চুল পড়ে যাওয়া ও এর ফলে চুল পাতলা হয়ে যাওয়া বর্তমানে সাধারণ একটি সমস্যা। আমাদের আশেপাশের প্রায় অনেকেরই আফসোস এই চুল নিয়ে। চুল ঝরে যাওয়ার সাথে সাথে মাথায় নতুন চুল না গজালে চুলের ঘনত্ব কমতে থাকে। ফলে চুল নিজের সৌন্দর্য হারায়।
চুল গজানোর কার্যকরী তেল
মাথায় সাধারনত ১,৫০,০০০ টি চুল বা ফাইবার থাকলে তা ঘন চুল হিসেবে বিবেচিত হয়। প্রতিদিন ১০০ থেকে ১২৫ টি চুল মাথা থেকে ঝরে পড়া স্বাভাবিক। তবে এর সাথে তাল মিলিয়ে নতুন চুল না গজালে চুলের ঘনত্বের মাত্রা কমে ১,৫০,০০০ এর নিচে নেমে আসে। এটা সুস্থ্য ও সুন্দর চুলের জন্য একদমই অনুপযুক্ত। তাই চুল পড়া প্রতিরোধের পাশাপাশি মাথায় নতুন চুল গজানোর উপায় সম্পর্কে জেনে নেয়া জরুরি। জেনে নিন চুল গজানোর কয়েকটি কার্যকরী তেল সম্পর্কে।
১. হোম মেড নারকেল তেল
বাজারের কেমিক্যাল যুক্ত নারকেল তেল এর বদলে ব্যবহার করুন হেম মেড নারকেল তেল। ছেলে মেয়ে উভয়ের জন্যই এই তেল শতভাগ কার্যকরী এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত।
হোম মেড নারকেল তেল তৈরির পদ্ধতি :

প্রথমে দুই থেকে তিনটি নারকেল ভেঙে নারকেল এর মূল অংশটুকু ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিতে হবে। নারকেলের টুকরো গুলো ব্লেন্ড করে বা শিল পাটায় বেটে পেস্ট তৈরি করতে হবে। নারকেল পেস্ট এর সাথে সামান্য পানি মিশিয়ে নারকেলের দুধ বের করে নিতে হবে।
নারকেল দুধ জ্বাল করতে করতে উপরে তেল ভেসে উঠবে এবং পানিটুকু বাষ্প হয়ে যাবে। অবশেষে পাত্রে শুধু তেল দেখা যাবে আর নিচে কিছুটা আঠালো পদার্থ জমে থাকবে। উপর থেকে তেল টুকু সংগ্রহ করে ঠান্ডা করে পরিষ্কার পাত্রে সংরক্ষণ করে ব্যবহার করতে পারবেন। একদম পিওর ভেজালমুক্ত নারকেল তেল চুলের জন্য সবথেকে বেশি উপকারি।
হোম মেড নারকেল তেল এর কার্যকরীতা:
১. নিয়মিত সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন নারকেল তেল মাথায় ম্যাসাজ করলে চুল সঠিক পুষ্টি পায়।
২. চুলের রুক্ষতা দূর হয়।
৩. চুলপড়া কমে এবং চুলের ভেঙে যাওয়া রোধ হয়।
৪. চুলের আগা ফাটা সমস্যা সমাধান হয়।
৫. কপালে এবং মাথায় ছোট ছোট নতুন চুল গজায়।
২. চুল গজাতে হোমমেড পেঁয়াজ তেল
পেঁয়াজ চুলের জন্য খুবই কার্যকরী একটি প্রাকৃতিক উপাদান। যাতের চুল খুব বেশি পাতলা তাদের হেয়ার কেয়ার রুটিনে পেঁয়াজের তেল রাখতে পারেন। পেঁয়াজের তেলটি যদি বাড়িতেই তৈরি করে নেয়া যায় তবে সবথেকে ভালো। জেনে নিন কেশ পরিচর্যায় পেঁয়াজ তেল তৈরির নিয়ম সম্পর্কে।
হোম মেড পেঁয়াজ তেল তৈরির পদ্ধতি:

একটি বড় সাইজের পেঁয়াজ থেতলে নিয়ে অথবা ব্লেন্ডার করে পেঁয়াজের রস বের করে নিতে হবে। হাফ কাপ পিওর নারকেল তেল ও হাফ কাপ অলিভ অয়েল একটি পাত্রে নিয়ে তার ভেতর পেঁয়াজের রস ঢেলে দিতে হবে। বিশ মিনিটের মতো সকল উপাদান জ্বাল করে ঠান্ডা করে নিতে হবে। এরপর একটি বোতলে সংরক্ষণ করে সাতদিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে।
- চুলের ঘরোয়া তেল অর্ডার করুনঃ হোমমেড হেয়ার অয়েল
হোম মেড পেঁয়াজ তেলের কার্যকারিতা:
১. পেঁয়াজ তেলের সবথেকে বড় উপকারিতা হলো খুশকি নিয়ন্ত্রণ।
২. চুলের অতিরিক্ত তৈলাক্তভাব নিয়ন্ত্রণ করে চুলকে সিল্কি করতে সহায়তা করে।
৩. এতে থাকা অ্যান্টিসেপটিক উপাদান মাথার সব ধরনের সংক্রমণ জনিত সমস্যা সমাধান করে ও ত্বককে সুস্থ রাখে।
৪. চুল দ্রুত লম্বা হতে সহায়তা করে।
৫. নতুন চুল গজাতে সহায়তা করে।
৩. নতুন চুলের জন্য জবা অয়েল
হেয়ার কেয়ারে জবা অয়েল খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। চাইলে বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন এই তেলটি। অথবা বাজারে প্রাপ্ত বিভিন্ন হারবাল জবা অয়েল কিনেও মাথায় ব্যবহার করতে পারেন। হারবাল জবা অয়েল এর মধ্যে নিউট্রিপিওর জবা অয়েল, নিহার ন্যাচারাল জবা অয়েল, জবাকুসুম সহ বেশ কয়েকটি জবা অয়েল রয়েছে। তবে হোম মেড জবা অয়েল সবথেকে বেশি কার্যকরী। জেনে নিন হোম মেড জবা অয়েল তৈরির উপায়।
হোম মেড জবা অয়েল তৈরির উপায়:

হোম মেড জবা অয়েল তৈরির জন্য আটটি জবা ফুল, আটটি জবা পাতা এবং এক কাপ নারকেল তেল নিতে হবে। এখানে নারকেল তেল এর বদলে বাদাম তেল বা অলিভ অয়েলও ব্যবহার করা যাবে। এবার জবা ফুল থেকে পাপড়িগুলো আলাদা করে নিতে হবে।
জবা ফুলের পাপড়ি ও পাতাগুলো ব্লেন্ডারে বা শিল পাটায় দিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। এবার একটি পাত্রে তেল এবং ফুল ও পাতার পেস্ট একসাথে মিক্স করে পাঁচ মিনিট সময় নিয়ে জ্বাল করতে হবে। ভালোভাবে ফুটতে থাকলে পাঁচ মিনিট পর নামিয়ে ঠান্ডা করে একটি কাঁচের পাত্রে ঢেলে সংরক্ষণ করতে হবে।
প্রতি সপ্তাহে দুইবার এই তেল মাথায় ম্যাসাজ করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। জবা অয়েল মাথার স্ক্যাল্পে ভালোভাবে ম্যাসাজ করে ত্রিশ মিনিট রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
জবার তেল বা অয়েল এর উপকারিতা:
১. জবা ফুলে থাকা ভিটামিন-সি, ভিটামিন এ এবং আলফা-হাইড্রোক্সিল অ্যাসিড চুলের যাবতীয় সমস্যা সমাধান করে স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
২. নিয়মিত জবা অয়েল ব্যবহার করলে অকালপক্বতা রোধ হয়।
৩. যাদের চুল অতিরিক্ত লালচে বর্নের কিংবা বিবর্ণ হয়ে গেছে এমন চুল কালো করতে জবা অয়েল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৪. জবা অয়েল মাথার ত্বকের নির্জীবতা দূর করে ও মৃত কোষকে ধ্বংস করে ফেলে। এর ফলে খুশকির সমস্যা দূর হয়।
৫. চুলের গোড়া শক্ত হয় এবং মাথায় নতুন চুল গজায়।
৪. চুলের জন্য মেথির তেল
চুলের যত্নে মেথি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভেষজ উপাদান। চুলের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে মেথির তেল বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। মেথির তেল তৈরি করা যেমন সহজ তেমন সংরক্ষণ করা যায় অনেক দিন। বর্তমানে বাজারেও বিভিন্ন ব্রান্ডের মেথির তেল পাওয়া যায়।
মেথির কার্যকরী ভেষজ গুনগুন এর জন্য মেথির তেলের জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। জনপ্রিয় মেথি অয়েল এর মধ্যে আছে ডাবার মেথি আমলা অয়েল, এ আর অর্গানিকেয়ার মেথি অয়েল, প্যারাসুট এক্সট্রা কেয়ার অয়েল ইত্যাদি। কুমারিকা হেয়ার অয়েলেও আছে মেথি সহ আরও বেশ কয়েকটি ভেষজ উপাদানের সংমিশ্রণ। চাইলে বাজারে প্রাপ্ত মেথি অয়েল ব্যবহার করতে পারেন অথবা বাড়িতেই তৈরি করে নিতে পারেন মেথি অয়েল।
হোম মেড মেথি অয়েল তৈরির উপায়:

হোম মেড মেথি অয়েল তৈরির জন্য আধা কাপ মেথি দেড় কাপ নারকেল তেল নিতে হবে। এখানে অন্যান্য তেলও ব্যবহার করতে পারেন। যেমন: অলিভ অয়েল, ক্যাস্টর অয়েল, জবা অয়েল, আমন্ড অয়েল ইত্যাদি। গোটা মেথি হালকা টেলে গুঁড়া করে নিতে হবে।
এরপর একটি পাত্রে পানি নিয়ে চুলায় বসিয়ে দিতে হবে। পানি গরম হতে হতেই একটি বাটিতে তেল নিয়ে তার মধ্যে মেথি পাউডার মিশিয়ে ডবল হিটিং পদ্ধতিতে গরম করতে হবে। পাশাপাশি বাটিতে থাকা তেল অনবরত নাড়তে হবে। ভালোভাবে গরম হয়ে গেলে ঠান্ডা করে ছেঁকে বোতলে ভরে সংরক্ষণ করতে হবে।
প্রতি সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন ঘুমানোর আগে মেথি অয়েল মাথায় লাগিয়ে নিতে হবে। পরেরদিন একটি মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।
মেথি অয়েল এর উপকারিতা:
১. মেথির তেল নিয়মিত ব্যবহারে কপালে এবং চুলের ফাঁকে ফাঁকে ছোট ছোট নতুন চুল গজাতে থাকে।
২. একই সাথে চুলের ময়েশ্চারাইজিং ও কন্ডিশনিং এর কাজ করে। তাই তেল ব্যবহার করলেও অতিরিক্ত চিটচিটে ভাব হয় না।
৩. চুলের খুশকি দূর হয় ফলে ত্বক সুস্থ থাকে এবং নতুন চুল গজানোর জন্য প্রতিকূল অবস্থা তৈরি হয়।
৩. অকালে চুলের পাক ধরা রোধ হয়।
৫. আমলা অয়েল বা আমলকীর তেল
ঘন চুলের আরও একটি অব্যর্থ ভেষজ উপাদান আমলকি। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বহু প্রাচীন কাল থেকেই চুলের যত্নে আমলকীর ব্যবহার রয়েছে। এতে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা চুলের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে ভূমিকা পালন করে।
হেয়ার কেয়ারে আমলকী ব্যবহারের সবথেকে সহজ উপায় আমলা অয়েল ব্যবহার। বাজারে প্রাপ্ত আমলা অয়েলের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ডাবর আমলা হেয়ার অয়েল, ভাটিকা আমলা হেয়ার অয়েল, নিউট্রিপিওর হেয়ার অয়েল, আমলকী কেশ তৈল ইত্যাদি। তবে সবথেকে ভালো ফলাফল পেতে হোম মেড আমলা অয়েল তৈরি করে ব্যবহার করা উচিত। তাই জেনে নিন হোম মেড আমলা অয়েল তৈরির পদ্ধতি সম্পর্কে।
হোম মেড আমলা অয়েল তৈরির উপায়:

এক কাপ নারকেল তেল ও হাফ কাপ অলিভ অয়েল নিতে হবে। এর সাথে পাঁচ থেকে ছয়টি আমলকী থেতলে নিতে হবে বা পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। তার মধ্যে দিয়ে দিতে হবে এক চামচ মেথি পাউডার বা মেথির পেস্ট। সবগুলো উপাদান ভালোভাবে মিশিয়ে দশ মিনিটের মতো হালকা আঁচে জ্বাল করতে হবে।
খেয়াল রাখতে হবে উপকরণ গুলো যাতে একদম পুরে না যায়। দশ মিনিট পড়ে চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিতে হবে। এরপর ছেঁকে নিয়ে একটি বোতলে সংরক্ষণ করতে হবে।
শ্যাম্পু করার একঘন্টা আগে হালকা গরম করে আমলা তেল চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
আমলকীর তেলের উপকারিতা:
১. নিয়মিত আমলা অয়েল ব্যবহারের ফলে এতে থাকা ভিটামিন সি চুলের কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে।
২. আমলকীতে আছে প্রচুর পরিমানে এন্টি এক্সিডেন, মিনারেল ফাইটো-নিউট্রিয়েন্ট ও গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন। এসকল উপাদান তেলের মাধ্যমে নিয়মিত ত্বকে সরবরাহ করলে রক্ত সঞ্চালন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে চুলের বৃদ্ধি নিশ্চিত হয়।
৩. আমলা তেল চুলের ফলিকলগুলিকে শক্তিশালী করে ফলে চুলের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত হয়।
৪. আমলা তেল চুলকে দ্রুত লম্বা হতে সহায়তা করে।
৬. চুলের হারবাল হেয়ার অয়েল
বেশ কয়েকটি প্রাকৃতিক উপাদানের সমন্বয়ে তৈরি করা হয় হারবাল হেয়ার অয়েল। হারবাল হেয়ার অয়েল ছেলে মেয়ে উভয়ের জন্যই উপযুক্ত একটি তেল। এই তেলটি ব্যবহারের ফলে মাথায় নতুন চুল গজানোর পাশাপাশি চুলের যাবতীয় সকল সমস্যার সমাধান করা যায়। আমলকি, মেথি, অ্যালোভেরা, জবা, মেহেদী, তুলসী, বাদাম, জাফরান সহ আরও অসংখ্য সহজলভ্য ও দুষ্প্রাপ্য ভেষজ উপাদানের সমন্বয়ে হারবাল হেয়ার অয়েল তৈরি করা হয়। বর্তমানে বাজারে বেশ কয়েকটি কার্যকরী হারবাল হেয়ার অয়েল জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে বায়োলিভ হারবাল হেয়ার অয়েল, ন্যান্সি হারবাল হেয়ার অয়েল, লিজান হারবাল হেয়ার অয়েল, সাজকন্যা হারবাল হেয়ার অয়েল, আমিন হারবাল হেয়ার অয়েল ইত্যাদি। চাইলে নিজের পছন্দ অনুযায়ী যে কোনো একটি হেয়ার অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। আবার চাইলে বাড়িতেই সকল উপকরণ জোগাড় করে হারবাল হেয়ার অয়েল বানিয়ে নিতে পারেন।
হারবাল হেয়ার অয়েল তৈরির উপায়:
হারবাল হেয়ার অয়েলে যতো বেশি উপযোগী ভেষজ উপাদান যুক্ত করতে পারবেন এর কার্যকারিতা ততো বৃদ্ধি পাবে। এজন্য হাতের কাছে থাকা চুলের জন্য উপযোগী যতো ধরনের ভেষজ উপাদান পাওয়া যায় একত্র করুন। যেমন: মেথি, কালোমেঘ, আমলা, মেহেদী, পেয়াজ, জবা, অ্যালোভেরা ইত্যাদি। সবগুলো উপাদান ভালোভাবে ধুয়ে থেতলে নিতে হবে।
অন্যদিকে একটি পাত্রে নারকেল তেল, ক্যাস্টার অয়েল, বাদাম তেল, আমন্ড অয়েল, জাফরান অয়েল একসাথে নিয়ে তার মধ্যে থেতলে নেয়া ভেষজ উপাদানগুলো দিয়ে হালকা আঁচে জ্বাল করতে হবে। দশ থেকে পনেরো মিনিট জ্বাল করে নামিয়ে নিতে হবে। এরপর ছেঁকে বোতলে সংরক্ষণ করতে হবে।
প্রতি সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন চুলে হারবাল অয়েল ব্যবহার করা চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
হারবাল হেয়ার অয়েল এর উপকারিতা:
১. ভেষজ গুনে ভরপুর হারবাল অয়েল মাথায় চুল গজাতে সবথেকে বেশি কার্যকরী।
২. চুলের গোড়া শক্ত করে চুল পড়া রোধ করে।
৩. চুলের আগা ফাটা ও রুক্ষতা দূর করে ফলে চুল ভেঙে যাওয়া রোধ হয়।
৪. হারবাল তেল নিয়মিত ব্যবহারে চুল খুব দ্রুত বাড়তে থাকে।
৫. চুলের মৃত কোষকে ধ্বংস করে ফেলে এই তেল যার ফলে খুশকির সমস্যার সমাধান হয়।
আশাকরি এখন নিজের চুলের ধরন অনুযায়ী সঠিক তেলটি বাছাই করে নিতে পারবেন। চুলের গঠন ও নিজের বাজেট অনুযায়ী সঠিক তেল বাছাই করে চুলের যত্ন নিন। সবথেকে বেশি ভালো হয় নিজেই বাড়িতে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে তেল বানিয়ে নিতে পারলে। সেই সুযোগ না থাকলে বাজারের ভালো ব্রান্ডের হারবাল তেল ব্যবহার করতে পারেন। তবে কেমিক্যালযুক্ত তেলকে চুলের জন্য একেবারেই না বলুন।