA লাইসেন্স করবেন ইত্যাদিসহ কিভাবে একটি ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা শুরু করবেন তার আদ্যোপান্ত জানানোর চেষ্টা করেছি। পরিশেষে বলা যায় যে ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা শুরু করার আগে বিভিন্ন জায়গা সম্পর্কে একটু ধারনা থাকতে হবে। ঠিক ভাবে সব কিছু পরিচালনা করতে পারলে অতি অল্প দিনেই এই ব্যবসায় ভালো উন্নতি করা সম্ভব।